পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

این جانسون প্রবাসী SN938 কুটার চৰ্ম্মকারুশালায় শিক্ষার্থীর চামড়-পাকাষ্টয়ের কাজ করিতেছে স্থলে বাংলা হইতে আড়াই কোটি টাকার অধিক কাচা চামড়া রপ্তানি হয় । আরও দুঃখের বিষয় এই যে, বাংলায় এই কাচা চামড় রপ্তানির কাজও বাঙালীর হাতে কিছুই নাই । ভারতবর্ষে চামড়ায় প্রস্তুত জুতা ও অন্যান্য জিনিষের ব্যবসায় খুব বিস্তৃত না হইলেও নিতান্ত সামান্য নহে । বাংলায় জুতার ব্যবসা ত সমস্ত চীনা ও পাঞ্জাবীদের হাতে । বাঙালীর হাতে এই ব্যবসায়ের যে সামান্ত অংশ আছে তাহা একরূপ নগণ্য । চামড়ার তৈরি জুতা ও অন্যান্য জিনিষের জন্য আবশ্বক সমস্ত চামড়া আমরা দেশেই পাইতে পারি এবং আমাদের আবশ্যক চামড়ার প্রস্তুত সমস্ত দ্রব্যও এদেশেই প্রস্তুত করাইয়া লইতে পারি। কিন্তু বিদেশী জুতা ও বিদেশ হইতে আমদানি-কর চামড়া না । হইলে ত আমাদের চলে না। কাজেই দেশ হইতে যেমন কাচা চামড়া বিদেশে যায়, তেমনই আবার বিদেশ হইতে পাক চামড়া, তৈরি জুতা ও অন্যান্য চামড়ার দ্রব্যও এদেশে যথেষ্ট আসে। নিয়ের হিসাব হইতে ইহা সুস্পষ্ট হইবে :– ১৯৩৬-৩৭ সালের হিসাব জুতা ు, ,తం টাকা মূল্যের •णाको घ्राभप्लो, बरु९ চামড়ায় প্রস্তুত অস্তাস্ত দ্রব্যাদি ৫১,১০,০১৯ ,, ,, ৭২,২৯,৩২৭ , $3 德 এই ত গেল চামড়ার ব্যবসা সম্বন্ধে। মৃত জন্তুর পূর্ণ উপয়োগ এক্ষণে ভারতবর্ষে মৃত জন্তুর কোন প্রকার সদ্ব্যবহার না-হওয়াতে দেশের ধনসম্পদ কিরূপে অপচয় হইতেছে তাহা দেখা যাউক । ভারতবর্ষে গোমহিষাদি গৃহপালিত পশুর সংখ্যা প্রায় আঠার কোটি, অর্থাৎ মোটামুটি বলিতে গেলে ভারতবর্ষের লোকসংখ্যা যত, গৃহপালিত পশুর সংখ্য তাহার অৰ্দ্ধেক । গড়ে যদি এই গৃহপালিত পশুর জীবনকাল ছয় বংসর করিয়া ধরা যায়, তবে প্রতি বৎসরে তিন কোটি পশুর মৃত্যু হয় । গ্রামে ব। শহরে আজকাল গরু মরিলে উহা গৃহস্থের নিকট , একটি বোঝাস্বরূপ হইয়া পড়ে। গৃহস্থকে টাকা খরচ করিয়া উহ! ভাগাড়ে ফেলিয়া দিয়া আসার ব্যবস্থা করিতে হয়। চামারের মৃত গরুর চামড়াটাই শুধু পালাইয়া লয়। উহার হাড়-মাংস বা চব্বি কিছুই সংগ্রহ করা হয় না। এই হাড়-মাংস ও চব্বি সমস্তই মূল্যবান পদার্থ। হাড় ও ংসকে জমির উৎকৃষ্ট সাররূপে পরিণত করা যাইতে পারে। 'কলিকাতা, বোম্বাই, করাচী প্রভৃতি প্রধান শহরে বিদেশীদের প্রতিষ্ঠিত হাড়-মাংস গুড়া করিবার বড় বড় কারখানা রহিয়াছে। তাহাদের নিযুক্ত এজেণ্ট গ্রামে গ্রামে ঘুরিয়া জমিতে ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত মৃত জন্তুর শুষ্ক হাড় সংগ্ৰহ করিয়া এই সমস্ত কারখানায় লইয়া আসে । কারখানা হইতে সেগুলি গুড়া হইয়া প্রায়ই বিদেশে চালান যায়। আবার সারের জন্য এবং হাড়ের নানা প্রকার জিনিষ প্রস্তুত করার জন্য বহু হাড় গুড়া না-করা অবস্থায় ৪ বিদেশে যায়। এই মূল্যবান সার আমরা বিদেশে পাঠাষ্টয় আবার বিদেশ হইতে বহুল পরিমাণে রাসায়নিক সার (ehemical manure) wfn ftf\ <şfq ı atsifqf: # সারের প্রয়োগে জমির উর্বরাশক্তি দ্রুত নিঃশেষিত ং ঃ এবং উৎপন্ন ফসলের পুষ্টিকারক শক্তিও কম হয় । *Retfos witā ( natural organic manure ), *. মৃত জস্তুর হাড়, মাংস, খৈল, গোবর ইত্যাদি জমির উর্বর শক্তি রাসায়নিক সারের অপেক্ষা অধিকতর স্থায়ী ভা" বৃদ্ধি করে, উৎপন্ন ফসলের পুষ্টিকারক শক্তিও ইহাতে ধে । হয়। কিন্তু আমরা সেদিকে কি দৃষ্টি দিই? হাড়, গৈ