পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇరిక প্রৰণসী SNご88 গাছ-লজ্জাবতী। নীচের পাতা সম্পূর্ণ মেলিয়া আছে ; চিমটি কাটিবার ফলে উপরের পাতা বুজিয়া গিয়াছে। থাকে । বাহিরের অবস্থানুসারে এই অনুভূতি-কালের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে। অপেক্ষাকৃত প্রবল আঘাত অমুভব করিতে অতি কম সময়ই লাগিয়া থাকে, কিন্তু মুছ আঘাতের অমুভূতিতে একটু সময় ব্যয় হয়। সতেজ অবস্থায় লজ্জাবতীর অমুভবশক্তি ব্যাঙের তুলনায় ছয় গুণ বেশী, কিন্তু যখন শীতে বা অন্ত কোন কারণে আড়ষ্ট হইয়। পড়ে তখন এই অমুভূতিকাল অত্যস্ত দীর্ঘ হইয়া যায়। অধিক ক্লাস্ত হইলে অমুভূতি-শক্তির সাময়িক বিলোপ ঘটে, তখন গাছ মোটেই সাড় দেয় না । এই সম্বন্ধে লজ্জাবতী গাছের আচরণ পূৰ্ব্বেই বর্ণনা করিয়াছি । গরম জলে স্নান করাইয়া লইলে তাহার এই জড়ত। শীঘ্রই বিদূরিত হয় । জন্তুদেহের এক স্থানে আঘাত করিলে তাহার ধাক্কা স্নায়ুসাহায্যে দূরে প্রবাহিত হয়। উষ্ণতায় স্নায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায় আবার ঠাণ্ডায় বেগ হ্রাস পায় । বৃক্ষদেহে স্নায়ুপ্রবাহ প্রাণীদেহ অপেক্ষা মন্থর গতিতে পরিচালিত হইয়া থাকে, কিন্তু স্নায়ু সম্বন্ধে যত প্রকার পরীক্ষা আছে, তাহার সমস্ত পরীক্ষা দ্বারা, জীব ও উদ্ভিদে যে এ-সম্বন্ধে কোন ভেদ নাই তাহা পরিষ্কার প্রমাণিত হইয়াছে। জীবদেহের অংশ-বিশেষে একটি আশ্চৰ্য্য পেশী আছে। যত কাল জীবন থাকে তাহ তত কাল অহরহ স্পদিত হইতে থাকে। কিন্তু কি করিয়৷ এই স্বতঃস্পন্দন ঘটিয়া থাকে, তাহ আজ পর্য্যস্তু জানা বায়ু নাই । পূৰ্ব্বেই, বলিয়াছি, বন-চাড়ালের পত্রেও এরূপ স্বতঃস্পন্দন দেখিতে পাওয়া যায় । বৃক্ষদেহের এই স্বতঃস্পদিনের কারণ অমুসন্ধানের ফলে হয়ত অপেক্ষাকৃত সংস্থা উপায়ে এই স্পন্দন-রহস্য উদঘাটিত হইবে । শারীরতত্ত্ববিদে২ হৃৎপিণ্ডের এক অদ্ভূত রহস্য উদঘাটনের জঙ্ক ব্যাঙ, কচ্ছপ প্রভৃতি প্রাণীর হৃদয় কাটিয়া লইয়। পরীক্ষা করেন । কিন্তু শরীর হইতে হৃৎপিণ্ড বাহির করিয়া লইলেই তাহার স্পন্দন বন্ধ হইবার উপক্রম হয়, তখন সূক্ষ নলের সাহায্যে রক্তের চাপ প্রয়োগ করিলে অনেক ক্ষণ ধরিয়া স্পন্দন অব্যাহত গতিতে চলিতে থাকে । তথম নানা ভাবে ইহার উপর পরীক্ষা চলিতে পারে। উত্তাপ-প্রয়োগে হৃৎস্পন্দন দ্রুততর হয়, কিন্তু শৈত্যের ফল ইহার বিপরীত । নানাবিধ ঔষধ প্রয়োগে স্পঞ্জনের তাল