পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক বিকেলে জলসা হবে, তা এখন কি ! মেস থেকে খেয়ে অীসব এখন ! তাহার সে-কথায় কর্ণপাত করিল না । কৰ্ণপাত করিলে আমাকে সরস্বতী-পূজার দিনটা উপবাসে কাটাইতে হইত। ম্যানেজারের অমন কড়া চিঠির পরে আমি গিয়া মেসের লুচি পায়েসের ভোজ খাইতে পারিতাম না—যখন একটা টাকাও দিই নাই। এ বেশ হইল—পেট ভরিয়া নিমন্ত্রণ খাইয়া বৈকালে জলসার আসরে গিয়া বসিলাম। আবার তিন বৎসর পূৰ্ব্বের ছাত্রজীবনের উল্লাস ফিরিয়া আসিল-কে মনে রাখে যে চাকুরী পাইলাম কি না-পাইলাম—মেসের ম্যানেজার মুখ হাড়ি করিয়া ” শিয়া আছে কি না-আছে । ঠুংরি ও কীৰ্ত্তনের সমুদ্রে তলাইয়া গিয়া ভুলিয়া গেলাম যে দেন মিটাইতে না পারিলে কাল, সকাল হইতেই বায়ুভক্ষণের ব্যবস্থা হইবে । জলস যখন ভাঙিল তখন রাত এগারট। অবিনাশের সঙ্গে আলাপ হইল, হিন্দু হোষ্টেলে থাকিবার সময় সে আর আমি ডিবেটিং ক্লাবের চাই ছিলাম—একবার সবু গুরুদাস বন্দোপাধ্যায়কে আমরা সভাপতি করিয়াছিলাম। বিষয় ছিল, “স্কুল-কলেজে বাধ্যতামূলক ধৰ্ম্মশিক্ষা প্ৰবৰ্ত্তন করা উচিত"। অবিনাশ প্রস্তাবকৰ্ত্ত, আমি প্রতিবাদী-পক্ষের মাযুক। উভয় পক্ষে তুমুল তর্কের পরে সভাপতি আমাদের পক্ষে মত দিলেন। সেই হইতে অবিনাশের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব হইয়া যায়—যদিও কলেজ হইতে বাহির হইয়া এই প্রথম আবার তাহার সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ । অবিনাশ বলিল--চল সতীশ, আমার গাড়ী রয়েছে— তোমাকে পৌছে দিই। কোথায় থাক ? মেসের দরজায় নামাইয়া দিয়া বলিল—শোন, পরশু, হারিংটন ষ্ট্রীটে আমার বাড়ীতে চ থাবে বিকেল চারটের সময় । ভুলে না যেন । তেত্রিশের দুই। লিখে রাখ ड cमॉफ़े-दश्रघ्न ? পরদিন খুজিয়া হারিংটন ষ্ট্রীট বাহির করিলাম, সতীশের বাড়ীও বাহির করিলাম। বাড়ী খুব বড় নয়, তবে সামনে । পিছনে বাগানু গেটে উইষ্টারিয়া লত, নেপালী দরোয়ান ও পিতলের প্লেট । লাল সুরকীর বাকা রাস্ত--রাস্তার এক ধারে সবুজ ঘাসের লন, অন্ত ধারে বড় বড় মুচুকুন্দ অণরণ্যক చిలిపి চাপা ও আমগাছ। গাড়ীবারীন্দায় বড় একখানা মোটর গাড়ী। বড়লোকের বাড়ী নয় বলিয়া ভুল করিবার কোন দিক হইতে কোন উপায় নাই । সিড়ি দিয়া উপরে উঠিয়াই বসিবার ঘর। অবিনাশ আসিয়া আদর করিয়া ঘরে বসাইল এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পুরাতন দিনের কথাবাৰ্ত্তায় আমরা দু-জনেই মশগুল হইয়া গেলাম। অবিনাশের বাবা ময়মনসিংহের এক জন বড় জমিদার, কিন্তু সম্প্রতি কলিকাতার বাড়ীতে র্তাহার কেহই নাই। অবিনাশের এক ভগ্নীর বিবাহ উপলক্ষে গত অগ্রহায়ণ মাসে দেশে গিয়াছিলেন—এখনও কেহই আসেন নাই । এ-কথl ও-কথার পর অবিনাশ বলিল—এখন কি করছ সতীশ ? - বলিলাম—জোড়াসাকো স্কুলে.মাষ্টারী করতুম, সম্প্রতি বসেই আছি এক রকম । ভাবছি, আর মাষ্টারী করব না । দেখছি অন্য কোন দিকে যদি—দু-এক জায়গায় আশাও পেয়েছি । অংশ পাওয়ার কথা সত্য নয়, কিন্তু অবিনাশ্ন বড়লোকের ছেলে, মন্তবড় এষ্টেট ওদের । তাহার কাছে চাকুরীর উমেদারী করিতেছি এটা না-দেখায়, তাই কথাটা বলিলাম । - 拳 অবিনাশ একটুখানি ভাবিয়া বলিল—ড়োমার মত এক জন উপযুক্ত লোকের চাকুরী পেতে দেরি হবে না অবিপ্তি। আমার একটা কথা আছে। তুমি ত আইনও পড়েছিলে—না ? বলিলাম—পাসও করেছি, কিন্তু ওকালতি করবার মতিগতি নেই। अदिनां* दलिल-ञांभांtनङ्ग ७कü। खत्रल-भशल श्रांtछ् পূর্ণিয়া জেলায়। প্রায় বিশ-ত্রিশ হাজার বিঘে জমি । আমাদের সেখানে নায়েব আছে কিন্তু তার ওপর বিশ্বাস ' ক'ক্সে অভ জমির বন্দোবস্তের ভার দেওয়া চলে না। আমরা •এক জন উপযুক্ত লোক খুঁজছি। তুমি যাবে ? কান অনেক সময় মানুষকে প্রবঞ্চনা করে জানিতাম । অবিনাশ, বলে কি ? যে-চাকুরীর খোজে আজ একটি বছর কলিকাতার রাস্তাঘাট চৰিয়া বেড়াইতেছি, চায়ের নিমন্ত্রণে আসিয়া সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে সেই চাকুরীর