পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র অনাবশ্বক। দেশের কল্যাণের অল্প তাহারে किडू চন্তা করা অনাবশ্বক। বুদ্ধি খাটান, ভাবনা চিন্তা-ঘা কিছু রিকার, সব ডিক্টেটর করিবেনণ দেশের লোকেরা (কবল ষন্ত্রের মত র্তাহার হুকুম তামিল করিলেই হইল । গুরুগিরিতে বিশ্বাস ও ডিক্টেটরিতে বিশ্বাস মামুষের ধ্বলতা ও অক্ষমতাব পরিচায়ক । র্যাহাবা ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় বিষয়ে আপনাদিগকে চালাইতে অসমর্থ তাহারা গুরুগিরি মানেন, র্যাহারা রাষ্ট্রীয় বিষয়ে আপনাদিগকে চালাইতে শসমর্থ তাহারা ডিক্টেটরের অধীন হন। ধৰ্ম্মবিষয়ে অগ্রসর ও জ্ঞানী সাধকের নিকট উপদেশ গহণ এবং গুরুগিরিতে বিশ্বাস এক জিনিষ নহে। তদ্রুপ, সহকৰ্ম্মী ও অতুচবদিগের সহিত আলোচনার পর রাষ্ট্রীয় নতাবা যে-সিদ্ধান্তে উপনীত হন, তদনুসারে কাজ করা ডক্টেটরি মানা নহে। কারখানার মালিক ও শ্রমিক . . কারখানার মালিকদিগকে শ্রমিকদের দুশমন মনে ** অবশ্যম্ভাবী নহে। কারখানার মালিকের শ্রমিকদের অন্ন জোগাইবার জন্য দয়া করিয়া কারখানা খুলেন, ইহা সত্য নহে, তাহারা প্রধানত: বা কেবলমাত্র নিজেদের পাভের জন্যই কারখানা খুলেন, ইহা সত্য হইতে পারে— যদিও ইহাও সত্য যে আজকাল কোন কোন স্বদেশপ্রেমিক ব্যক্তি নিজেদের ও দেশের ধন বৃদ্ধি এবং বেকার লোকদের অন্নসংস্থান উভয় উদ্দেশুেই কারখানা খুলেন। কিন্তু যে-সব কারখানা মালিকরা শুধু নিজেদের লাভের জন্যই খুলিয়াছেন, তাহার শ্রমিকেরাও ত সেখানে খাটিয়া উপার্জন করে। সুতরাং সেই সব কারখানার মালিকরাও এমিকদের শত্রু নয়। যে-সব মালিক খাটাইয়া পয়সা '.দয় না বা কম পয়সা দেয়, তাহাদের আচরণ অত্যন্ত গৃহিত , هي আমাদের দেশে শিল্পজ% দ্ৰব্য যত ত্ৰিী হয়, তাহ বত বেশী পরিমাণে কুটুরে বা কারখানায় প্রস্তুত হইবে, লুই পরিমাণে প্রমিকদেরও মায় বাড়িতে থাকিবে । । ফুটরশিল্প সম্বন্ধে ماج جسده لإج চনা এখন না করিয়া কারখালার .་ལྦེ་ཁེ་ས་ প্রসঙ্গ-ৰঙ্গে জলকুcঔর মাসল্প কাৰ্ত্তনাদ, কথা বলি। কারখানার সংখ্যা বাড়িতে পারে দুই উপায়ে। প্রথম, ধনী লোকের এক এক বা সম্মিলিত হইয়া কারখানা স্থাপন করিলে ; দ্বিতীয়, সমাজতন্ত্রবাদী রাষ্ট্রর ,স্বারা অর্থাৎ ঐরুপ রাষ্ট্রের ষ্টেট সোশ্যালিজম্ স্বারা কিন্তু ভারতবর্ষ স্বাধীন না হইলে এখানে ষ্টেট সোশ্যালিজম্ হইতে পারে না—এখন এখানে গবষ্মেন্ট কোন কারখানা খুলিলে তাহার লাভেরও একটা বড় অংশ কোন-না-কোন উপায়ে ব্রিটিশ লোকদের হস্তগত হইবে । 象 সুতরাং বৰ্ত্তমান অবস্থায় ভারতবর্ষে ভারতীয়দের কারখানা বৃদ্ধির একমাত্র উপায় ধনিকদিগকে কারখানা স্থাপনে প্রবৃত্ত কর ও উৎসাহ দেওয়া। কিন্তু ধৰি তাহাদিগকে শ্রমিকদের শক্ৰ মনে করা হয় এবং তদনুরূপ আচরণ করা হয়, তাহা হইলে খনিকদের উৎসাহ বাড়িবাব কথা নয়। বঙ্গে জলকষ্টের আসন্ন আৰ্ত্তনাদ শীঘ্রই বঙ্গের অগণিত গ্রাম হইতে জলকষ্টের আর্বনাথ উঠিবে। জলকষ্টে দুঃখ সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক নারীদের। তাহাদিগকেই দূর হইতে পানীয় জল, বান্নার জল আনিতে श्शू ! • জলকষ্ট নিবারণ গবষ্মেণ্টের, ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ডের ও জমিদারদের কৰ্ত্তব্য বটে, কিন্তু র্তাহাদেব উপর নির্ভর কবিয়া থাকিলে চলিবে না । গ্রামবাসীদিগকে স্বাবলম্বী হইতে হইবে । যেখানকার মাটি নবম সেখানে নিজেদের মধ্যে চাদ তুলিয়। গ্রামের লোকেরা নলকূপ বসাইবার চেষ্টা করিতে পারেন। নিজেদের দৈহিক পরিশ্রমে পাতকৃয়া খননও অনেক গ্রামে কঠিন নহে। পুরাতন পুষ্করিণীর পক্ষোদ্ধার দ্বারাও অনেক গ্রামের জলাভাব দূর হইতে পারে। o বহু ছাত্র এখন মিজ নিজ গ্রমে যাইতেছেন। র্তাহারা নিজে কিছু কিছু কাজ করিতে পারেন, এবং জল্প অনেককে কাজে প্রবৃত্ত করিতে পারেন । ماگسے