পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ न्विन्तुि বিষ্ণুপুর বিষ্ণুপুর বাকুড়া জেলার একটি মহকুমার প্রধান শহর । এখন ইহার পরিচয় এই প্রকার। কিন্তু বিষ্ণুপুর প্রাচীন *श्व्र । १थन ‘वैंकूफ़ा' नांभü श्रख्ञांउ श्लि, १थन वैदूिफ़ाँ জেলা গঠিত হয় নাই, তখনও বিষ্ণুপুর জনসমাজে পরিচিত ছিল। ইহা মল্লভূম সামন্ত রাজ্যের রাজধানী ছিল । ইংরেজরাজত্বের প্রথম যুগ পর্যন্ত, কোম্পানীর আমলে, ইহা অৰ্দ্ধস্বাধীন বা প্রায়-স্বাধীন ছিল । ইহার প্রাচীন শাসনপ্রণালীর বহু প্রশংসা আছে । ইহার প্রাক্তন সমৃদ্ধির চিহ্ন এখন বিশেষ কিছু নাই। বাধ নামে খ্যাত কয়েকটি বৃহৎ সরোবর আছে, তাহাও বহু পরিমাণে মজিয়া ভরাট হইয়া গিয়াছে । ੋਕ দুর্গের দু-একটি সিংহদ্বার অাছে, এবং মৃৎপ্রাকারের ভগ্নাবশেষ আছে। কয়েকটি পুরাতন মন্দির আছে। অলঙ্কত করিবার নিমিত্ত ধে-সকল ছোট ছোট মাটির মূৰ্ত্তি তাহার প্রাচীরগাত্রে সন্নিবিষ্ট হইয়াছিল, তাহার অনেকগুলি এখনও ভাল অবস্থায় আছে। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে আমরা প্রবাসীতে তাহার ফোটোগ্রাফিক চিত্র প্রকাশ করিয়াছিলাম । মন্দিরগুলির স্থাপত্য প্রশংসনীয়। ষে-কটি কামান এখনও আছে, তাহার মধ্যে দলমাদল' ( "দলমৰ্দ্দন" ) বিখ্যাত । বাংলা জেশের বৈষ্ণব ধর্মের ইতিহাসে ও বৈষ্ণব সাহিত্যে বিষ্ণুপুর চিরপ্রসিদ্ধ থাকিবে। ইহার কোন কোন প্রাচীন শিল্প এখনও সম্পূর্ণ লুপ্ত হয় নাই। বাংলা দেশের অনেক পুরাতন শহর এখন শ্রীহীন । বিষ্ণুপুরের পূর্মগৌরব না-থাকিলেও ইহা সম্পূর্ণ ঐহীন হইয়া ধায় নাই। অন্ততঃ এখন এখানে নূতন জীবনের, নবজাগরণের পরিচয় পাওয়া যায়। বিষ্ণুপুরে বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় সম্মেলন বন্ধীর রাষ্ট্ৰীং সম্মেলনের টুত্ৰিশ অধিবেশন বিষ্ণুপুরে ** बॉशबॉब्रौ मारनब्र cनय गशारश् श्झां गिबांटझ् ।। ३शब्र অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি ঐযুক্ত রাধাগোবিন রায় ও ইহার সাধারণ কৰ্ম্মসচিব ঐযুক্ত রামনলিনী চক্ৰবৰ্ত্তী এবং র্তাহাদের সহকৰ্ম্মীদিগের উদ্যোগিতা ও কশ্মিষ্ঠভায় অধিবেশনের বন্দোবস্তু তাহা আরম্ভ হইবার পূৰ্ব্বেই সমাপ্ত হুইয়াছিল। রাষ্ট্ৰীয়ু সম্মেলনের আনুষঙ্গিক একটি কৃষি শিল্প ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনী খোলা হইয়াছিল। তাহার প্রারম্ভিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে গত ২৭শে জানুয়ারী বিষ্ণুপুর গিয়াছিলাম। সম্মেলনের মণ্ডপ খুব বড় করা হইয়াছিল। যেখানে উহু নিৰ্ম্মিত্ত হইয়াছিল, সেই স্থান পূৰ্ব্বে দুর্গের মধ্যে ছিল । যাহারা বঙ্গীয় রাষ্ট্ৰীয় সম্মেলনের অন্যান্ত স্থানের অধিবেশন দেখিয়াছেন, তাহাজের মতে ইহা এই সম্মেলনের বৃহত্তম মণ্ডপ । আগে আগে কংগ্রেসের জন্ত যেরূপ মণ্ডপ প্রস্তুত হুইত, ১৯২৮ সালে কলিকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশনের জন্ত যত বড় মণ্ডপ হইয়াছিল, ইহা তদপেক্ষা বৃহৎ–বোধ হয় ১৯২৯ সালের লাহোর কংগ্রেসের মণ্ডপের চেয়েও বড়। তাহা আমি দেখিয়াছিলাম। নিজের জেলার বড়াই করিবার জন্য এ-কথা বলিতেছি না। বলিতেছি ইহাই বুঝিবার ও বুঝাইবার জন্ত যে, আজকাল দেশের লোকদের, সাধারণ লোকদেরও, মধ্যে সাৰ্ব্বজনিক বিষয় সম্বন্ধে কৌতুহল এত বাড়িয়াছে, ধে, এখন আগেকার মত ছোট মণ্ডপে কৌতুহলী সব মামুষের জায়গা হইতে পারে না। তাহার আরও একটি কারণ, নারীরাও এখন সাৰ্ব্বজনিক বিষয়ে কৌতুহলী ও জাগ্রহী হইয়াছেন। কৌতুহলী ও আগ্রহীদিগের মধ্য হইতে ধীরে ধীরে ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় কৰ্ম্মী পাওয়া যাইতেছে। মওপ যেরূপ বৃহৎ হইয়াছিল, শ্রোতার সমাগম তদনুরূপ হুইয়াছিল কিনা প্রত্যক্ষ জ্ঞান হইতে বলিতে পারি না ; কারণ, প্রদর্শনীর উদ্বোধনের পরই আমাকে চলিয়া আসিতে হইয়াছিল। আশা করি, জনসমাগম যথেষ্ট হইয়াছিল । খবরের কাগজে সেইরূপ পড়িয়াছি। • মওপে বৈদ্যুতিক আলোকের ব্যবস্থা হইবে, এবং অপেক্ষাকৃত ক্ষীণকণ্ঠের বকৃতাও মওপস্থিত দূরতম জোতারও