পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ দেশ-বিদেশের কথা ২০০৭ জাতির অতীতের ইতিহাস পুনরায় তৈয়ারী করিতে সেই জাতির লোকদের পক্ষে যে সুবিধা আছে, একজন বিদেশী প্রগাঢ় জ্ঞানসম্পন্ন হইলেও তঁাগর পক্ষে সেই সুবিধা নাই । ভারতের অতীত ইতিহাসের জীবস্ত প্রতীক আমরা । অতীতই আমাদের রক্তমাংস, আমাদের চিস্তা ও ধৰ্ম্ম এবং উঠা কল্পনামাত্র নহে । জাতীয় ইতিহাসে সত্য ঘটনা এবং যুক্তির ভিত্তিতেই জাতিকে বিশ্লেষণ করা উচিত । আমাদের দেশের অতীতের কোন ঘটনাকে গোপন এবং জাতীয় চরিত্রকে চূণকাম করিয়া ইতিহাস রচনা করা নিন্দনীয় । উহা স্বীকার করিয়া জাতীয় মহত্ত্বের দিক ও ষে আছে, তাহ দেখানক্ট জাতির সমস্ত দিক উল্লেখ করাই ঠিক । সেই সঙ্গত । বৈদেশিক ইতিহাস প্রণেতৃগণ কর্তৃক আমাদের জাতির মঙ্গত্তর গুণগুলি গোপন করিয়া জগতের নিকট আমাদের দেশের রক্তবিপ্লব ও এক জাতির বিরুদ্ধে আর এক জাতির সংগ্রামের কথাই জাকালে ভাবে প্রচার করা হইয়াছে। আমাদের জাতীয় ঐতিহাসিকগণকে জাতির ক্রমোন্নতির সকল দিক উল্লেখ করিতে হুইবে । আমরা যে-ইতিহাস লিখিব, উহাতে রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং সামরিক সাফল্যকে যে প্রকার প্রাধান্ত দিব, জাতির সামাজিক জীবন ও আর্থিক পরিবর্তন, ধৰ্ম্মসম্পর্কিত আন্দোলন, চিস্তার উৎকর্ষ এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নতিকেও তদ্রুপই প্রাধান্ত দিব। সহানুভূতির দৃষ্টি লষ্টয়াই আমাদিগকে উষ্ঠ রচনা করিতে হইবে । এই সকল বিশ্লেষণ করিবার সময় ঐতিহাসিক নিজেই বিচার করিয়া নিশা বা প্রশংসা করিবেন । ভারতের ধারাবাহিক ইতিহাস প্রণয়ন করিতে সমুদয় ঘটনা নিতুল ভাবে উল্লেখ করিতে হইবে, এক অংশের সহিত অঙ্ক অংশের সংযোগ বাঞ্চিত হইবে । সৰ্ব্বোপরি লেখককে নিরপেক্ষ ভাবে এই কাৰ্য্য করিতে হইবে । জগতের জ্ঞানীজনের সমাদর লাভের জঙ্ক আমাদের ইতিহাসকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈয়ার করিতে হইবে । বিজ্ঞান সত্য ব্যতীত দেশ বা জাতিকে বুঝে না । জাতীয় ইতিহাসে অসংযত আবেগকে স্থান দেওয়া সঙ্গত নহে । আদর্শ ভারতীয় ঐতিহাসিকদের শুধু ভারতসম্পর্কেই জ্ঞান থাকিলে চলিবে না, অম্লান্ত দেশ ও জাতি সম্পর্কেও জ্ঞান রাখিতে হইবে,—ষ্টাখাকে উদারচেত। পণ্ডিত দুঃখহীল লিঙ্কেতল— ংসার-সংগ্রামে মাহ্য আরামের আশ ছাড়িয়া প্রাণপণ উদ্যমে ঝাপাইয় পড়ে তাহার স্ত্রীপুত্র-পরিবারের মুখ চাহিয়া। সে চায় পত্নীর প্রেমে, পুত্রকন্যা ভাইভগিনীর স্নেহে ঝকঝকে একখানি শান্তির নীড় রচনা করিতে । এই আশা বুকে করিয়া কী তা'র আকাজক্ষার আকুলত, কী তা'র উদ্যম, কী তা’র দিনের পর দিন আত্মভোলার পরিশ্রম ! কিন্তু হায়, কোথায় আকাঙ্ক্ষা, আর কোথায় তা’র পরিণতি ! বাৰ্দ্ধক্যের চৌকাঠে পা দিয়া পোনর আন লোকই দেখে জীবনসন্ধ্যায় দুঃখহীন নিকেতন গড়িয়া তুলিবার স্বপ্নকে সফল করিতে হইলে যেটুকু অর্থ-সঞ্চয় করিয়া রাখা প্রয়োজন ছিল, প্রতিদিনের হাজার কাজের চাপে, ছোটবড় হাজার অভাব মিটাইতে গিয়া, সেই অতিপ্রয়োজনীয় সঞ্চয় তাহার করা হইয়া ওঠে নাই। এমনি করিয়া আশাভঙ্গের মনস্তাপে বহু লোকেরই জীবনসায়াহ্নের গোধূলি-অবসরটুকু শাস্তিহীন হই। ওঠে। একদিনেই করিয়া ফেলা যায় এমন কোনো উপায়ই নাই, যাহা দরিদ্রের এই মনস্তাপ দূর করিয়া দিতে পারে। সংসারের স্বচ্ছলতা ও শাস্তি গড়িয়া তুলিতে হয় ধীরে ধীরে—একমাস বা এক বৎসরের চেষ্টায়ু ভবিষ্যতের যে-সংস্থান হয় না, বিশ বৎসরের চেষ্টায় তাহা অল্পায়াসে হওয়া অসম্ভব নয়। সঞ্চয়ের দায়িত্বকে আসন্ন দায়ের মত দুঃসহ না করিয়া লঘুভার করিতে এবং কষ্টসঞ্চিত অর্থকে নিরাপদ ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই জীবনবীমার সৃষ্টি । যাহাদের সামর্থ্য বেশী নয়, অথচ সংসারিক দায়িত্ব বেশী, জীবনবীমার অনুষ্ঠান বিশেষ করিয়া তাহদেরই জন্য । সাংসারিক জীবনে প্রত্যেক গৃহস্থেরই যে জীবনবীমা করিয়া রাখা উচিত, একথা সকলেই জানেন । জীবনবীমা করিতে চইলে সকলেরই এমন কোম্পানীতে করা উচিত, ব্যবসাক্ষেত্রে যাহার প্রতিষ্ঠা আছে, ব্যবসার অনুপাতে যাহার সঞ্চিত অর্থের tDDDB BBS DDBBD DD DD BBBS DDDBB YuBBJDDD STg BuBB প্রপাডি কোৎ লিমিষ্ট্ৰেভেলুর মত বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠানই সৰ্ব্বসাধারণের পক্ষে শ্রেয়। বেঙ্গল ইনসিওরেন্স এণ্ড রিয়েল প্রপাটি কোং লিমিটেড, হেড অফিস—২নং চার্চ লেন, কলিকাতা ।