পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

逸5cm ক’রে জাহাজঘাটে গিয়ে হাজির হ’লীম ! ট্যাক্সির ভাড়া এত কম হয় জানতাম না। পচিশ পয়সা ভাড়ায় অতথানি পথ নিয়ে গেল, আবার পুলিসের কাছে পথঘাট জেনে নিয়ে আমাদের যথাস্থানে পৌছে দিল । শুনেছি এদেশে পুলিসরা সৰ্ব্বদা রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে না, রাস্তার কোণে কোণে এক একটা ঘরে তারা বেশ চেয়ার-টেবিল পেতে আরামে বসে থাকে। যার দরকার সে পুলিসকে এসে পথঘাট বাড়ীর সন্ধান জিজ্ঞাসা ক’রে যায়। পথে মারামারি ঝগড়াঝাটি হয় না ব’লেই বোধ হয় এরা এত মুখে আছে। ট্যাক্সি-ড্রাইভার সৰ্ব্বদাই গাড়ী থেকে নেমে এদের কাছ থেকে আমাদের পথঘাট জেনে দিত। অবশ্য, এদের ইংরেজী উচ্চারণ ও আমাদের ইংরেজী উচ্চারণে এত আকাশপাতাল প্রভেদ, যে প্রায়ই এই নিয়ে উভয় পক্ষকে মহা গোলমালে পড়তে হ’ত । আমরা যদি বলতাম ‘আনিও মারু ওরা আকাশ থেকে পড়ত। শেষে বোর্ডে নাম দেখালে বলত, . আইয়ে মারু। দুই-একটা ষ্টেশনের নাম অনেক সাধ্য সাধন ক’রেও পুলিসদের বোঝাতে পারি নি। পথেও পুলিসের সাক্ষাং আমরা বার দুই পেয়েছিলাম, জানি না তারা পথেই ছিল কিংবা তাদের ঘর ছেড়ে তখনকার মত বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। একবার আমরা টোকিও রাজপ্রাসাদের সীমানার উণ্টাদিকে একটা ট্যাক্সিতে চড়ে কি দেখতে যাচ্ছিলাম । গাড়ীতে উঠেছি, অকস্মাৎ এক পিতলের বোতাম-পরা পুলিস-সাহেব হাল্যবিকশিত মুখে এসে হাজির ৷ তার ভাষা কিছুই বুঝলাম না, হাসি দেখে মনে হচ্ছিল সন্দেশ খেতেও দিতে পারে। সে কেবলই খাতা বের ক’রে ড্রাইভারের লাইসেন্স নম্বর নামধাম জ্ঞাতিগোত্র সব লিখছিল এবং হেসে হেসে আমার মেয়ের টুপিটা ধরে তাকে আদর করছিল । তার হাস্য ও রৌদ্ররসের একত্র আর্ভিাব দেখে আমি ঠিক করতে পারছিলাম না তার মতলবটা কি ড্রাইভারের কাতর মুখ দেখে বুঝলাম তার সমূহ বিপদ উপস্থিত। কিন্তু আশ্চৰ্য্য যে পুলিস-পুঙ্গবের মুখের হাসি একবারও নিবল না। সে,তারই মধ্যে আমার মেয়ের নাম, কোথায় যাচ্ছে ইত্যাদি জিজ্ঞাসা ক’রে চলল। জাপান ভ্ৰমণ يســـسلع জাপানী মেয়েদের পোষাক আমার সঙ্গে এক বাঙালী-দম্পতি ছিলেন তারা জাপানে বহুকাল বাস করেছেন, জাপানী ভাষা খুব ভালই জানেন । র্তাদের কাছে পরে শুনলাম যে ঐ জায়গাটাতে গাড়ী দাড় করানো এবং যাত্রী নেওয়া বারণ। ড্রাইভার সেই অপরাধ করাতে তাকে নিয়ে এই হ্যাঙ্গাম। আমরা বিদেশী মানুষ দেখে কিন্তু সে ওকে ছেড়ে দিল, অতঃপর এই রকম কাজ যেন আর না করে এই অঙ্গীকার করিয়ে । যাবার সময় সে আমাদের বিশেষ ক’রে আমার মেয়েটিকে গুডবাই ব’লে গেল । রোক্কো পাহাড়ের বরফ দেখে এসে রাত্রে জাহাজে বেশ আরামেই ঘুরনো গেল, কারণ জাহাজের কেবিনে তখন গরম হাওয়ার পাইপ দিয়ে অনেক ডিগ্রী তাপ বাড়িয়ে দিয়েছে এমন শীতের রাজ্যে যে আছি তা বোঝাই যায় না। j is -