পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ته مامضة تيتييه". করলেন। লওনের কয়েক জন বিশিষ্ট সাহিত্যিক বৈঠকে এসে সমবেত হলেন । সেই আসরে কবি ইয়েটস রবীন্দ্রনাথকৃত তর্জমা সকলকে পড়ে শোনালেন, কবি নিজেও সে মজলিসে উপস্থিত ছিলেন । শ্রোতারা ইংরেজের স্বভাব অনুসারে চুপ ক’রে গুনে গম্ভীর মুখে যে যার ঘরে গেলেন ফিরে । কবিতাগুলি সম্বন্ধে .তেমন কোন কথাই বললেন না । কবির মনে হ’তে লাগল তার কাচা ইংরেজী লেখা অমন ক’রে সকলকে শুনিয়ে তাকে সভায় অপদস্থ করবার প্রয়োজন ছিল না। ইংরেজীতে কিছু লিখতে তখন তার বিশেষ সঙ্কোচ ছিল এবং আজও সে সঙ্কোচ সম্পূর্ণ কেটেছে ব’লে মনে হয় না। এক দিন যখন তার এক বন্ধু তাকে ইংরেজীতে কিছু রচনা করতে অনুরোধ করেছিলেন তখন তিনি তার একটি কবিতার কয়েকটি লাইনে দু-একটা অক্ষরের পরিবর্তন ক’রে নিম্নলিখিতরূপে জবাব দিয়েছিলেন বিদায় করেছি যারে নয়ন জলে এখন ফিরাব তারে কিসের ছলে ।” • * V3論* ]* 。

    • There is an impression abroad that no English translation by Rabindranath of any of his Bengali poems was published anywhere before the Gitanjali poems. That is a mistake. As far as I can now trace, the first English translations by himself of his poems appeared in the February, April and September numbers of The Modern Review in 1912. So far as my knowledge goes, this is how he came to write in English for publication. Some time in 1911 I suggested that his Bengali poems should appear in English garb. So he gave me translations of two of his poems by the late Mr. Lokendranath Palit. Of these Fruitless Cry appeared in May and The Death of the Star in September, 1911, in The Modern Review. Wnen I asked him by letter to do some translations himself, he expressed diffidence and unwillingness and tried to put me off by playfully reproducing two lines from one of his poems of which the purport was, “On what pretext shall I now call back her to whom I bade adieu in tears?” the humorous reference being to the fact that he did not, as a schoolboy, take kindly to school education and its concommitant exercises. But his genius and the English muse would not let him off so easily. So a short while afterwards, he showed me some of his translations, asking me playfully whether as a quondam

SN688 ইস্কুলে পড়বার কালে কত নয়ন-জলেই ইংরেজী ভাষাকে বিদায় করবার চেষ্টা করেছিলেন, সে কাহিনী আমরা তার কাছেই গুনেছি, কিন্তু এত ক’রেও ইংরেজী ভাষাটা তার মগজের মধ্যে গা-ঢাকা দিয়ে বাস করছিল। তার সন্ধান তিনি নিজেই পান নি। তার প্রিয় শিষ্য পরলোকগত অজিতকুমার চক্রবর্তী যখন এক দিন তার গীতাঞ্জলির দু-একটি তর্জমা গুনে তাকে আশ্বাস দিলেন যে তাতে কোন ভুল নেই এবং লেখা ভালই হয়েছে তখন কবি মাষ্টার মহাশয়ের কাছ থেকে পরীক্ষাপত্ৰ ফুলমার্ক পেয়েছে মনে ক’রে তখনকার মত নিশ্চিন্ত ছিলেন। ইংরেজী সাহিত্যের আসরে তাকে বড় কিম্বা ছোট চৌকিতে ডেকে বসাবে এ প্রত্যাশা তার ছিল না। তাই গীতাঞ্জলি তর্জমার উপর যদিচ তার দরদ ছিল, যথোচিত বিশ্বাস ছিল না ; সেদিনকার বৈঠকের নিঃশব ব্যবহারে মনে মনে তারই প্রমাণ কল্পনা ক’রে লজ্জা অনুভব করলেন। রাত্তিরটা কাটল, পরের দিনকার ডাকে সেদিনকার শ্রোতাদের কাছ থেকে যখন আস্তরিক ভাষায় প্রচুর প্রশংসাপত্র আসতে লাগল সে তার কাছে স্বপ্ন বলে মনে হ'ল। এর পর পাশ্চাত্য মহাদেশে তার কবিতার এবং গীতাঞ্জলির কি রকম অভ্যর্থনা হয়েছে সেটা সকলেই জানেন । গীতাঞ্জলির বাংলা এবং ইংরেজী দেহপ্রাপ্তির কথা এক দিন তার কাছে যা ধারাবাহিক গুনেছি,—তাই লিপিবদ্ধ ক’রে দিলুম। তাকে গল্প করানো ছাড়া এর মধ্যে আমার কৃতিত্ব আর কিছু নেই এ কথা অনুমান করা শক্ত হবে না। অতএব এই উপলক্ষ্য-কৃষ্টি করার গৌরব নিয়ে আমিও পাঠকদের কাছে কিছু ধন্যবাদ আশা করতে পারি। school-master I would pass them. These ༢༑༑།:arg|.j། my Review. These are, to my knowledge, his earliest published English compositions. Their manuscripts are with me now—Golden Book of Tagore : Foreword by Ramananda Chatterjee : p. X.