পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রৰিণ ত্রিশ্ৰেণী (వe কার্যক্রমের মধ্যে অবকাশ অন্বেষণ ক'রে নিয়ে, কমলা, মালতী ও শচীন্দ্রের সঙ্গে এসে কত গল্প পরিহাস করেছে, সহজ কৌতুলপূর্ণ নিলিগ প্রফুল্লতায় সরস করে। পরস্পরর বিচিত্র ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছে। কত সহানুভূতি নিয়ে বারবার ক’রে কমলার অলৌকিক রূপলাবণ্যের প্রশংসা ক'রে, সভাব দিন নিজে হাতে তাকে সাজিয়ে, তাকে হাসপাতাল প্রভৃতি দেখিয়ে বেড়িয়ে, তার পরামর্শ জিজ্ঞাসা ক’রে কমলার বন্ধুতা সে শহজেই অর্জন করেছে । কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীর অভ্যর্থনা-উৎসবে তার প্রফুল্ল নেত্রীত্বের অন্তরালে ধে বিক্ষত চিত্ত কল্পনা ক'রে লজ্জায় সে পাৰ্ব্বতীকে এড়িয়ে চলেছিল তারই নিষ্ঠুৰতাপ স্মৃতি আঞ্চ বারস্থার লাগল । সে সুস্পষ্টভাবে আজ্ঞ উপলব্ধি করতে পারলে যে তাৰ বিস্রস্ত জীবনকে পাৰ্ব্ব শ্রী স্নেহে, শক্তিতে, ক’কে অপরূপ দক্ষতায় গ’ড়ে তুলেছিল । তার যে-শোককে ছিন্নমূল শ্রোঙের ফুলের চিত্তপবনের বিলাসের বঙ্গ ক’রে রেখেছিল, পাৰ্ব্বতী তাকে তার মলে এসে আঘাত করতে সংযমে, আত্মত্যাগে তিল তিল মত সে তার ভাববাম্পাকুল স:ণক ক’রে মঙ্গীয়ান ক'রে তুলেছে । সে বুঝতে পারলে ধে সংসারটা নিছক সত্যের উপাদানে গঠিত । এতটুকু মিথ্যার ভর এখানে সৎ না। সেই মিথ্যার মুথোস পরে জগৎকে যত টুকু প্রবঞ্চনা করা যায় তত টুকু প্রবঞ্চিত হ'তে হয় নিজেকেই একদিন । কমলার প্রতি তার প্রেমের গৰ্ব্বে পাৰ্ব্বতীর প্রতি তার অস্তরের সত্যকে সে প্রাণপণে অস্বীকার ক'রে চলেছে । কিন্তু যে-প্রেম দিনের পর দিন, অল্পে অল্পে, লৌকিকতার বাধ লঙ্ঘন ক’বে, মনের অন্ধকার উদয়াচলে, তার চিত্তাকাশ উদ্ভাসিত ক'রে দেখা দিল, দুঃথ-রাতের পারে স্বর্ধ্যোদয়ের মত, তাকে জীবনে অস্বীকার করলে জীবন ত তার তমসাচ্ছন্ন হয়ে উঠবেই। সে আজ পরিষ্কার ক'রে বুঝতে পারল যে, ঐ যে নারীপ্রতিষ্ঠানের বিস্তৃত সুফলতা বৎসরের পর বৎসব অক্লাস্ত একাগ্রতায় সে সম্ভব করে তুলতে পেরেছে, কখনই তা সম্ভব হ’ত না, যদি পাৰ্ব্বতীব সাহচর্ধ্য এবং প্রেমেব সঞ্জীবনীরসে এই কর্থের মধ্যে সে অপরিমেয় মাধুধের আশ্বাদন লাভ না করত। এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই ত জীবনে যা-কিছু সার্থকতা সে লাভ করেছে—কিন্তু কমলার প্রেম কি সেখানে উপলক্ষ এমন কি অবাস্তুর হয়ে ওঠে নি ? কমলার প্রেম ধরিত্রীর মত, বীজকে যে আপনার হৃদয়ে গুহায়িত ক’রে রেখে দেয় । কমলার প্রেম তার অন্তরকে চায় আবরণের আচ্ছাদনে, নিভৃতে, অনুভূতির সমাধিগহ্বরে আবৃত করে। যেখানে প্রকাশের উচ্ছ্বাস নেই, প্রস্ফুরণের অবকাশ নেচ, জীবনের চঞ্চল গতিবেগ যার মধ্যে সুপ্ত অথচ প্রাণরসে নিবিড়—চিরন্তন । আর পাৰ্ব্বতীর প্রেম ? সে আকাশের মত, বীজের জীবনপ্রবাহকে ধে তামসলোক গু’তে জ্যোতিরুৎসবে আহবান ক’রে নেয় । জীবনলীলারসের মাধুৰ্য্যকে যে বিকশিত করে, সার্থক ক’রে তোলে পত্রপুপফলে । সত্য । তার মনে হতে লাগল, এই ত কমলার প্রেমের রসধাবী কথনই তার জীবনে সার্থক হয়ে উঠবে না, পাৰ্ব্বতীর মুকিমস্ত্রের আহবানে যদি eার গুীবনবীয় শাখায় পুষ্পে পল্লশে উৎসের মত উৎসারিত ন হয়ে উঠতে পাঃ, মেদিনীৰ অন্ধ আবরণ ভেদ ক’রে, অবাধি" আকাশেৰ প্ৰাণে, আলোকোজ্জল ধরণীর উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে । এমনি ক'রে শোভন উপমা এবং গভীর তত্ত্ব আবিষ্কারের মোহে নিজে পথেৰ সন্ধানে সে প্রবুত হ’ল । তার ক্ষুধাৰ্ত্ত চিত্ত্বের প্রেমাভিব্যক্তির আতিশখে কমলার প্রতি শ্রাস্ত তার হৃদয় ধে পাৰ্ব্বতীব প্রচ্ছন্ন আকর্ষণের মোহে তার দিকে ধাবিত হ’তে চায়, এ-কথা চাং ন সে মানতে। নী গো না, এ তার মোহ নয় ; এ যে তার সাধকতার অনিবাধ্য আহবানরূপ—ণধ্বতীঃ এই আকর্ষণ। এই ত তার জীবনকে পরিপূর্ণতা দান কবে, তার প্রেমের মুলকে বিস্তুত ও গভীরত্বপে কমলার অস্তরে প্রবেশের প্রেরণ দেবে। চিম্বায় চিন্তায় তাকে বিভ্রান্ত করে তুললে । পাৰ্ব্বতীং কাছে নিজেকে নিবেদন করবার আকুলত তাকে আছয় ক'রে ধরল। সে আর বসে থাকতে পারল না । বাঙাং বিস্তৃত ছাদের উপর বস্থঙ্কণ সে অস্থির চিত্ত্বে পামুমার ক'রে বেড়াতে লাগল। কিন্তু যে-যুহ তাকে তার জীবনে ২ সার্থকতা থেকে দূরে সরিয়ে বন্দী ক'বে রেখেছে সেই গুংেহ চতুঃসীমানার পরিবেষ্টন সে ধেন পারছে না । বাড়ীর দেয়ালের গণ্ডী ভাং কাছে প্লfও ভাত হ’তে লাগল বন্দীশালার মত । অস্থির হয়ে বেfরয়ে পড়ল সে মুক্ত প্রাস্তবের মধ্যে যেখানে সমস্তই অবাবিত ; চলা যেখানে আশব সহ কংt •