পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏSO, প্রবাসী مع مر $Nరి$3 পণ্ডিতমণ্ডলীর সহিত আলাপের ফলে রাজদূত বুঝিলেন অতিশা-র স্থান কত উচ্চে । আরও কিছুকাল পরে গা-চোন স্থযোগ বুঝিয়া তাহাদের অতিশার গৃহে লইয়া নিভৃতে আলাপ করাইলেন। তিব্বতদূতগণ অতিশাকে প্রণাম করিয়া, তাহার সম্মুখে স্বর্ণরাশি নিবেদন করিয়া, ভোট-রাজ যেশে-ও কি-ভাবে বন্দী হইয়াছিলেন ও তাহার অস্তিম কামনা কি ছিল সকল কাহিনী শুনাইলেন। দীপঙ্কর এই বৃত্তাস্ত শুনিয়া অতি বিচলিত হইয়া বলিলেন, “নিঃসন্দেহ ভোটরাজ যেশে-ও বোধিসত্ত্ব ছিলেন ! আমি তাহার কামনা ভঙ্গ করিব না, কিন্তু তোমরা জান আমার উপর ১০৮ দেবালয়ের তত্ত্বাবধানের ও অন্ত অনেক কার্য্যের ভার আছে । এ সকলের ব্যবস্থা করিতে আমার ১৮ মাস সময় লাগিবে। তাহার পর আমি যাইতে পারিব। এখন স্বর্ণরাশি তোমরা রাখ।” ভোট-রাজদূতগণ ইহা শুনিয়া অধ্যয়নের ছুতা করিয়া বিহারে রহিয়া গেলেন। অতিশ যাত্রার উদ্যোগ আরম্ভ করিলেন । ইতিমধ্যে একদিন সময়মত তিনি সঙ্ঘস্থবির রত্নাকরপাদকে সমস্ত কথা বলিলেন। রত্নাকর দীপঙ্করের সহিত একমত হইতে পারিলেন না । তিনি এক দিম ভোটায় সজ্জনদের ডাকিয় বলিলেন, “ভোট আয়ুষ্মন! আপনার বিদ্যার্থীরূপে বিহারে প্রবেশ করিয়াছেন, কিন্তু ইহা কি সত্য যে আপনার আসলে অভিশাকে লইয়! যাইবার জন্যই আসিয়াছেন ? এ সময় অতিশ ভারতীয়দের চক্ষুস্বরূপ, দেখিতেছেন ন পশ্চিম দিকে তুরস্কদের• উপদ্রব চলিতেছে। যদি এই সময় অতিশ দেশাস্তরে চলিয়া যান তবে এখানে ভগবানের ধৰ্ম্মস্বৰ্য্যও অস্ত যাইবে।” অতিকষ্টে সঙ্ঘস্থবিরের অনুমতি পাওয়া গেল। অতিশ! স্বর্ণ ভেট গ্রহণ করিয়া তাহা চার অংশে বিভক্ত করিলেন । এক অংশ পণ্ডিতদিগকে দান এবং দ্বিতীয় অংশ বজ্রাসনে ( বুদ্ধগয়া ) নিবেদন করিলেন ; তৃতীয় অংশ রত্নাকরের হস্তে বিক্রমশিলা সঙ্ঘের জন্য ও শেষ চতুর্থাংশ রাজার অন্য ধৰ্ম্মকৃত্যের জন্য দান করিয়া নিজের লোকজনকে ভোট-দুভদিগের সহিত পুস্তক ও অন্যান্য আবশ্বক দ্রব্যসহ নেপালের পথে পাঠাইলেন। পরে তিনি স্বয়ং "লোচবা” ( ভারতীয় পণ্ডিতের সহায়ক তিববতীয় দ্বিভাষী) ও অন্ত লোকজন-সৰ্ব্বসমেত বার জন—লইয়। বুদ্ধগয়া যাত্রা করিলেন । বজ্রাসন ও অন্যান্ত তীর্থ দৰ্শন করিয়া পণ্ডিত ক্ষিতিগর্ত আদি বিংশতি জনের মণ্ডল লইয়া আচাৰ্য্য দীপঙ্কর ভারতসীমার নিকট এক ছোট বিহারে উপস্থিত হইলেন। দীপঙ্করের শিষ্য ডোম-তোন তাহার গুরু-গুণ ধৰ্ম্মাকরে লিখিতেছেন,

