পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-ՊՎ, প্রবণসী S\రీ88 স্বতরাং আশ্রয় খুজিতে হয় না। একটি বড় বাড়ীতে চা, ডিমসিদ্ধ ইত্যাদি খাইয়া, সেখানে ভৃত্যবর্গকে কিছু ছঙ-রিঙ (মদ্যপানের পয়সা-বখশিশ) দিয়া পুনৰ্ব্বার চলিলাম। বেলা তিনটায় বরফ পড়া বাড়িল, বাতাসের বেগও তীব্র হইল, আমরা তোস গ্রামে আশ্রয় লইলাম। যাইবার * সময় এই এক দিনের পথ তিন দিনে গিয়াছিলাম। ২রা মে প্রত্যুষে চলিয়া, রৌদ্র-প্রকাশের দুই ঘণ্টার মধ্যে পাতলা কুয়াসার চাদরে-ঘেরা টশী-লুনপো মহা-বিহার দেখিতে পাইলাম। আগের বারের যাত্রায় পথের দুই পাশে শুামল শস্যের ক্ষেত দেখিয়াছিলাম। এবার দেখিলাম ক্ষেতে লাঙ্গল দিবার উদ্যোগ হইতেছে মাত্র। বেলা একটায় শী-গচা পৌছিলাম। আমার পূর্বপরিচিত ঢাকব! সাছ দোকান বন্ধ করিয়া নেপাল চলিয়া গিয়াছিলেন, সৌভাগ্যক্রমে মণিরত্ব সান্থর সঙ্গে সাক্ষাৎ হইতেই তিনি এক গুহে আমার থাকিবার ব্যবস্থা করিয়া দিলেন। আশ্রয়ের ব্যবস্থা হইলে পরে, যাহার মনিবের নিকট হইতে আমি আদেশপত্র আনিয়াছি সেই খমৃ-বা সওদাগরের সন্ধানে চলিলাম এই উদ্দেশ্বে যে, আমার আবশ্বকমত টাকা-পয়সা এই কুঠি হইতে লইতে পারি। সওদাগরকে তো খুজিয়া পাইলাম, কিন্তু সে পয়সাকড়ি দিতে ইতস্তত: করিল। সেদিন আমি বিশেষ পীড়াপীড়ি করি নাই, যদিও ব্যাপার দেখিয়া আমি চিন্তিত হইলাম, কেন-ন, এখানে টাকা না পাইলে গ্যাঞ্চী ফিরিয়া টাকার জগু টেলিগ্রাম করিতে হইবে । দ্বিতীয় দিনেও তাহার ঐকুপই ব্যবস্থা দেখিয়া আমি মণিরতু সাস্থকে বলিলাম যে আমার পুস্তক-ক্রয়, স্তন গুর ছাপানো সবই दक श्हेग्रा श्राप्छ, शङब्रांर चांखड़े उंशद्र निकई इक्वेरउ “ई" বা "না" জবাব আনিতে হইবে। তিনি প্রশ্ন করায় সে বলিল, পত্র ও সীলমোহর আমার মনিবের, কিন্তু অত টাকা দিতে সাহস হয় না। আচ্ছ, আমি টাকা দিব।' জামার মন প্রসন্ন হইল, কাজের ব্যবস্থা আরম্ভ হইল। কাগজ কালি ইত্যাদি ক্রয় করিয়া ছাপার আয়োজন করিলাম । স্বর-খণ্ড বিহারে ছাপার খরচ ইত্যাদি স্থির করিয়া এক সপ্তাহ সময় দেওয়া গেল, তাহার মধ্যে ছাপা শেষ করিতে হইবে। মণির সাম্বর ভোটিয়া স্ত্রীর ভাই ঐ বিহারে ,” . ভিক্ষু, সুতরাং আশা ছিল যে কাজ সময়মত হইবে। পাচদিন পরে খবর ইয়া জানিলাম কাজ আরম্ভই হয় নাই। কাজেই আমি সেখানে গিয়া চাপিয়া বসিলাম । কাজ আরম্ভ হইল। এই বিহার আজকাল টশী-পুনেপো বিহারের অধীন, কিন্তু ইহা ১১৫৩ খ্ৰীষ্টাকে স্থাপিত এবং টশী লুনিপো বিহার ১৪৪৩ খ্ৰীষ্টাকে স্থাপিত হয় । সংস্কারের যুগে এই বিহারের ভিক্ষুগণ সংস্কারবাদ মানিয়া লওয়ায় এইরূপ অধীনতা আসে। একাদশ, দ্বাদশ ও ভ্ৰম্বোদশ শতাব্দীর বহু পিত্তল ও চন্দনকাঠের মূৰ্ত্তি এখানে রহিয়াছে ; ভারতীয় মূৰ্ত্তির আসনের নীচে মোট পিণ্ডলের আংটা যুক্ত থাকে, তাহার ভিতরে বশি গলাইয়া মূৰ্বি বহন করিয়া দূরদেশে আনীত হইয়াছিল । খুব-বঙ ও খম্-হুম্ মন্দিরে অনেক পুরাতন মূৰ্ত্তি আছে। মন্দিরের বাহিরে প্রস্তরের পাটায় উৎকীর্ণ ৮৪ সিদ্ধের মূৰ্ত্তি আছে । পঞ্চম দলাই লামার অমাত্য fম-বঙ এই বিহারের বহু উন্নতিসাধন করিয়াছিলেন। এখানকার গ্রন্থসংগ্রহও বিরাট। সম্প্রতি টশী লামা প্রবাসে দীর্ঘকাল থাকায় এ অঞ্চলের সকল ব্যাপারেই অনাচার পূর্ণমাত্রায় চলিয়াছে। আমরা লাসা হইতে এখানে পৌছিবার পরেও যুদ্ধভম্বশাস্তির খবর এখানে ঠিকমত প্রচারিত হয় নাই। এদেশের খবরাখবর এইরূপ গুজবগল্পের মধ্যেই চলে, এমন কি দেশের শাসন, কর-আদায় প্রভৃতির ব্যবস্থাও এইরূপ ঢিলা ৷ এখানের এক লামা মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ ইত্যাদির বিষয় শুনিয়া আমাকে গভীরভাবে বলিলেন, “গল্তী মহারাজ লোবন রিম্পোছের ( ভোট দেশে সৰ্ব্বত্র পুঞ্জিত এক ঘোর তান্ত্রিক লামার ) অবতার।” তাহাতে আমি বলিলাম, *লোবোন রিম্পোছে মদ্যের সমুদ্র পান করিতেন এবং স্ত্রীলোক সম্বন্ধেও স্বচ্ছন্দবাণী ছিলেন, গন-উী মহারাজ ঐ বিষয়ে তো সম্পূর্ণ বিপরীত ভাব পোষণ করেন।” লামা মহাশয় এই কথায় একটু খামিয়া পরে বলিলেন, “জয়াস্তরে লোবোন রিপোছের মতান্তর হইয়াছে ” ইহার আর উত্তর কি ? এখানে সিপাহীরা যুদ্ধের নামে যথেচ্ছাচার লাসার সিপাহী অপেক্ষা বহুগুণ বেশী করিয়াছে শুনিলাম। আমার নিজের কাজ কোনমতেই অগ্রসর হইতেছে না দেখিয়া ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তিকে রাখিয়া ১২ই মে মামি শী-গার্চ ফিরিয়া আসিলাম । সেখানে শুনিলাম, সরকারী কর বাকী থাকায় টশ-লুনপোর