পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক করাঘাত করিতে আরম্ভ করিলেন । র্তাহার হাতখানা ধরিয়া ফেলিল । মা বলিলেন—না না ! ছাড় বাবা, ছাড় ! আমার মরণই মঙ্গল বাবা ! বাবা-পথের ভিখেরী ক'রে ছাড়লে বাবা ! সৰ্ব্বস্ব নিলেম হয়ে গেল বাবা, কচি ছেলে ওষুধ অভাবে চলে গেল! আর একটা আছে, ওটাও পড়েছে, ওটাও কি— । ই ই ই, ধর, ধর, বাণীকে ধর । -बांदा ! চকিতে দৃষ্টি ফিরাইয়া বিশ্বনাথ চমকিয়া উঠিল—অদূরে কঙ্কালসার বাণী দাড়াইয়! থর থর করিয়া কঁাপিতে কঁাপিতে তাহাকে ডাকিতেছে—বাবা । সে ছুটিয়া গিয়া তাহাকে কোলে তুলিয়া লইল । ঘরে ঢুকিতেই তাহার স্ত্রী পাধুে আছাড় খাইয়া বলিল— fবষ এনে দাও, আমাকে বিষ এনে দাও । নইলে ওই পা চাপিয়ে দাও অামার গলায় ! মা আসিয়া বধূকে হাত ধরিয়া তুলিলেন। তার পর আরম্ভ করিলেন দুঃখের কাহিনী । বিশ্বনাথ নিৰ্ব্বাক হইয়া "ার শিয়রে বসিয়া সব শুনিয়া গেল । 籌 籌 囊 সন্ধাতেই সে আবার বাহির হইয়া গেল। গেল সে পঞ্চাননের কাছে । সে একবার চাকরি দিতে চাহিয়াছিল । বাজবংশের মর্যাদা ! 'বিশ্বনাথের ইচ্ছা হইল একবার পাগলের মত হাসে । রাজবংশ, রাজবংশ ! পঞ্চানন তাহাকে দেখিয়া মহা সমাদর করিয়া বসাইয়া বলিল—এলেন কবে ? —এই আজই। তার পর দল কেমন চলছে বল ? পঞ্চানন অবাক হইয়া গেল। সে প্রশ্ন করিল—এখনও . বাড়ী ধান নি ? . হাসিয়া বিশ্বনাথ বলিল—সকালে এসেছি । দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া পঞ্চানন বলিল—ছেলেটি মারা গেল ! হাসিয়াই বিশ্বনাথ বলিল—কি করব বল—ও তে ভগবানের হাত । & —হ্য তা বটে। কিন্তু— । তার ওপর ঘোষবাবুদের কাও শুনেছেন ত ? সেই রাগে, গ্লোপনে নালিশ করে, সমন-টমন সব গোপন করে সমস্ত নিলেম ক’রে নিয়েছে আপনার ! তাড়াতাড়ি বিশ্বনাথ রাজপুত্র 8A এবারও হাসিয়া বিশ্বনাথ বলিল—তাও শুনেছি। —আপনি আপীল করুন। ও ঘুরে যাবে। —ই আর এক কাজ করুন দাদাবাবু, আপনি ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবকে গিয়ে ধরুন। বলুন সেই রাগে Yাষের এষ্ট করেছে। আপণি এর বিহিত করুন। প্ৰ ঘাড় নাড়িয়া বিশ্বনাথ বলিল—তাই কি হয় পঞ্চানন ? টাকা পাবে তারা—আর নিজের স্বার্থের জন্তে--তাই কি হয়? পাগল তুমি ! 嶽 • পঞ্চানন অবাক হইয় তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল । হাসিয়া বিশ্বনাথ বলিল—এখন দলের খবর কি বল ? পঞ্চানন বলিল-দলের খরচ দাদাবাবু রোজ বাড়ছে! ভাবছি লোক দু-চারটে কমিয়ে দোব । সেই যে পার্টের জন্যে আপনাকে বলেছিলাম—সে জন্তে একজন ভাল লোক এনেছি—মোট মাইনে দিয়ে। তবে ই লোক খুব সরেস। লোকটা দলটাকে ভেঙে গড়ে তুললে দাদাবাবু। একদিন আসবেন রিহারস্তাল শুনবেন ! কাসিয়া গলাটা পরিষ্কার করিয়া বিশ্বনাথ বরিল—তাই । আসব, আচ্ছা উঠি আজ । সে উঠিয়া ভাঙা গাড়ীটা অন্ধকার পথে চালাইয়া দিল । পথে সহসা তাহার মনে হইল—কন্ধেকূলের বীজ ত অজস্র ধরিয়া আছে! পরক্ষণেই শিহরিয়া উঠিয় দ্রুত সে সাইকেলটা চালাইয়া দিল । 彰 দ্বিপ্রহর রাজি । t মা স্ত্রী আজ তাহাকে পাইয়া নিশ্চিন্ত হইয়া ঘুমাইয়াছেন। একই ঘরে সকলে শুইয়া আছেন। মধ্যে মধ্যে কম্পিত দীর্ঘশ্বাস পড়িতেছে সত্য, তবুও নিশ্চিন্ততার ছাপ তাহদের ঘুমন্ত মুখে ফুটিয়া উঠিয়াছে। বাণীও মুস্থ আছে। বিশ্বনাথ অন্ধকারের দিকে চাহিয়া আকাশপাতাল চিন্ত| করিতেছিল । , থিয়েটার—সিনেমা ! কিন্তু সে বহু দূরের কথা। কালই যে তাহার অর্থের প্রয়োজন! স্থির স্থাণুর মত সে বসিয়া ভাবিভেছিল। সহসা তাহার মুখ প্রফুল্ল হইয়া উঠিল । আরও কিছুক্ষণ চিন্তা করিাসে আলো ও কাগজ-কলম লইয়া বসিল। রাত্রি তখন প্রমণ শেফহইয়া আসিয়াছে, মার্যুে ঘুম