পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী— আশ্বিন, ১৩২৪ ন, না, তোমায় অনেক ধনবাদ, আমার কিছু চাই নিয়ে যখন থাকবে, তখন ওটুকু সেরে যাবে স্যর এই ত খেয়ে এলাম।” এই বলিয়া টিনা পকেটের ক্ৰিষ্টফার তবেশ পুীই হয়েছেন দেখি । সেদিন সকালে ভিতর হইতে গলাবন্ধটা টানিয়া বাহির কপিল । তখনকার অামা বলছিলেন, "কি বেইস, তোমাদের যে নুতন গিৰি দিনে পলেটগুলো খুব মন্ত-মন্তই হইত এই দেখ হচ্ছেন, তাকে কেন লাগছে । আমি বাম, ‘আহে , বেটুসকাকা, তোমাকে এইটা দিতে এসেছি। তোমার মহারাজ আমন চমৎকার মেয়ে আমি জন্মে দেখিনি । ই বিশেষ কয়ে এটা করেছি। তুমি শীতকালে এইটা আপনি হবে কিন্তু ঠিক ; লালটা ব্ৰক্স বুড়োকে দিয়ে গি বেঁচে থাকুন, দেখে কত আনন্দ পাবেন । মিঃ ওয়ারেন বা বাং, টিনিমণি, এ যে কুপের ফোয়ারা একেবারে । গছিল, কণ্ঠ শীথির নীগি দিয়েটা সেয়ে ফেলতে তুমি কি না আমার মতো একটা বুড়োর জন্যে তোমার ছোট্ট শরৎকালাটা কাটার আগেই বোধ হয় হয়ে হাই স্নালগুলি দিয়ে এত করে এটা করে। টনি মাছের যাবে - আমার কত দয়া ! পরব বৈ কি, আমি নিশ্চয় পরব মিঃ বেট্‌স যখন এই রকম কুক্‌ করিয়া চলিয়া লিয়ে পরে বেঢ়াব । শাদা আর নীল ডোরাগুলি দিয়ে এর ছিল, টনা বুকের ভিতর থপিও ৩খন কেমন যেন বা প খুলেছে ; চমৎকার যাহ্মণায় সঙ্কুচিত হইয়া আসিতেছিল স্থা, তোমার রঙে লালটার চেয়ে এটা ঢের বেল বলিল, “হা, নিশ্চয় হয়ে সাবে সুর কিষ্টদার বড় মানাবে। নূতনটা পরলে মিসেস শাপ একেবারে তোমায় সাক, আমি তবে আজ আলি, বেট দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবে, আমি ঠিক জানি । কাকা ; এতগণ তাত লেডি শেভাৱেল আমাঙ্গ খুঁজছেন ; দুর বাঁদর যেয়ে ; আমার আবার তু ঠাটা কল্প বুদ্ধি স্থা, রং যদি বলতে হয় ত ওই কনের রং বট না, না, অামার খাবার সমরে হে কোনো ভাবনা গাল দুটি যেন গোলাপ-ফুল ঘোড়ার পিঠে ওকে যা নেই, তবে গিজিমার যদি দরকার থাকে তবে আর তোমােয় দেখায় ! তীরের মতো খাড়া হয়ে বলে যেন ছাঁচে ঢালা কি করে ধরে রান্ধি । গলাবন্ধটার হয়ে তোমায় যতখানি মিসে শাপ বলেছে, বাড়ীর, মেয়ের যখন খেতে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত, তার অন্ধেও ’ ত দেওয়া হয়নি নামবে তখন আমাকে দরজার আড়ালে বিয়ে রাখবে , সত্যি, এটা ভাবি চমৎকার হয়েছে । কিন্তু টনি, হাজ তোমার তা’ হ’লেই কনের সাজগোজ ব্লগ সব দেখতে পাব । সে অমন ফ্যাকাশে মনমরা মতন দেখাচ্ছে কেন বলো ত ? লছিল, গিছি