পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এৰ হয় নাই—তবে ইণ্ডেগের পঞ্চাঙ্গে ৱিচ্ছবৈদেশিক তির স্বৰনিকার একটি কোণ এবার গরিয়া গেল, টিশ পাসক-সম্প্রদায় ও তাঁহাদের মুখপাত্র চেম্বারলেনমূমিগুলের ঢাকা দেওয়া রূপের খানিকট এবার চোখে পড়িল । \o ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতির এই আত্মপ্রকাশের পূৰ্ব্বক্ষণেই ইউরোপে আর একটি বড় ঘটনা ঘটে। সমস্ত ইউরোপের বাজনীতি আজ হয় হিটলার না-হয় মুসোলিনীকে কেন্দ্র করিয়া পরিচালিত। কিন্তু নাৎসী ঔদ্ধত্যে জানীের বিরুদ্ধে যে আন্তর্জাতিক বিরোধ ঘনাইয়া উঠিতেছে জাৰ্ম্মেনীর সৈনিক-নায়কগণ তাহা স্বদেশের পক্ষে মঙ্গলজনক মনে করেন না । এই সৈনিক-নায়কেরাই চিরদিন জাৰ্ম্মেনীর ভাগ্যবিধাতা—কৈশারও ইহাদের মতামত অবজ্ঞা করিতে পারিতেন না। কিন্তু ইহার নাৎসী নন। প্রথম দিকে হিটলারের সঙ্গে ইহাদের একটা বুঝাপড়া হয়— কিন্তু নাৎসী জাৰ্শেনীতে ভিন্ন দল, ভিন্ন মতের মই নাই— নীমোলেরের মত ধৰ্ম্ম-যাজকের মতবিরোধও সহ্য করা হয় না। তাই হঠাৎ এক দিন জাৰ্ম্মান সৈনিক-নায়ক জেনারেল ফন ফ্রিট্জ, ও মার্শাল ফন ব্যুম্বের্গ পদচ্যুত হইলেন, সৈনিক-নেতৃত্ব নাৎসী গোয়েরিঙের হাতে দেওয়া হইল, হিটুল্লার হইলেন সৰ্ব্বময় কৰ্ত্ত । পরিবর্তনটা কত বড় তাহা জাৰ্ম্মান ছাড়া অন্ত জাতি বুঝিবে না, এই দুঃসাহস হোয়েনৎজোলাৰ্ণ সম্রাটদেরও হয় নাই, অথচ এক নিমেষে ইহা সম্পন্ন করিলেন হের হিটলার। তথাপি ভিতরে একটা অসন্তোষ বোধ হয় ধোয়াইতেছিল, হিটলার তাহা চাপা দিলেন একটা স্বপরিচিত কৌশলে-বাহিরে একটি চমকপ্ৰদ ব্যাপার ঘটাইরা। ১২ই ক্লোর অষ্টিয়ার চ্যান্সেলর শুশনিগ, ৰেকটেলগাদেন প্রyাদে হিটলারের নিমন্ত্রণে র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিলেন আলোচনার জন্ত । ७थाब ঘণ্টা সেই আলোচনা চলে, অষ্ট্রয়ার সীমাস্তে নাৎসী-ৰাহিনী পায়তার কষিতেছে। অতএব, গুশনিগ স্ববোৰ ছেলের মত মানিয়াইলেন যে, তাহার মমিও.ল

  • - Պաոպ ձt

अक छन भाक नां९नैौरक डिनि चब्रिॉब्र भूनिग-विडाटत्रश्न • ও আভ্যন্তরীণ সচিবত্বের ভার অর্পণ করিবেন, এবং অষ্ট্রিয়া ওঁ জাৰ্শেনীর মধ্যে বাণিজ্য ও অন্যান্য ধ্যাপারের সমস্ত, বাধা বিদূরিত হইবে। শুশনিগ অবগু এখন ঘরে ফিরিয়া বলিতেছেন যে, অষ্টিয়ার স্বাধীনতা তিনি ক্ষুণ্ণ হইতে দিবেন না, কিন্তু সকলেই বুঝিয়াছে যে অস্ট্রয় এবার অনেকাংশেই হিটলারের হাতের পুতুল। এই ভাবে নাৎসীদের অন্যতম উদ্দেশ্য,—জাৰ্ম্মান জাতির একীকরণ--অনেকটা সার্থক হওয়াতে জাৰ্শ্বেনীতে উল্লাসের অন্ত নাই। কিন্তু সন্ধান্ত শক্তিরা করিতেছেন কি ? অষ্ট্রিয়াকে স্বাধীন ও জাৰ্শ্বেনী হইতে স্বতন্ত্র রাখিতে র্যাহার প্রতিশ্রুত সেই ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইতালী এখন কি করিতেছেন । হিটলারের পূৰ্ব্বে এই দুই রাজ্যের একবার বাণিজ্যগত সম্মেলনের কথা উঠিলেও ইহার তাহ ঘটতে দেন নাই, আর আজ ? ব্রিটেন বলিতেছেন—ব্যাপারটা বুঝিয়া দেখিতে হইবে ; ফ্রান্স স্পষ্টই বলিয়াছেন—অষ্ট্রিয়াকে স্বাধীন থাকিতে হইবে ; আর রোম ? পূৰ্ব্বে এইরূপ সম্ভাবনায়ও তাহার সৈন্যবাহিনী অষ্ট্রিয়ার সাহায্যে অগ্রসর হইতে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু এখন রোমের তুষ্ণীভাব। রোম-বার্লিন বন্ধুত্বে কি ছেদ পড়িয়াছে, না রোমও অন্তত্র এইরূপ কোন উদ্দেশ্যসিদ্ধির প্রতিশ্রুতি বার্লিনের নিকট হইতে পাইয়াছে ? ঠিক এই মুহূর্তেই ব্রিটেন-ইতালীর আলোচনার কথার স্বত্রপাত হইল—কেন এই মুহূর্বেই হইল, তাহা বুঝা এখন দুঃসাধ্য নয়। তবে জাৰ্ম্মেলী স্পষ্টই বলিয়াছে, রোম ও বার্লিনের বন্ধুত্ব ইহাতে ক্ষুন্ন করা চলিবে না। এদিকে ইহার ঠিক পূৰ্ব্বক্ষণে জয়-উৎফুল্ল মহানায়ক হিটলার রাইষ্টাগের বক্তৃতায় নাৎসীদের কৃতিত্ব ঘোষণা করিলেন, জানাইলেন—আর্থিক বনিয়াদ জাৰ্শেনীর আঞ্জ কত দৃঢ় ; নাৎসী ক্ষমতা আজ শাসন-বিভাগে সৰ্ব্বত্ৰ কত অব্যাহত ; জাৰ্ম্মেনীর সমরায়োজন কত বিপুল, কত মারাত্মক ; সাম্যবাদী রুশিয়ার ধ্বংস কত নিকট ও কত অবগুৱাৰী; জাৰ্শেনীর উপনিবেশগুলি ফিরাইয়া পাওয়া উাহার কত কত দরকার, আর ইউরোপীয়ু শাস্তির জন্ত. জাৰ্শ্বেনীর সমালোচক ব্রিটিশ কাগজগুলিকে অচিরে শায়েন্ত করা ও মি: ডেনের মত রাজনীতিকদের বিদায়