পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| マラtで牙 \ লাসায় প্রায় বিশ হাজার আগম্ভং ভিক্ষুর আগমন হয় এবং তাহাঁদের সেবার জন্ত চায়ের সদাব্রকৈ দিনে তিন-চারি বার মাখনযুক্ত চা ইত্যাদি পরিবেশন করা হয়। 事 彎 - to ১লা মার্চ আমি তের শত বৎসরের পুরাতন জে-খঙ, মন্দির দেখিতে গেলাম। জে-থঙ শব্দের অর্থ “স্বামিগৃহ"। এখানে স্বামী বলিতে সেই প্রাচীন চননকাঠের বুদ্ধমূৰ্ত্তিকে বুঝায় যাহ। মধ্য-এশিয়ার পথে ভারত হইতে চীনদেশে গিয়াছিল এবং যাহা লাস-সংস্থাপক সম্রাট শ্ৰোং-বচন-সুগমূ-বে কর্তৃক খ্রীষ্টাব্দে চীনদেশে বিজয়-অভিযানের , ফলে চীনরাজদুহিতার সঙ্গে যৌতুক হিসাবে তিব্বতে আনীত হইয়াছিল । সম্রাট লাসা নগরের কেন্দ্রে নিজ প্রাসাদ ও রাজকীয্যালয়ের সঙ্গে এক মন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়া এই মূৰ্ত্তি স্থাপন করেন, স্বতরাং এদেশে বৌদ্ধধৰ্ম্ম এই মূৰ্ত্তির সঙ্গে আসিয়াছিল বলা যায়। ইহার প্রতিপত্তি এদেশে এখনও এতই প্রবল যে লাসার আধুনিক অবনত অবস্থায়ও এখানকার ব্যাপারীরা পৰ্যন্ত জে'-বে' নামে সহজে শপথ কfরতে চাহে না—যদিও কথায় কথায় ত্রি-রত্ব শপথ করিতে তাহার। প্রস্তুত—এবং করিলে সে কথা তাহারা নিশ্চয় রাখে। জে-খণ্ড মন্দিরের উত্তর দ্বারের এক দেওয়ালে ছোট ছোট স্বন্দর অক্ষরে আঙ্গিনার অভ্যস্তরস্থ ছোট-বড় সকল মন্দিরের ইতিহাস লিখিত আছে । এইরূপ ইতিহাস-লেথ এদেশের বহু স্বপ্রতিষ্ঠিত মঠ-মন্দিরের দ্বারদেশে থাকে । ভারতের প্রধান তীর্থ ও মন্দিরে এইরূপ থাকিলে যাত্রীদিগের বিশেষ সুবিধা হইত।* মন্দিরের পরিক্রমায়ু ও দেওয়ালের গায়ে অনেক সুন্দর চিত্রাবলী রহিয়াছে, কোনটা কোন প্রসিদ্ধ মঠের প্রাচীন দৃপ্ত, কোনটায় স্বর্ণরঞ্জিত বুদ্ধ নিজের পূৰ্ব্বজন্মের আখ্যান বলিতেছেন। কোথাও ভগবান বুদ্ধের অন্তিম জীবনের ধস্তাবলী অঙ্কিত আছে, কোথাও বা ভারতের অশোক অথবা ভোটের স্ৰোং-বচন যুগমূ-বো চিত্রে অমরত্ব লাভ করিয়াছেন। সমস্ত চিত্রই সুন্দর এবং যদিও সকল মূৰ্ত্তিই সহস্ৰাধিক বৎসরের মলিনতার স্তরে ভূষিত, কিন্তু তাহাদের অঙ্গ や8> • হবিধ হইত সন্দেহ নাই ; কিন্তু তাহ হইল নানা প্রকার রূপকথার বিলোগে পাওলিগের বিশেষ আহুবিধা হইত।- সম্পাদক । নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর པའི་༤ག་ প্রত্যঙ্গের মান, তাহাদের মুখমুত্রা এবং রেখার লালিত্য অনুপম। প্রত্যেক দেবগৃহে অসংখ্য স্বর্ণরৌপ্যময় দীপ অবিরাম জলিতেছে, রৌপ্য দীপের মধ্যে একটির ওজন আট শত ভরি, সেটি গত বৎসর ভুটান-রাজ পাঠাইয়াছেন। বহুমূল্য প্রস্তর ও ধাতু ত চতুদিকে ছড়ানো আছে। ভগবান বুদ্ধের এই প্রধান মূৰ্ত্তি ভিন্ন চন্দন ও অন্য কাঠের অনেক মূৰ্ত্তি আশপাশের দেবালয়ে রহিয়াছে। প্রাচীন ভোটের কয়েক জন সম্রাটের মূৰ্ত্তিও এখানে আছে, তাহার মধ্যে প্রধান দেবালয়ের দ্বিতলে সম্রাট, স্ৰোং-বচন ও তাহার নেপাল ও চীন দেশীয় মহিষীদ্বয়ের মূৰ্ত্তি প্রসিদ্ধ। বস্তুত এই মন্দিরের প্রতি অনুপরমাণুতে ত্রয়োদশ শত বৎসরের ঐতিহাসিক কীৰ্ত্তি পরিব্যাপ্ত হইয়া রহিয়াছে। মন্দির হইতে বাহিরে আসিয়া দেখিলাম এক প্রশস্ত আগারে তিন চারি শত ভিক্ষু উচ্চাসনে বসিয়া খর-স্বরে স্বত্র পাঠ করিতেছেন । ইহাদের বস্ত্র মলিন ও জীর্ণ এবং প্রত্যেকের সম্মুখে লৌহময় ভিক্ষাপাত্র। শুনিলাম ইহার লাসার সর্বাপেক্ষা কৰ্ম্মনিষ্ঠ ভিক্ষু এবং ইহারা মুরু ও র-মো-ছে বিহারে থাকেন । ৪ঠা মার্চ শুনিলাম মুরু মঠে ফো-রং-এর লামা ধৰ্ম্মোপদেশ দিবেন এবং দেখিলাম বহু লোক আগ্রহের সহিত তাহা শুনিতে যাইতেছে। এই ফো-রং-এর লামা অতি বিস্থান এবং তিব্বতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্মব্যাখ্যাত বলিয়া প্রসিদ্ধ। লোকে ইহাকে সৰ্ব্বজ্ঞ বলিয়া প্রশংসা করিয়া ইহার মনোহর শিক্ষাপ্রদ উপদেশের সহিত নববর্ষের ২৪ দিনের জন্য নিযুক্ত সরকারী উপদেশক মহাশয়ের ব্যাখ্যানের তুলনা করিতেছিল। সরকারী উপদেশক বেচারার দোষ কি ? সে ত অনেক ভেট অনেক তোষামোদের ফলে এই পদ লাভ করিয়াছে। যাহা হউক, কৌতুহলের বশে এক দিন তাহার উপদেশ শুনিতে গেলাম। শুনিলাম উপদেশক মহাশয় বলিতেছেন, “ডাকিনী মাতার অদ্ভুত শক্তি, তাহাকে প্রণাম করা উচিত, তাহার পূজা দেওয়া উচিত। বজ্রযোগিনী মাতার অদ্ভুত ক্ষমতা ও প্রভাব, উহাকে পূজা ও নমস্কার করা উচিত।" ইহাই তাহার উপদেশের মূল रश्t ।