নানা ভাবে পরিবৰ্ত্তিত হয়। ঈথার প্রয়োগে সাময়িক ভাবে স্পন্দন স্থগিত হয়, কিন্তু একটু হাওয়৷ করিলেই স্বাভাবিক অবস্থ। প্রাপ্ত হয় । ক্লেরোফরম-প্রয়োগেও হৃৎপিণ্ড আসাড় হইয়ু পড়ে। মাত্র বেশী হইলে হৃংস্পন্দন চিরতরে বিলুপ্ত হইবার আশঙ্কা আছে। বন-চাড়ালের স্পন্দনশীল পত্রেও অনুরূপ পরিবর্তন লক্ষিত হয় । জগদীশচন্দ্রের পরীক্ষার ফলে ইহা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত হইয়াছে যে, আঘাত-উত্তেজনায় কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আণবিক সংস্থান বিপৰ্য্যস্ত হইলেই জীব ও উদ্ভিদে একই নিয়মে সাড়ার অভিব্যক্তি ঘটিয়া থাকে । তবে কোন উপায়ে এই আণবিক সন্নিবেশ নিয়ন্ত্রিত করা যাইতে পারে কি ? এই সম্বন্ধে তিনি বলিয়াছেন, “তবে কি উপায়ে আণবিক সন্নিবেশ সমুখ অথবা "বিমুখ হইতে পারে? এরূপ দেখা যায় ষে বিদ্যুৎপ্রবাহ এক দিকে প্রেরণ করিলে নিকটের চুম্বক-শলাকাগুলি ঘুরিয়া একমুখী হইয়া যায় । বিদ্যুৎপ্রবাহ অস্ক দিকে প্রেরণ করিলে শলাকাগুলি ঘুরিয়া অস্তমুখী হয় । বিদ্যুৎবাহক জলীয় পদাথের ভিতর দিয়া যদি বিদ্যুংস্রোত প্রেরণ করা যায় তবে অণুগুলিও বিচলিত হইয়া যায় এবং অণুসন্নিবেশ বিদ্যুৎস্রোতের দিক , অমুসারে নিয়মিত হইয় থাকে । “স্নায়ুসুত্রে এই উপায়ে দুই বিভিন্ন প্রকার আণবিক সন্নিবেশ করা যাইতে পারে । প্রথম পরীক্ষা লজ্জাবতী লইয়া করিয়াছিলাম । আঘাতের মাত্র এরূপ ক্ষীণ করিলাম যে লজ্জাবতী তাহ অনুভব করিতে সমর্থ হইল না । তাহার পর আণবিক সন্নিবেশ সমুখ করা হইল। আমনি যে আঘাত লজ্জাবতী কোন দিনও টের পায় নাই, এখন তাহ অমুভব করিল এবং সজোরে পাতা নাডিয়া সাড়া দিল । ইহার পর আণবিক সন্নিবেশ বিমুখ করিলাম, এবং লজ্জাবতীর উপর প্রচণ্ড আঘাত করিলেও, লজ্জাবতী তাহতে ভ্ৰক্ষেপ করিল না, পাতাগুলি নিম্পদিত থাকিয়া উপে, জানাইল । “তাহার পর ভেক ধরিয়া পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে পরীক্ষা করিলাম । ধে আঘাত ভেক কোন দিনও অনুভব করে নাই স্নায়ুষ্মণে সমুখ’ আণবিক সন্নিবেশে সে তাহ অমুভৱ কৰিল এবং গা নাড়িয় সাড়া দিল। ফ্রাহার পর কাটা ঘায়ে নুন প্রয়োগ করিলাম । এবার ব্যাঙ ছটফুট করিতে লাগিল, কিন্তু ধেমনই আণবিক সন্নিবে" বিমুখ’ করিলাম আমনই বেদনাজনক প্রবাহ যেন পথের মাঝখানে चांदक श्ब्र! ब्रश्णि 4द९ वाॉछ ७रकदांtब शांछ श्झेण !” [ চিত্রগুলি লেখক কর্তৃক গৃহীত ]