পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eaoيسيا প্রবাসী SN983 সংগ্ৰহ করিতে পারিবেশে অত সহজে জাপান বা ইতালীর হাতেও আত্মবিক্রয় করিবে না—তাহ সহজেই বুঝা যায়। পণ্ডিত জৱাহরলাল তাই এই আশঙ্কা অমূলক বলিয়া বাতিল করিতে চাহেন। তাহাই যদি হয় তবে আবার সেই প্রশ্ন উঠে, জাপানী বন্ধুত্ব, ইতালীয় বন্ধুত্ব ও জাৰ্ম্মান বন্ধুত্বই কি ভারতীয় পররাষ্ট্র-নীতির লক্ষ্য হওয়া উচিত নয় ? অথচ তাহা জৱাহরলালঞ্জীর বা ভারতবাসীরও মনঃপূত নয় । সুভাষচন্দ্র সোভিয়েটের নজির উল্লেখ করিয়া এই ব্যাপারে সুবিধাবাদ অবলম্বন করিতেই যেন বলেন । কিন্তু সমাজতান্ত্রিক নেতারা বলেন, যে, এইরূপ সঙ্কীর্ণ স্বার্থের চিন্তা শুধু ব্যাপক দৃষ্টির ও বাস্তব দৃষ্টির অভাবেই আমাদের মনে দেখা দেয়। আসলে সাম্রাজ্যবাদীদের যে স্বার্থ এক, ইহা ভিত্তি। গগনেন্দ্রনাথ " - নিশিকান্ত লাল নীল সাদা ও কালোরে, যার স্বপ্ন ওঠে বিকশিয়া ? আঁধার আলোরে e যাহারে ঘিরিয়া চির-মিলনের ছন্দে বাধিয়াছে তোমার তুলিকা ; জীবনের মুখ-দুঃখ স্বপ্নসম তরঙ্গিত হয় ; হে মায়াবী, তোমার মায়ায় যে-গভীরে হাসি ও ক্ৰন্দন ধরিলে ধরায় মুক্তি ও বন্ধন অরূপের মৰ্ম্মবহ্নি প্রস্ফুটিত রূপের বৰ্ত্তিক । আনন্দে সুষমায়িত ; চিত্ত তব ছিল যে তন্ময় । সকল রঙের সীমানায় সেই গভীরের সাথে, তুমি ষেথা নিদ্রা যায় সে-চেতন চুমি নিরঞ্জন মহাশিল্পী ; সকল স্বপ্নের পরপারে আছিলে স্বপনমগ্ন, তাই তব জীবনের বেলা স্বপন-বিহবল যে-স্বপনী, অতলমস্থিত ঢেউ তুলে R আকাশ-অবনী । ছিল আত্ম ভুলে, - যার স্বপ্ন ফুলসম ফোটে, স্বৰ্য্য-চন্দ্র তারকারে বর্ণে বর্ণে খেলেছিল বর্ণহীন মস্তরের খেলা । স্বপ্লমেঘ সম যে তাসায় ; " শিল্পী, তাই তোমার প্রকাশ সন্ধ্যায় উষায় আনিল উদ্ভাস যে-বর্ণহীনের বাণী বিক্ষরিত বর্ণের প্লাবনে ; কালহীন-বিলাসের ; তোমার জন্মের মাঝে আসি রবির সুবর্ণ-ধাধে জ্বার জন্মমৃত্যুহারা কোন প্রাণ শশীর রূপার করি গেল দান ঝরণা, দিনে রাত্রে, বসন্তে শ্রাবণে । ইঙ্গ-ইতালীয় আলোচনাতেই প্রমাণিত। দুনিয়াব্যাপী সাম্রাজ্যবাদের এই প্রচণ্ড পরাক্রমের মতই অন্ত বড় সত্য কথা এই যে, দুনিয়াব্যাপী বঞ্চিত ও শোষিত জাতিরাও আপনাদের পরস্পর মিলনের পথ ও পরম প্রয়াসের স্বত্রটি খুজিয়া পাইতেছে ; অপর পক্ষে প্রত্যেক সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের অভ্যস্তরেই এক স্ববিনাশীদ্বন্দ্বও প্রকট হইয়া উঠিতেছে। কাজেই নূতন পুরাতন সকল সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এখন হইতেই নিজেদের মত সুস্পষ্ট করিয়া প্রকাশ করিলে নিপীড়িতদের পরস্পর মিলনের পথ সুগম হইবে । “. যাহাই হউক, অর্থহীন ও উদ্দেশ্যহীন মনে হইলেও এই পথই ন্যায়ের পথ—ইহাই এখন আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মর্ত্যের ধূলার পরে চিরন্তন-বৈভবের রাশি।