পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] পরভৃতিক ৩২১ জুঙ্ক আছি। আমাদেরও যে কিছু দরকার থাকৃতে পারে তা তাদের মাথায়ই আসেন। খাওয়া পরা আর থাকৃবর জায়গা জুঢ়লেই মেয়ে মামুষের ঢের হ’ল, তার আবার কিসের দরকার ? যাই হোক, খবর পেলে আমি যেমন ক’রে পারি চলে আসব। শাশুড়ী তখন আর না করতে পাবেন।” শোভাবতীর গাড়ী চলিয়া গেল। ভানুমতী চোখ মুছিতে মুছিতে নিজের ঘরে ফিরিয়া গেল। ভধানীকে খলিল, “কি ছাই-ভস্ম সষ শেলাই করছিলি, আমায় কিছু কিছু দেন ? ই ক’রে সারাদিন ব’সে থেকে থেকে আমি এইবার পাগল হ’য়ে যাব । মাগো, একটা দিনও ষে আমার আর কাটুতে চায় না । এখনও সারাজীবন প’ড়ে রয়েছে ।” ভবানী তাহাকে কতকগুলি সেলাই আনিয়া দিয়া সাস্তুনার স্বরে বলিল, “এই ছেলেটি হ’য়ে গেলেই অনেকটা ভাল লাগবে, দেখো এখন। একটা নাড়বার চাড়বার জিনিষ হ’লেই সময় হু হু ক’রে কোথা দিয়ে চলে যাবে।” দিন দশ বারো কাটিয়া গেল। হঠাৎ মাঝরাত্রে ভকুমতী ধড়মড় করিয়া উঠিয়া বসিয়া ভবানীকে ঠেলিয়া ডাক দিল, “ও ভবানী, ভবানী ওঠ, আমার শরীর বড় খারাপ লাগছে।” ভবানী বিদ্যুদস্থষ্টের মত ঝটু করিয়া খাড়া হইয়া বসিল । আলো জালিয়া ব্যস্ত হইয়া ভানুমতীর কাছে আসিয়া তাহীকে প্রশ্নের উপর প্রশ্ন করিয়া চলিল, উত্তর দিবার অবকাশও তাহাকে দিল না । ভানুমতী বলিল, “অতশত আমি জানি না, বাপু, তুই বাবাকে খবর দে, তিনি মিসেস মিত্তিরকে ডেকে পাঠান। মাগী ক’সে গল দেবে এখন আমাকে, মাঝরান্ত্রে তার ঘুম ভাঙিয়ে দিলুম।” ভবানী মুখ ঘুরাইয়া বলিল, “আহা, গাল দেবে না আর কিছু টাকাগুলি গুণে নেবার বেল কিছু কম নেবে নাকি ? ঐ হ’ল ওদের কাজ, অত রাত বিরাত বাছতে গেলে ওদের চলে নাকি ? ধাইয়ের কাজ ক’রে ক'রে বুড়ী ত হ’য়ে গেল।” ভাঙ্গুমতী উীত কণ্ঠে ফলিল, “বড় ভয় করছে কিন্তু দে। حسین ع মেজদিটা বলেছিল খবর দিলে আসবে। এতরাৰুে এখন তাকে কে খবর দেয় ?” ভবানী তখন ডাকাডাকি করিয়া যাবুর ঘুম ভাঙাইতে ব্যস্ত ছিল, সে ভানুমতীর কথার কোনো উত্তর দিল না। মহেশবাবুকে তুলিয়া দিয়া নীচে চলিল, রঘুয়া চাকরের সন্ধানে। ভানুমতী ভয়ে, আশায়, উৎকণ্ঠায় ঘরময় ঘোরাঘুরি করিয়া বেড়াইতে লাগিল । অল্পক্ষণের মধ্যেই এই বাড়ীটির অন্ততঃ সকলের ঘুম ছুটিয়া গেল। ঘরে ঘরে আলো জলিল, রান্নাঘরের উনানে আগুন পড়িল। মিসেস মিত্র আধ ঘণ্টার মধ্যেই আসিয়া পড়িলেন, পিছনে তাহার ব্যাগ হাতে শ্ৰীমতী বসন্ত । মহেশবাবু তাহাকে দেখিয়া যেন আকাশের চাদ হাতে পাইলেন, নমস্কার করিয়া বলিলেন, “এই যে অঙ্কিন অtঙ্কন, বড় ভাবনায়ই পড়েছি। ভামু উপরের ঘরে রয়েছে। আর কাউকে খবর দেবার দরকার আছে কি ? কোনো ডাক্তার কি নস ?” মিসেস মিত্র তাচ্ছিল্যের হাসি হাসিয়া বলিলেন, *কিছু দরকার নেই। আপনি ব্যস্ত হচ্ছেন কেন ? আপনার মেয়ের বয়স ঠিক, স্বাস্থ্যও মোটের ওপর ভালই ; আমি ত কোনো বিপদের আশঙ্কা করি না ।” ভবানীর সঙ্গে তিনি উপরের ঘরে চলিলেন, ব্যাগ হাতে বসন্তও সঙ্গে সঙ্গে চলিল। মহেশবাবু তাহাঁদের পিছন পিছন আসিতে আসিতে বলিলেন “ও ভবানী, ভাস্কর পিশশ্বাশুড়ী ঠাকরুণের বাড়ী একবার খবর দিলে হ’ত না ? হাজার হোক, তারা নিজের লোক, খবর দেওয়াটা উচিত ।” ভবানী ব্যস্ত হইয়া বলিল, “না বাবু না, এখন ওসবে দরকার নেই। এতরাত্রে কেউ আসবেও না, কাল সকালে খবর দিলেই চলবে। মেজদিদির বাড়ী সকলে যাবে রঘুয়া, সেই সঙ্গে ওবাড়ীতেও ব’লে আসবে এখন ’ তাহার ভয় ছিল পাছে সংবাদ পাইয়াই উদয় আলিয়া উপস্থিত হয়, এবং কিছু অনিষ্ট করিবার চেষ্টা করে। মিসেস মিক্স হাফাইতে ইফাইতে উপরের স্বরে भागिञ्च cगौश्णिन । ङांश्ब्र भूष शांना श्रेय श्रिब्राहरू