পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3b'o প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩৫৪ [ २१* छीनं, sञ १७ লাযণ্য বলিল, “ন। ভাই, এখন আর যাব না, অনেকগুলো শেলাই বাকি, বাড়ী গিয়ে তাই নিয়ে পড়ব এখন। জানিস্ত মা এসব কিছুই পারেন না, ভাইবোনদের সব শেলাই আমাকে ছুটীর সময় এলে ক’রে দিতে হয়। তা পষ্ণুদের বাড়ী যাবার জন্যেই এত সাজ করেছিস্ ? কার মনোহরণ করবার জন্তে এত ঘটা ? বাড়ীর জ্যেষ্ঠতম যুবকটিরত বয়স আট বছর, তাকেই ফাদে ফেলবার চেষ্টায় আছিস্ নাকি ? বাবা, শাড়ী, রাউজ, ম্যাচ, করিয়েই অল্প লোকে পরে, তোয় আবার জুতো মৌজা ছাতা অবধি ঠিক মানান-সই হওয়া চাই। “সবুজ" ছাতার নীচে টুক্‌টুকে মুখখানি বেশ ফুলের মত দেখাচ্ছে। দিনে ক’ঘণ্ট। এ বিষয়ে study করিসূ রে ?” কৃষ্ণ তাহাকে চিম্টি কাটিয়া বলিল, "চব্বিশ ঘণ্টাই । আমার আর ভাববার কি আছে বল ? তুই কবে যাচ্ছিস্, বল্লি না ?” লাবণ্য বলিল, “দিন পাচ সাতের মধ্যেই যাব হয়ত । এবার বাবাই দিয়ে আসবেন, বললেন, কাজেই আর সঙ্গীর ভাবনা ভাবছি না।” কৃষ্ণ বলিল, “এবার কিন্তু গিয়েই চোখ কান খাড়া রাথিস্ । যদি কোন কাজ খালি হয়, তখনি আমাকে জানাবি। আমার আর ঐ খ্ৰীষ্টানী স্কুলে কাজ করবার মোটে ইচ্ছা নেই। তা ছাড়া মাইনেও বড় কম, আমার একগ! মানুষেরই খরচ চালানো দায় হ’য়ে ওঠে। সত্যি এরার আমেরিকা যাবার স্কলারশিপট পেলে বেঁচে যাই । এই আখ পয়সার হিসাব করে চলতে চলতে আমার ত প্রাণ গেল।” লাবণ্য বলিল, “মেয়ে-স্কুলের চাকুরী ত হরদমই খালি হচ্ছে, ভাই । আসল চাকুরীর সন্ধান পেলেই সব লেজ তুলে চম্পট, বিশেষ ক’রে অল্পবয়সী টীচারগুলি । তাদের চাকুরী নেওয়া নিতান্ত একটা সময় কাটাবার occupation, বর যতদিন না জোটে। মিসেস চম্ব ত বলেন, এবার সব married টীচার নেবেন, নয়ত এমন দেখে নেবেন, যাদের বছর পঞ্চাশ বয়স হ'য়ে গিয়েছে, তা হলে তারা আর ছ'মাস কাজ ক’রেই পালাবে ন। দণ্ঠি, term-এর মাঝখানে কাজ ছেড়ে দিলে মেয়েদের বড় ক্ষতি হয়। তা মাইনে কিন্তু এখানেও খুব বেশী না, তা আগে থেকে ব’লে রাখছি। ওখানে যা পাচ্ছিল, তার চেয়ে বড় জোর দশ পনেরো টাকা বেশী হ’তে পারে।” - কৃষ্ণ বলিল, “তাই বা মৰ্ম্ম কি ? ইত্যাদির খচরটা ত উঠে যাবে ?” লাবণ্য তাহার পিঠে এক চড় মারিয়া বলিল, “নে নে, থাম, আর বেশী বড় মানী ঢং দেখাতে হবে না। তুই বুঝি মাসে দশ পনেরো টাকার তেল সাবান মাধিস্থ ? এইজন্তে সবাই তোর এত নিনো রটায়, যা যা না করবি, তাও ব’লে বেড়াবি।” কৃষ্ণ বলিল, “নিন্দে কবুল ত বয়ে গেল ! আর কারে টাকায় ত করি না ? নিজের টাকায় যদি আমি মাসে আড়াই মণ তেলও মাখি, তাতে তাদের গায়ে ফোঙ্ক পড়ে কেন রে ? আমার কেউ নেই ব’লে বুঝি আমাকে সারাক্ষণ ছেড়া কাপড় প’রে আর ছাই মেখে বেড়াতে হবে । দেখ, এই জন্যে আমার আরো অনেক বেশী টাকা হাতে পেতে ইচ্ছা করে। যদি ইচ্ছা হয়, আমি মুঠে। মুঠে ক’রে রাস্তায় ফেলে দেব, ইচ্ছা হয়ত কাউকে পাচশ টাকা কি হাজার টাকা দিয়ে দেব । সংসারে মজা এই দেখি মে, পরের দুঃখট। লোকে খুব উপভোগ করে, পরের সঙ্গে ভেউ ভেউ ক’রে র্ক,দবার লোক সৰ্ব্বদাই জুটুবে, কিন্তু পরের স্থখসমৃদ্ধিতে হাসবার লোক বড় কম। কারো কিছু মুখের কারণ হয়েছে শুনলে বেশীর ভাগ লোকেরই যেন গলায় ভাত আটকে शुम्न ।” লাবণ্য বলিল, “তা ত যাবেই। সংসারে হিংস্কটের ত অভাব নেই ? আচ্ছা, তুই এগো, গরমে একেবারে লাল হ’য়ে গেছিল। আজ বিকেলে যাব এখন " কৃষ্ণ লীগাকে লইয়! আবার চলিতে আরম্ভ করিল। বাড়ী পৌঁছিয়া, জুতা মোজা খুলিয়, কাপড় বদলাইয়া সে ঞ্জিনিষ গোছানোর কাজে লাগিয়া গেল। বই থাত৷ প্রভৃতি যাহা কিছু বাহিরে ছিল, সব জোগাড় করিয়া এক জায়গায় আনিয়া রাখিল। চাকরটাকে ধোপার বাড়ী পাঠাইয়া নিজের ট্রান্ধ খুলিয়া তাহার ভিতরকার জিনিষ তেল সাবান