পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झiङ्ठन्र ভিন দেমী S9\\9 যোগমায়া বলিলেন, তবু ভোঁর জন্ম করতে পারবি। তুলসী দেবী হতাশ ভাবে চলিয়া গেলে পর রাইচরণ মাখা দেখ, বাবা একবার। বাকাইয়া বলিল, ঠিক বলেছেন দিদিমণি—যদি কামড়েই রাইচরণ মনে মনে গোঙাইতে গোঙাইতে চলিয়া গেল । প্তাহার জন্ম কেহই ভাবে না । হাঃ, সত্যি যদি মা হুইত, তাহা হইলে ওই ক্ষ্যাপা কুকুরের মুখে তাহাকে পাঠাইত না কি ! রাইচরণ ক্ষুঃমনে অক্ষ একটা ঘরের সন্মুখ দিয়া চলিয়া স্বাক্টতেছিল-হঠাৎ মুখোমুখি দেখা মুকুলের সহিত । রাইচরণ থমকিয়া দাড়াইয়া বলিল, জানেন দিদিমণি, ক্ষ্যাপা কুকুরটা তখন•••আপনারা ত গাড়ীতে চলে এলেন •• অত ভণিতা শুনিবার মুকুলের ধৈর্ধ ছিল না—ভীরু চোখ তুলিয়া সে বলিল, কামড়ায় নি ত! কি সৰ্ব্বনাশ ! . দরী পাইয়া রাইচরণ বলিল, কামড়েছিল আর একটু ठू'एल । —কি ভয়ঙ্কর !--- রাইচরণ খুশী হইয়া বলিল, দেখুন না ফের—এই আমাদের বাবুকে আবার খুজতে যেতে হবে। ধরুন যদি কামড়েই দেৱ-মরে যাব ত! মা, ভাই-বোন কোথায় কে রইল, বিদেশে এসে...রাইচরণের কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া গেল, চোখ তাহার সভ্যই ছলছল করিয়া উঠিল । তুলসী দেবী এই সময়ে মাসিয়া বলিলেন, রাইচরণ বাবা, তোকে বকশিশ দেব বাব! —তখন তাড়াহুড়োতে পানের ডিবেট কোথায় যে ফেলে এলুম—দশ ভfর রূপোর ডিবে— সোনার মিনে...কেউ পেলে কি আর ছাড়বে। যা না বাবা এক্ষুনি একবার --তুলসী দেবী ব্যাকুলভাবে বুঝাইয়া দিলেন ধে যখন তিনি প্রথম নববধূস্কপে শ্বশুরুগৃহে প্রবেশ করিয়াছিলেন, তখন স্বামী তাহাকে উক্ত ডিবা প্রথম উপহার মিছিলেন। স্বামী আজ বৎসর দুই স্বর্গগত---প্রথম স্বতিচিহ্নটাও হারাষ্টতে বসিয়াছে। রাইচরণ বুঝিল সমস্তই, কিন্তু অক্ষমের মত মাখা ইলকাইতে লাগিল। মুকুল তার হইয়া জবাব দিল, তুমি কি ং বল মা ! শুনলে এই ক্ষ্যাপা কুকুরের কথা—একটা লোকের জীবন বড়, না তোমার পানের ডিবেট। বড় ! রাইচরণ কৃতজ্ঞ ভাবে মুকুলের দিকে চাহিয়৷ রহিল। মনে ধনে বলিল, এই মেন্থেটির সত্যি সত্যি জামায়া আছে বটে। দেয় কুকুরটা । তখন ত কামড়েছিল এক রকম—মনে হচ্ছে, কোথাও যেন নখের অঁাচড়-টাচড় একটু লাগিয়ে দিয়েছে। দেহের উপর নখের আঁচড় খুজিতে লাগিল রাইচরণ। কিন্তু সত্যই কোন কুকুরের সঙ্গে পথে সাক্ষাৎ না-হওয়ায় রাইচরণ কোন প্রকারের ক্ষতচিহ্ন দেখাইতে পারিল না। মুকুলের সম্মুখে সে একটু লজ্জায় পড়িয়া গেল—মনে মনে ভাবিল, মুকুল হয়ত তাহাকে মিথ্যাবাদী ভাবিল। তা ভাবুক, নিজেকে আজ সে কাহারও অপেক্ষা ছোট ভাবিতে পারিতেছিল না—হষ্টতে পারে, শত মিথ্যাভাষণের দ্বারা তাহার এই অমুকম্প আকর্ষণ করা কাঙাল বৃত্তি । অনেকের অনেক কিছু বাহিরে রহিয়া গিয়াছে—প্রায় সকলের মুখেই তাই উদ্বেগের ছায়া। কিন্তু চার নম্বরের পরিবারে কোন রকম দুশ্চিস্তার কালো ছায়া ছিল না । ক্ষ্যাপা কুকুরের অতর্কিত এই আবির্ভাবে এই পরিবারের কর্তা প্রৌঢ় মনোহর বাৰু খুশীই হইয়াছিলেন। তিনি স্ত্রীকে বুঝাইতেছিলেন, একে ডিসপেপসিয়ার রোগী—একটু কোথায় ঘুরে ঘুরে বেড়াবে—তা না, কুচল-জঙ্গলের মধ্যে ব'সে বসে অনবরত ছাইপাশ লেখা। এই ক্ষ্যাপা কুকুরের হিড়িকে তপেশ আমাদের যদি লেখা ছেড়ে, একটু ঘুরে ঘুরে বেড়ায় তা হ’লে•••বfলয় মনোহর বাৰু মাথা ঝাকাইলেন । অর্থাৎ তপেশের ডিসপেপসিয়া তাহা হইলে সারিয়া যাইবে। রাইচরণ সন্ধ্যার মুখে ফিরিয়া আসিল—প্ৰভূ বীরেন রায় বা ক্যামের-পাগল অতীশকে কোথাও সে খুজিয়া পায় নাই। এই সংবাদটা দিতে গিয়া সে বারান্দার মুখে থমকিয়া দাড়াইল । বড় হলটায় বীরেন, অতীশ এবং আরও কয়েক জনকে ঘিরিয়া মেয়ে-পুরুষের রীতিমত ভিড় । সে अकtजब्र अकारङ पैॉफ़ांझेब्र dईक्ल फ्रेंकूद्र क्रबकछैो कथांब्र মৰ্ম্মার্থ গ্রহণ করিয়া বুঝিল-মাঝখানে ঐ ষে জন সাত-আট যুবক বুক ফুলাইয়া দাড়াইয়, যাহাদের ঘিরিয়াই জন্মতা— তাহারা শিকারে গিয়াছিল-রীতিমতু ভরতপুরের গভীর জঙ্গলের মধ্যে যেখানে বাঘ, ভালুক ইত্যাদি হিংস্র পশুর দল পৰ্যাপ্ত; কিন্তু দুখের বিষয়, তাহদের বাহারও সহিত