বয়সকালে যেমন 'ছিলেন, এ বউ বোধ তামার শরীরটা বোধ হয় ভাল নেই। ভিদে ভিজে তার চেয়েও সুন্দর হৰে । গায়ের কাছাকাছি কোনো এান করে বেড়ানে ত তোমার শরীরের পক্ষে ভাল নয়। নৈয়েই ও কাছে লাগে না ।” তাড়াতাড়ি বাহিরে আলি। বাঙ্গাধৱে মেজের উপহ সকলের উপরেই ছিল আশারের যে একটা ছাপ হইতে ছাতাটা তুলিয়া লইয়া টনা বলিল, “ন, ভালই দিয়াছে তাহা দেখিয়া টিনার আবার নিজেকে অতি তুচ্ছ হয়েছে। এইবার সত্যি যাই ; বিদায় । ববিয়া মনে হইতে লাগিল ; সে ক্ষীণ স্বরে বসিল, “হা, টিনা কুকুরটাকে ডাকি ! ইয়া । ব্ৰতগতিতে চবিয়া সি আশার সত্যি খুব সুন্দর দেখতে । মালী তাহাৰ দিকে চাহিয়া দুই পকেটে হাত দিয়া মেয়েও বোধ হয় বেশ ভাল হ’বে কৰ্ত্তাগিরি বিষsভাবে মাথা নাড়িতে নাড়িতে বলিতে লাগিল, মনের মতন উপযুক্ত কষ্টই হবে কনের কি বলছিল মেয়ে “আজকাল যেন মেটো আরো কেমন শুকিয়ে রাণী আর কাপড়-চোপড়ে একটু কিছু দোষ হলেই উঠছে আমার বাগানের "সাইক্লামেন’ ফুলের মতোই খিটি করে।. তা” ছেলেমানুহ ; ছেলেমানুষ ত” আমন হত ও পরে যাবে। একে দেখলেই লগুলির কথা থাকে। বড় হ’লে স্বামীপুত্ৰ হ’লে তাদের ভাবনা যেন তাপনা-আপনিই মনে জেগে ওঠে চান [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড তে কোমল ফুলগুলি ছোট সল্প বেঁটার অপায় কুলে আছে, আটের পরিচ্ছেদ । ঠিক টনারই মতো।” বেচারী টিনা, আবায় আপন পথে বিরিয়া চলি । সেদিন সন্ধ্যায় মিস অাশারের ধরণধারণে গৰ্ব্ব যেন করে উত্তেজনা ডুবাইবার জন্য বাহিরের ঠাণ্ডা জোলো ফাটা পড়িতেছিল। টনাকে নেহাৎ উপেক্ষা করিয়াই তাসের প্রতি আর তাহার টান নাই । তাহার আড়ষ্ট চলিতেছিল । আজ একটা বড়-রকমের প্রলয়কাও না চাওঁ হৃদয় বাহিরের বাতাসে আরো বাথিত হইয়া উঠিতে হইয়া যায় না কাণ্ডে উইব্ৰো যেন কিছু দেখিয়াও দেখে ছিল। ভিজে ডালপালার ভিতর দিয়া সোনালি বেীন্দ্ৰ নাই, ব্যাপারটাকে একেবারেই আমল না দিয়া উড়াইয়া তখন দেবতার প্রসর মূৰ্ত্তির মতন হাদিতেছিল ; পাখী গুলি দিবার জন্তু সে টিনার দিকে একটু অতিরিক্ত -রকম সোঁ কীে শরতের আগমনী গাহিতেছিল ; যেন পাখীর যোগ দিতে লাগিল। মিঃ গিলক্ষিল বলিয়া করি টমাকে ল, আকাশ, বাতাস সকলি বৰ্ষাৰ বারিধারায় ইয়া তাহার সঙ্গে খেলাইতে রাজি করিয়াছিলেন। লেডি দিয়া সুন্দর হইয়া উঠিয়াছে। এই আনন্দ ও সৌন্দৰ্যোর আশার ও সার ক্ৰিষ্টফারও তাসখেলায় ব্যস্ত । মিস আশায় ংেলার ভিত দিয়া টিনা আপনার বেদনাই বহিয়া লইয় আজ লেডি শেভালেকে লইয়া গল্প জমাইতে বদ্ধপরিকর, অ্যাহত শশক-শাকে যেমন কোমল তৃণ অ্যাণ্টনিই কেবলু একলা পড়িয়া। সে আস্তে -আস্তে নাৱ ভিতর দিয়া কোনো-প্রকারে আপনার ছোট দেহ কাছে গিয়া তাহার পিছনে কুকিয়া পড়িয়া খেলা দেখিতে ধৰি টানিয়া লইয়া যায়, সুস্বাছ তৃণের স্বাদ তাহার পক্ষে লাগিল । সকাল বেলায় কথা তখনো টনার মনটা জুড়িয়া যেন বৃথা, নায় পক্ষে এ মাধুৰ্য্যাণ্ড তেমনি থা। মিঃ বলিয়া ; তাহার মুখান আগুন হইয়া উঠিতেছিল। কিছু বেটু, স্যর কিষ্টফারের আনন্দ, মিস আশারের সৌন্দৰ্য্য, ও ক্ষণ পরে আর সহা কহিতে না পারিয়া সে বলিয়া উঠিল তাহার বিবাহের কথা বলিয়, টিনার তন্দ্ৰা মূঢ়াইয়া দিয়াছে তুমি এখান থেকে চলে যাও।” র আঘাতে তাহাকে জাগাইয়া অতিপরিচিত বাস্তবের সমস্ত ঘটনাটাই মিস আশারের চোখের উপর ঘটিল, কঠোর মুক্তি ভাল করিয়া দেখাইয়া দিয়াছে । ভাবুক টনার আরক্ত মুখখানা সে দেখিতেই, পাইতেছিল, পয়ে ফয়ের দশাই এই , ভদৰ ধখন ধে ভাবে ভরিয়া উঠে চিন্তাও দেখিল টিনা অধীরভাবে কি একটা বলিয়াউঠতেই অ্যাণ্টনি তাহার অনুসরণ করে ; মানুধের কথাই তাদের ৫ আর-একটি লোক এই ক্ষুদ্র, ঘটনাটি খুব ও সে কথা তাহাদের মন দিয়া দেখিতেছিলেন। মিস আশারের সুস্থ পৰ্য্যৰেক্ষণও ইছামত হাসায়, ইছামত কঁাদায় । টিনা আসিয়া নিজের তাহার চোখ এড়াইতে পারে নাই। এই লোকটি মিঃ ৱে চুকিল ; যে হতাশা ও বেদনা লইয়া গিয়াছিল গিল্‌ফিল ; এই ঘটনাটির ফলে যে কতখানি দুঃখের সৃষ্টি চুইতে পারে নাই, নুতন একটা কষ্টই বরং বাড়াইয়া হইবে তাহা মনে করি টনার ভাবনায় তাহা মন উদ্বিগ জানিয়াছে। অ্যাণ্টনি তাৰাকে অ্যাজ আরো দুঃখ দিয়াছে । হইয়া উঠিল । মাজ সকালে সে টিনার সঙ্গে যে-রকম ব্যবহার করিয়াছে, পরদিন সকালে ঝড়বৃষ্টির কোনো উৎপােতই ছিল না, তাকে অপমান ছাড়া কি বলা যায়। যখন সে অনুতাপের আকাশষ্ট বেশ করষ্ণৱে পরিষ্কায় ; কিন্তু মিস আশারের ধ, দুঃখের কথা শুনিতে চাহিয়াছিল, যখন সে সহা. সেদিন ঘোড়ায় চড়িয়া বেড়াইতে মন সলি না। বেজি আশায় ছিল, তখন অমন হান্তাভাবে আদর দেখাইতে শোরেল বিলেন, প্ৰণয়ীযুগলের মধ্যে কিছু ঝগড়াবা আসিয়া ত সে তাহাকে তাচ্ছিল্যই করিয়াছে । টিনার হইয়াছে। অগত্য দুইজনকে কোনো ফিকিরে ংিস্কলে কোনো মৰ্য্যাদাই ত সে রাখে নাই নিৰ্জ্জনে আনিয়া ফেলিয়া বিদায় লইলেন। মিস আ র আগুনের কাছে সোফার বসিয়া কি-একটা সেলাই কবিতে ব্যস্ত ; আজ যেন হার সেলাইটা শেষ কবিয়া না ফেলিলে