  • তখন মহম্মদ গজনীর মৃত্যু হইয়াছে কিন্তু মধ্য-এশিয়ায় ו rsסo Rfrזהיית: fraיזאv r:r הידייל

“স্বামীর ভোট প্রস্থানের সময় ভারতে (বুদ্ধ ) শাসন অস্তাচলগামী। ভারতের সীমার নিকট অতিশা দেখিলে তিনটি ছোট অনাথ কুকুরশাবক পথের পাgে-ড়িয় আছে । যষ্টি বৎসরের বৃদ্ধ সন্ন্যাসী কি এক মী ভাবের প্রেরণায় নিজ মাতৃভূমির অস্থিম তিনটি কুকুরশাবককে নিজ চাবরে ( উঠাইয়া লইলেন ।” তিব্বতে প্রবাদ, আজও ঐ তিনটি কুকু প্রদেশে বর্তমান আছে । ভারতসীমা পার হইয়া অতিশার মণ্ডলী নেপাল-রাজে প্রবেশ করিয়া ক্রমে নেপাল রাজধানীতে উপনীত হইলেন নেপালরাজ মহাসমাদরে তাহাদের বাজতাতিথিরূপে অভ্যর্থন করিলেন এবং দীপঙ্করকে নেপালে থাকিবার জন্য অতি আগ্রহের সহিত অতুময় করিলেন । তাহার সনিৰ্ব্বদ অন্তরোধে অভিশাকে এক বৎসর কাল নেপালে থাকিলে হইল । সেখানে নানা ধৰ্ম্মাচরণের মধ্যে এক রাজকুমারকে তিনি ভিক্ষু-দীক্ষা দিয়াছিলেন । গৌড়েশ্বর মহারাষ্ট্র নেপালকে এক পত্রও লিখিয়াছিলেন, তাহার ভোটয় অঙ্কবা এখনও তঞ্জুরে বর্তমান । মেপাল হইতে প্রস্থান করিয়া দীপঙ্কর যথন থুং বিহা:ে উপস্থিত হইলেন তখন ভিক্ষু গা-চোন-সেং-এর পীড়ার জন্ম র্তাহাকে সেখানে কিছুদিন থাকিতে হইল । বহু চেষ্টাতে । ভিক্ষু গা-চোনকে বাচাইতে পারা গেল ম; এবং তাহার স্থা বিম্বান বহুশ্রত দ্বিভাষীর বিয়োগে অপার দু:খে ও নিরাশা দীপঙ্কর বলিলেন, “আমার ভোটৰ্যায়। বিফল হইল, আf দ্বিভাষী-বিনা সেখানে কি করিতে পারিব ?” শলবিজয় । অন্য দ্বিভাষীগণ র্তাহাকে অনেক কণ্ঠে প্ৰবোধ দিলেন । বৃদ্ধ পণ্ডিতের পথকষ্ট নিবারণের জন্য ভোটরাজ চঞ্জ, ছুপ-ও নিজ রাজ্যে মহাধৱে মানা ব্যবস্থা করিয়াছিলেন ভোটনিবাসী জনসাধারণ তখন এষ্ট স্বধ্যপ্রভ মহাপণ্ডিতে দর্শনের জন্য লালায়িত। এইরূপে পথে ভোট-জনসাধারণৰে ধৰ্ম্মমার্গ দেখাইতে দেখাইতে তিব্বতীয় জল-পুরুষ-অশ্ব বে ( চিত্ৰভাতু সম্বংসর = ১০৪২ খ্ৰী: ) আচার্য দীপঙ্কর শঙ্গা, ৬১ বৎসর বয়সে ডংরী অর্থাৎ পশ্চিম-তিব্বত প্রদেশে উপস্থিং হষ্টলেন । রাজধানী থেলিঙ, পৌছিবার পূর্কেই ভোটরা অনেক পথ আগাষ্ঠয় তাহাকে লক্টতে অসিলেন এবং নাম স্বত্তিসহকারে অভ্যর্থনা-সমারোহের মধ্যে র্তাহাকে থোলি। বিহারে লইয়া গেলেন। “স্বদেশে পূজ্যতে রাজা বিধান সৰ্ব্ব পূজ্যতে।" { ক্রমশ: )