পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

thRa SNー)●● বৌদ্ধ মন্দিরে পুরোহিতবৃন্দ সভ্যতার স্বর্থ-স্বাচ্ছদ্য যেখানেই ছড়িয়েছে সেখানেই এই এক ছাচে ঢালা পৃথিবী। যাত্রীরা সব ভারী ভারী ওভারকোট ও গরম টুপি পরে ব্যাগ-হাতে সিড়ির কাছে উৎসুক হয়ে দাড়িয়েছে। যারা হংকং ইতিপূৰ্ব্বে দেখেছে তার নবাগতদের দূর থেকে আঙুল বাড়িয়ে কোনটা কি চিনিয়ে দিচ্ছে । পাসপোটে ছাপ নেওয়া অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে । ৩টায় রোজ চা পাবার কথা, কিন্তু আজ আর সে-সব কথা কারুর মনে নেই । যারা এইখানেই একেবারে নেমে পড়বে তাদের চেয়ে যারা শুধু কয়েক ঘণ্টার জন্য বেড়াতে নামবে তাদেরই উৎসাহ বেশী । ৩টা বেজে যায় দেখে যাত্রীদের ডেকেডুকে টেবল-বয়রা কোন রকমে একটু চা খাইয়ে দিল । সেখানে বসে পেয়ালাহাতে গল্প আজ আর জমল না । সকলে আবার হুড়মুড় ক’রে উপরে ছুটল। কিন্তু ষ্টীম-লঞ্চের তখনও দেখা নেই। যে-চীনারা দেশে ফিরছিল তারা ডিঙি নৌকা ডাকিয়ে পিঠে নক্সাকাটা ঝোলায় তাদের খোকাখুকী বেঁধে চটপট নেমে পড়ল ঘাটে জাহাজ aঠকছে না, কাজেই মাঝজল থেকে সবাইকে নৌকা কি ষ্টীমারে যেতে হবে। এইবার এল আদত বন্দর । হংকং বিরাট বন্দর, প্রকাও শহর। কত যে অসংখ্য নৌকা আর সারি সাবি জাহাজ বন্দর ভীরে দাড়িয়েছে তার ঠিক নেই। মালবোঝাই নৌকায় আমাদের দেশের মতই রান্নাবান্না, তরকা:ি কোটা চলেছে, জেলে নৌকায় সারি সারি দড়ি বেঁধে তিজে জামাকাপড় শুকচ্ছে, ছোট নৌকায় করে বিলাষ্ট্র টুপি মাথায় ডানপিটে চীনে ছেলেরা বঁাশ লাগিয়ে জাহাঙ্গ বেয়ে চড়তে আসছে । লম্বা লম্বা বেণী-ঝোলানো কালে পায়জাম-পরা চীন-নন্দিনীর সব দাড় বেয়ে নৌক, চালাচ্ছেন, অন্য কারুর নৌকা ঘাড়ে এসে পড়লে দাড়ের এক ঠেলায় দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন। নৌকা বাধবায় কাছির শেষে বেতের একটা করে ঝোড়া ঝোলান । মানুষের মুখ সব নৃতন রকম। এই অতি জীবন্ত বন্দরের নৌকা, পাল, মানুষ ইত্যাদি দেখে মনে হচ্ছিল, এত দি.ে সত্যি একটা নুতনু দেশে এসেছি বটে। নৌকাগুলি এর কাছ থেকে দেখলাম, পালগুলো কাপড়েরই বটে, পাত ।