পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوی দরজা খোলা ; অনেক লোক তাহার ভিতরে ও বাহিরে আনাগোনা করিতেছে, তাহারা দেখিলেন । নানা প্রকারের মিষ্টায়, রুটি ও মাংসের গন্ধ চারি দিক ভরপুর করিয়া তুলিয়াছিল। উকুনের চারি দিক ছোটবড় নানা আকারের বাসনে পরিপূর্ণ। স্বন্দর তাম্রপাত্রে ও অন্যাঙ্ক বহুপ্রকার জিনিষপত্রে দ্বার ঘরের দেয়াল স্থসজ্জিত। গুডমুও বাহির হইবার সময় মনে মনে ভাবিল, “দেখ, আমার বিবাহের উৎসবে এত লোক মত্ত হইয়া কাজ করিতেছে।” ঘরের ভিতর দিয়া বাহির হইবার সময় বাড়ীর লোকেরা যে কিরূপ ধনী সে তাহার আভাস পাইয়াছিল । ভোজনগৃহে প্রকাও টেবিলের উপর কেমন ভাবে রূপার কাটা-চামচ সাজান হইয়াছে তাহা তাহার চোখে প্রবাসী 令\●●● পড়িল । নানা প্রকারের মূল্যবান উপহার সামগ্রী কিভাবে সাজাইয়া রাখা হইয়াছে, একটা কোঠায় ছোটবড় বাক্স বোঝাই, সবই সে দেখিতে পাইল । তারপর বাহিরে আসিয়া দেখিল,—মৃতন-পুরাতন অনেকগুলি গাড়ী সারি করিয়া রাখা হইয়াছে, আস্তাবল হইতে একটি একটি করিয়া চমৎকার ঘোড়াগুলি বাহিরে জানা হইতেছে, মূল্যবান চাদর দ্বারা গাড়ীর গদিগুলিকে মণ্ডিত করা হইতেছে। গুডমুণ্ড বাড়ীর গোশাল, আস্তাবল, মেযশালা, গোল-ঘর এবং অক্ষান্ত ছোটবড় একচালার চারিদিকে একবার চোখ বুলাইয়া লইল । গাড়ীতে উঠিয়া ভাবিল, “এ সমস্তইত আমার হইতে পারিত।” [ ক্রমশঃ ] সীমাহীন এই প্রেম শ্ৰীহেমচন্দ্র বাগচী আমি আছি—এই সত্য প্রথম করি অনুভব দিব। আর রজনীর সংখ্যাহীন প্রতিটি নিমেষে, শব্দহীন কালের প্রবাহে। আনন্দ-উদ্বেল প্রাণ, যখনি স্মরণ করি প্রিয়া আছে নিভৃত কুটীরে— যখনি স্মরণ করি লুপ্ত হয় বিরহ-ভাবনা ; —সীমাহীন এই প্রেম, প্রণতি জানাই বারম্বার । মরদেহে লভিলাম জন্ম আর মৃত্যুর আম্বাদ, মরনেত্রে হেরিলাম জ্যোতিষ্কলোকের আবর্তন— শুনিলাম ছন্দোময় জীবনের প্রণব-ঝঙ্কার, প্রেমহীন জীবাত্মার অব্যক্ত আকুল দীর্ঘশ্বাস– প্রেমহীন জীবনের দেখিলাম ভাৰ্ত্ত শূন্তত, কোটি জন্ম-জন্মাস্তের গ্রেভস্পর্শ লভিক্ষু নীরবে ! এমনি খসিয়া গেল কালস্রোতে পাচটি বছর— দুঃখের নখর-ক্ষত আজি চাই একাস্তে ভুলিতে, মনে হয় ক্লাস্ত বড়,—যদি তুমি জাসিতে এখানে আমার কল্পনাসম লঘুপজে নিঃশৰ সঞ্চারে অদৃগুচারিণী লক্ষ্মী,—রচিতাম বন্দন তোমারপৃথিবীর কবিদল স্কন্ধ হয়ে যেত একেবারে।