পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مسيرتي به প্রবাসী ১৩৪৪ কৃষাণ ও শ্রমিকদিগের অসন্তোষ কৃষাণ ও শ্রমিকদের অসন্তোষ পূৰ্ব্বে ধে ভাবে চলিতেছিল, তাহাতে সকলেই আশা করিয়াছিলেন যে, জনপ্রিয় কংগ্রেসের মন্ত্রিত্ব গ্রহণের সহিত উহাও নিবারিত বা প্রশমিত হইয়া যাইবে । কিন্তু দুঃখের বিষয় তাহা না হইয়া বরং উক্ত আন্দোলন স্বেরূপ আকার ধারণ করিতেছে তাহাতে উহা যে কেবল কংগ্রেসী মন্ত্রিসভাকেই চিন্তাম্বিত করিষ্কাছে তাহা নহে, ধাহার দেশের শাসনকার্ষ্যে কংগ্রেসের সাফল্য দেখিতে চাহেন তাহাদিগের অস্তরেও চিন্ত ও উদ্বেগ জাগ্রত করিয়াছে। কংগ্রেসী মন্ত্রিসভা মন্ত্রিত্ব গ্রহণের পর হইতে নিজেদের পূর্ব প্রতিশ্রুতি মত কৃষাণ প্রভৃতিদের অবস্থোন্নতিকল্পে যথাসাধ্য চেষ্টা করিতেছেন, কিন্তু যাহারা বামপন্থী, বা ধাহাদিগকে কমুনিষ্ট দলভূক্ত বলা যায়, তাহারা উহ। আঙ্গে যথেষ্ট মনে করেন না, এবং এ-বিষয়ে কংগ্রেসী মন্ত্রীদের কেবল সমালোচনা করিয়া ক্ষাস্ত না হইয়া কৃষাণ প্রভৃতিদের মধ্যে অসস্তোষ জাগ্রত করিতে পশ্চাদপদ হইতেছেন না। অনেকে মনে করিয়া থাকেন যে, উগ্ৰপন্থী বা বামপন্থীদের এই আন্দোলন কুষাণ প্রভৃতিদের অবস্থোন্নতিকল্পে যতটা না হউক, উহার প্রকৃত উদ্বেগু শ্রেণীবিরোধ জাগ্রত করা। কমু্যনিষ্টদের যে ইহাই প্রকৃত ও মূখ্য উদ্বেগু সে-ৰিষয়ে লুকাচুরি কিছু নাই, এবং তাহাদের কার্ধ্যাদি দেখিয়া লোকের মনে তাহদের উদ্দেশু সম্বন্ধে সন্দিহান হওয়াও কিছু আশ্চৰ্য্য নহে। বৰ্ত্তমান কংগ্রেসী মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে উক্ত বামপন্থী নেতাদের আন্দোলন খৰ্ব্ব করিবার জন্য এমন কি পণ্ডিত জৱাহরলালও সাবধানবাণী ঘোষণা করেন যে, উহারা অচিরে নিবৃত্ত না হইলে পার্টিশাসনের দ্বারা উহাদিগকে সংঘত করা আবশুক। ইহাতে উক্ত বামপন্থীরাও অসন্তুষ্ট হইয়া কংগ্রেস পরিত্যাগ করিয়া নিজের স্বতন্ত্রভাবে কংগ্রেস-নীতির বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইবেন কি-না, সে-বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা করিতেছেন। কংগ্রেসের অধিকাংশ সভ্য এক্ষণে কমু্যনিষ্টদের সহিত চরমে . যাইতে প্রস্তুত নহেন, সেই জন্ত উক্ত কমুনিষ্টর কংগ্রেস ছাড়িয়া গেলে আশ্চর্ষ্য হুইব্লার কিছু নাই। কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থী ও বামপন্থীদের মধ্যে এক্ষণে উক্ত সংগ্রাম চলিতেছে। বামপন্থীরা দক্ষিণপন্থীদের নির্দেশ মানিতে চাহিতেছেন না। এক দিকে যেমন বামপন্থীরা কৃষাণদের উত্তেজিত করিতেছেন, তেমনই অপর দিকে শ্রমিকদেরও উত্তেজিত করিতেছেন। বিশেষ করিয়া কানপুরে এক্ষণে শ্রমিকদের মধ্যে যে অসস্তোষ চলিতেছে, তাহার জন্য উক্ত বামপন্থীদেরই দোষী করা হয় । কংগ্রেস-গবর্ণমেণ্ট উহা প্রশমন করিবার যথাসাধ্য চেষ্টা করিতেছেন, কিন্তু এখনও সফল হন নাই । তাহারা একাধিক বার ঘোষণা করিয়াছেন যে, পক্ষপাতহীন হইয়া সকল গণ্ডগোলের বিচার করিতে হইবে ও উভয় পক্ষেরই স্বার্থের সামঞ্জস্য করিয়া উহার মীমাংসা করিতে হইবে । দেশে কংগ্রেস-গবর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠিত হইবার পর লোকে শাস্তিশৃঙ্খলার যেরূপ আশা করিয়াছিল তাহা না হইয়া দেশে যেপরিস্থিতির উদ্ভব হইয়াছে তাহাতে কেবলমাত্র অবহিত হওয়া নহে, উহার যথার্থ মীমাংসার ভার নিজেদের হস্তে লওয়া বৰ্ত্তমান গণতন্ত্রশাসনাধীন লোকদের প্রধান দায়িত্ব হইয়া দাড়াইয়াছে, এবং দেশের বর্তমান অবস্থায় বামপন্থীদের মতে চলিলে ষে আনিষ্টের সম্ভাবনা সে-বিষয়ে লোককে সচেতন করিয়া দেওয়ার গুরুভারও তাহীদের উপরপড়িয়াছে । উত্তেজিত শ্রমিক ও কৃষাণদের আচরণে ও আন্দোলনে হঠকারিতা দেখা গেলে কোন গবন্মেষ্টই তাহা বরদাস্ত ও উপেক্ষা করিতে পারেন না বটে ; কিন্তু ইহাও মনে রাখিতে হইবে, যে, দমন প্রতিকার নহে । শাস্তিরক্ষা গবষ্মেণ্টকে অবশুই করিতে হইবে। কিন্তু কৃষাণ ও শ্রমিকের অসন্তুষ্ট ও উত্তেজিত কেন হয়, তাহাও তলাইয়া দেখিয়া অসন্তোষ ও উত্তেজনার সমুদয় কারণ বিনষ্ট করিতে হইবে। কারখানার শ্রমিক বলিয়া একটি শ্রেণীর আবির্ভাব ভারতবর্ষে যত দিন হইয়াছে, কুষাণদের আবির্ভাব ও অস্তিত্ব তাহার অনেক আগেকার কথা । জমির মালিক কৃষাণ (peasant proprietor) of *was for for ol, থাকিলে কত দিন আগে ছিল, ভtহ! এই প্রসঙ্গে জামাদের আলোচ্য নহে । জমিদার ও রায়ত বাংলা দেশে যত দিন আছে, তাহাও দীর্ঘকাল । এই দীর্ঘ কালে রায়তদের দুঃখ-দুর্দশ যাহা হইয়াছে ও এখনও আছে তাহার প্রতিকার চাই । চাষীদের সংখ্যা কারখানার শ্রমিকদের সংখ্যার চেয়ে বেশী। কৃষিক্ষেত্রের ভূমিপৃষ্ঠ শ্রমিৰ