পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংলণ্ডে ভারতীয় ছাত্র শ্ৰীসরোজেন্দ্রনাথ রায় আমরা ইংলণ্ড-ফেরত ভারতীয় ছাত্রদের সঙ্গে এত পরিচিত এবং তাদের কাছ থেকে এত কথা শুনি যে আমার পক্ষে তাদের বিষয়ে নূতন কিছু বলা এক রকম অসম্ভব। তবুও সেই পুরনো কথাই আবার পাচ জনের কাছে উপস্থিত করছি। শুধু তফাৎ এই যে, সেগুলো আমার চোখ দিয়ে দেখা ও অামার মনের রঙে রঙীন । ভারতীয় ছাত্র এত উদ্দেশু ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিদেশে ধান যে তাদের সকলের সম্বন্ধে প্রযোজ্য একটা কিছু বলা একেবারেই সহজ নয় । আমাদের বিভিন্ন প্রদেশ, শঙ্কর ও নানা স্তরের পরিবার থেকে প্রায় আড়াই হাজার ছাত্র বিভিন্ন বিষয় অধিগত করবার উদ্দেশ্বে ইংলণ্ডে যান। বলতে গেলে এদের দিকে তাকালে সারা ভারতে একটা রূপ যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কেউ যান আই-সি-এস পরীক্ষা দিতে ; কেউ যান একাউন্টেনসির জন্ম ; আবার কেউ যান ডাক্তারী, আইন, বিজ্ঞান, শিক্ষাবিজ্ঞান ও গবেষণার উদেখে ; আবার কেউ কেউ যান শুধু আর্টস বিষয়ের ডিগ্ৰী নিতে । এ ছাড়া আছে নানা রকম টেক্লিক্যাল বিদ্যা । অনেকে যান “যা-হয় কিছু একটা” শিখে আসতে— অর্থাং বিলেত-ফেরত হ’তে । এদের হয়ত এদেশেই পাস করার অভ্যাস কোন fদন ছিল না, অথচ ভাবেন যে ইউরোপে গেলে একটা কিছু হয়ে যাবে। এদেশে এর পড়েছেন 'হাফ এন আওয়ার উইথ ইংলিশ হিষ্টি, ইকনমিক্স সিরিজ । ওদেশে গিয়ে ‘কোয়ার্টার অব এন আওয়ার’ সিরিজের সন্ধানে ফেরেন । এই শ্রেণীর একটি ছেলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল । সে দু-বছর লওনে থেকে নানা রকম বিষয়ের খোজ নিল, কিন্তু বিষয়-নিৰ্ব্বাচন করা জার হয়ে উঠল না। বিলেত-ফেরত ছেলেদের বাপ-মায়েরও ধৈৰ্য্যের সীমা আছে । এই ছেলেটির বাপ-মা প্রথম প্রথম অনেক কড়া কড়া চিঠি লিখলেন। ফল কিছু হ’ল না। অবশেষে দেশ থেকে কেবল গেল—মাদার সরিয়াসঙ্গি ইল, কাম্‌ বাই দি ফাষ্ট বোট । সে এবার মরিয়া হয়ে উঠে ব্যারিস্টারী থেকে আরম্ভ ক’রে সিনেমা-অভিনয় পধ্যস্ত নানা রকম বিষয়ের খোজে বেরল। বাড়ীতে লিথল যে, এবার সে সত্যি সত্যিই “যা হয় কিছু একটা” পড়বে। কিন্তু নিষ্ঠুর পিতামাতা টমাস কুক মারফৎ পাঠালেন শুধু একটা পিএও ওর বোম্বে পৰ্যন্থ টিকিট। নিদারুণ বুকফাটা ব্যথা নিয়ে ফিরতে হ’ল তাকে দেশে । হাওড়া ষ্টেশন ছেড়েছিল চোখের ফলে, আবার লণ্ডনের ভিক্টোরিয়া ষ্টেশনের শেষ চূড়াও তার চোখের জলে আবছা ইয়ে গেল ॥e আবছা তারই শুধু একার হয় নি। সেই কথাটাই একটু বিশদ ক’রে বলছি । আমরা যখন এদেশ থেকে যাই, কত সংকল্প নিয়েই না যাই ! জগতের সম্মুখে ভারতকে সব চাইতে বড় ক'রে ধরব । জগৎকে আমার কিছু দেবার আছে ! দেশাচারকেই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ আচার বলে ধরব ! cन्नरभद्र किहूव्र छरमृ लव्छिष्ठ ड ठराठे भl, रुद्रक्ष् एटारकठे আরও উচু ক'রে ধরব । পৈতে, গঙ্গাজল, গীত, পুরোহিতদর্পণ, উপনিষদ, বেদাস্ত, ধুতি ও চাদর, পাগড়ি, গোলটুপি প্রভৃতি কত না বৰ্ম্মে দেহ আবুত ক’রে জামরা ভারতের সংগ্রামে প্রবুক হই । আমি যপন ক্রমওয়েল বোন্ডেব ভারতীয় ছাত্রাবাসে উঠলাম, ভথম দেখি আমার ঘরে হায়দ্রাবাদের একটি মুসলমান ছেলে ভোর রাত্রে পাটি পেড়ে নমাজ করছে । পাটিখানাও দেশ থেকে সে বয়ে নিয়ে গেছে । আচকান ও শেরোয়ানি পরে আমাদের হিন্দুস্থানী

  • প্রায় এমনি অবস্থার অার একটি ছেলে পোর্ট সৈয়দের কাছাকান্ধি থেকে লগুনে তার বান্ধীর কাছে লিখেছিল, “চাম্বাজ চলছে পূৰ মুখে । BB BB BBB BBDDD BBB BBBB BBBB SBBB DD DBBBS মধ্যে ধীরে ধীরে প্রবেশ করছি ।” বলা বাহুল্য, এই চিঠি খেয়ে তা" বান্ধীও হেসেছিল ।