পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૭g প্রদর্শনীটি সম্বন্ধে সাধারণ ভাবে লক্ষ্য করিবার বিষয় ছিল চিত্রগুলির অঙ্কণরীতির ও বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য । মণীন্দ্র বাবু বালক-অবস্থায় শাস্তিনিকেতনে ছাত্র থাকার সময় তাহার শিল্পান্নুরাগ পরিস্ফুট হয় ও তখন হইতেই তিনি চিত্রবিদ্যার চর্চা আরম্ভ করেন। পরে যখন শাস্তিনিকেতনে কলাভবন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন তিনি বি-এ পরীক্ষার্থী হইয়াও পরীক্ষা পৰ্য্যস্ত অপেক্ষ না-করিয়াই উৎসাহভরে নিয়মিত ছাত্র হিসাবে কলাভবনে যোগ দেন। তাহার ছাত্রাবস্থার সেই শিল্পোৎসাহ কালক্রমে মান হয় নাই, এই প্রদর্শনীটি দেখিয়া তাহা বুঝা গিয়াছিল। আধুনিক কালে ভারতীয় শিল্পকলার চর্চার পুনরারম্ভের সময় প্রথমে স্বভাবতই শিল্পীদের দৃষ্টি ভারতবর্ষের পূর্ব পূৰ্ব্ব চিত্রাঙ্কণ-পদ্ধতি ও পৌরাণিক বিষয়বস্তুর দিকে নিবদ্ধ হইয়াছিল। কিন্তু অনেক শিল্পীর দৃষ্টি আর উহার অধিক অগ্রসর না-হওয়ায় বঙ্গীয় চিত্রকলার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আশঙ্কার কারণ ঘটিয়াছে ৷ ‘ইfওয়ান আর্ট বলিতে এক বিশেষ ধরণে আঁকা দেবদেবীর চিত্র বুঝায়, ইহাও অনেকের ধারণ জন্মিয়াছে এবং শিল্পের আঙ্গিক সম্বন্ধে শিক্ষালাভ না-করিয়াও তথাকথিত ইণ্ডিয়ান অর্টের কতকগুলি বিশেষ ভগ্নী ( mannerism ) গ্রহণ করিয়া অনেকে শিল্পী বলিয়া পরিচিত হইতেছেন। আমাদের দেশে জন-সাধারণের যদি শিল্প সম্বন্ধে ঔংমুক, সাধারণ জ্ঞান, রসবোধ ও ভালমন্দ বিচার অতিশয় সামান্ত না হইত, তবে এই সকল বিকৃতিতে ভয় পাইবার অবশু কিছু ছিল না। শিল্পের বিষয়বস্তুতে আপন পরিবেশের প্রতি এবং দৈনন্দিন জীবন ও দৃশুমান জগতের প্রতি উদাসীন না থাকিবার ও অঙ্কণ-পদ্ধতিতে দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন পদ্ধতি রুচি অনুসারে পরীক্ষা করিয়া দেখিবার উৎসাহ সম্প্রতি আমাদের দেশের অনেক শিল্পী ও র্তাহাজের ছাত্রদের মধ্যে দেখা যাইতেছে। মণীন্দ্রভূষণ গুপ্তের চিত্রপ্রদর্শনী এই দিক দিয়া বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য । চলতি ধরণে তিনি অনেক ছবি আঁকিয়াছেন ; বস্তুত এই প্রদর্শনীরও অনেক ছবি তাহার দৃষ্টান্ত । কিন্তু স্পষ্টই লক্ষ্য করা যায়, এইগুলি এখন আর তাহাকে আনন্দ দেয় না, বিচায়শীল দর্শককেও জানন্দ দেয় না। কিন্তু বীরভূম ও ঢাকার যে দুগুচিত্রগুলি প্রৰণসী SNరీ8g তিনি জাকিরাছেন সেগুলি প্রকৃত শিল্পীজনোচিত স্বতঃস্ফূৰ্ত্তিতে প্রাণময় হইয়াছে। বীরভূম জেলার রুক্ষ পরিবেশ, পূৰ্ব্ববঙ্গের গ্রাম-অঞ্চলের শুrমলঐ, তাহার আনন্দিত তুলিকার বর্ণসম্পাতে নূতন শোভা ধারণ করিয়াছে, ছবিগুলি বাস্তবসম্পর্ক শূন্ত না-হুইয়াও মনোহর হইয়াছে।—স NZ শান্তিনিকেতনে হিন্দীভবন প্রতিষ্ঠা মি: সী. এফ. এগুরুজের পৌরোহিত্যে সম্প্রতি শাস্তিনিকেতনে যে হিন্দীভবন প্রতিষ্ঠা উৎসব সম্পন্ন হইয়াছে, নানা কারণে তাহা উল্লেখযোগ্য । ভারতবর্ষের অস্তান্ত প্রদেশ সম্বন্ধে বাঙালীদের মনে ঔংস্থক্যের ও একাত্মবোধের অভাব, এই অপবাদ সৰ্ব্বাংশে সত্য না হইলেও অনেকাংশে সত্য, একথা স্বীকার না করিয়া উপায় নাই। অন্যপ্রদেশীয়েরা বাঙালীর প্রতি সদয়মনোভাবসম্পন্ন কি না, সে আলোচনা এখানে করিয়া লাভ নাই । কিন্তু ভারতবর্ষের অর্থও ঐক্যের কথা বিস্কৃত হইয়া আমাদের মধ্যে বহুসংখ্যক লোক অতীতে অ-বাঙালীদের সম্বন্ধে অবজ্ঞার ভাব পোষণ করিয়াছি, একথা ঠিক। রাষ্ট্রনৈতিক আলোচনা ও কৰ্ম্মে, সামাজিক উন্নতি-প্রচেষ্টায়, শিল্পকলায় ভারতবর্ষের মধ্যে বাংলাদেশই আধুনিককালে অগ্রণী হইয়াছে ; ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশের আধুনিক সাহিত্যের মধ্যে বাংলা সাহিত্যই শ্রেষ্ঠ ; এই শ্রেষ্ঠতাভিমান আমাদিগকে অন্ত প্রদেশ সম্বন্ধে অনেক পরিমাণে উদাসীন করিয়া রাখিয়াছে। গত কয়েক বৎসর সর্বভারতীয় ব্যাপারে কোণঠাসা হইয়া থাকায় এই অভিমান এখন বাহিরে সর্বদ धकांश भाञ्च न यtछे, किरू हेशव्र घून मडे श्द्र नाझे । সৰ্ব্বভারতীয় ব্যাপারে অন্তপ্রদেশীয়গণ বর্তৃক বাঙালীদের কোণঠাসা করিয়া রাখিবার চেষ্টার অন্তত্তম কারণ৪ আমাদের এই শ্রেষ্ঠত্ববোধ । সাহিত্যের কথা ধরা যাক। বাংলা সাহিত্য শ্রেষ্ঠ, অতএব অল্প প্রদেশের লোকেরা ইহা পড়িবেই, আমাদের মনে এইরূপ ধারণ মিয়া থাকিতে পারে। কিন্তু অন্য প্রদেশের সাহিত্য সম্বন্ধে আমাদের যেন কোন খোজও লইবার দরকার নাই ; তাহাতে ভালমন্দ কি আছে না আছে, সে-সম্বন্ধে আমাদের কোন কৌতুহলবোধ পৰ্যন্ত নাই।