পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐ বাণীবিনোদ বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালীর পক্ষে বাংলা দেশের গঙ্গ। শুধু তো জলের ধারা নয়, তাহার চেয়ে অনেক বেশি। জলের ধারা বিশ্লেষণ করা যায়, কিন্তু সেই অনেক বেশিটি অনিৰ্ব্বচনীয়, তাকে বিশ্লেষণ করা যায় না । এইজন্তু গঙ্গা বাঙালীর মনে প্রাণে যে বিচিত্র ও গভীর আনন্দ আনে, তাহার প্রতি আমাদের যুগযুগান্তরব্যাপী যে নিরতিশয় মমত্ববোধ আছে, ঠিকটি তাহার রস বোঝা এমন কোনো বিদেশীয়ের পক্ষে সম্ভবপর নয় বাঙালীকে অস্তরঙ্গ ভাবে যে জানে না । এইজন্য ডাণ্ডিবাসী বণিক টেম্স নদীর তীরকে উৎপীড়িত ও তাহার জলপ্রবাহকে কলুষিত করিতে যে পরিমাণে সঙ্কোচ বোধ করে, গঙ্গাতীরে তাহা করে না । ভাষামাত্রের মধ্যেই একট। আভিধানিক অর্থের এবং ব্যাকরণগত নিয়মের ধারা অাছে, বিদেশী শব্দভজ্ববিদের পক্ষে তাহাই যথেষ্ট ; কিন্তু সেই ভাষার মধ্যে অীর একটি ঐশ্বধ্য আছে, যাহা তাহার বস্তুর চেয়ে অনেক বেশি, মাহ পৃথিবীর চারদিকের বায়ুমণ্ডলের মত, যাহার ভিতর দিয়া আলো আসে, বর্ণ বিভাসিত হয়, যাহ। প্রাণকে সমীরিত করে, অথচ যাহাকে পকেটে লণ্ডয়া যায় না, সিন্ধুকে ভরা চলে না, যাহাকে রক্তের মধ্যে পাই, নিঃশ্বাসের মধ্যে অমুভব করি, যাহা আমাদের প্রাণের সামগ্ৰী । ইংরেজি শিখিবার জন্ত বাঙালীর যে প্রাণপণ গরজ, তাহার মধ্যে তাহার জঠরজালার তাগিদ আছে ; কলেজের পরীক্ষা ও জীবনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার পক্ষে এই ভাযাই তাহার প্রধান অবলম্বন। একথা এক রকম জোর করিয়াই বলা যাইতে পারে যে, যে-কোনো ইংরেজ যেপরিমাণে বাংলা জানে, তাহার চেয়ে যে-কোনো শিক্ষিত বাঙালী অনেক বেশী পরিমাণেই ইংরেজি জানে। তবু ইংরেজি ভাষার ষে স্বরূপটি চর্শগত নয়, যাহা তাহার **? उ, शांश उरुग्न दड मङ्ग, झांश ऊांशद्र «धां★, चर्थीं९ Վջ էոա Ն - শব্দসাধনায় যাহ। আর্থিক নহে যাহা পারমার্থিক, যাহা ইংরেজের প্রতিদিনের জীবনধাত্র, খেলাধূলা, স্থতিসংস্কার, পুরাণ ইতিহাস, আলাপ আলোচনার বিচিত্র প্রাণময় তত্ত্বারা গ্রথিত, অতি অল্প বাঙালীই তাহাকে ঠিক মতো আপন করিয়া লইতে পারিয়াছে। এই ইংরেজিই ব্লসসাহিত্যের ইংরেজি। এই ইংরেজি ঘনিষ্ঠ ভাবে না জানিলেও তবু মোটামুটি ইংরেজি সাহিত্য ভোগ করা যাইতে পারে, কিন্তু তাঁহাকে গভীর ভাবে, নিঃসংশয় ভাবে তাহার সকল সাক্ষীর জবানবন্দী লইয়া ভোগ ও বিচার করা যায় না । তাহা লইয়া কাজ চলে, খবরের কাগজ চলে, এমন কি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তার উপাধি লওয়াও চলে, যদি তাহার পরীক্ষক সাহিত্যরসজ্ঞ ইংরেজ না হয়, কিন্তু তাহ লইয়া ইংরেজি সাহিত্যগত আত্মীয়ত। চলে না। অর্থাৎ যদি সেইটুকু বিদ্যা লইয়া কোনো একজন ইংরেজ কৰির নাড়ীনক্ষত্র, প্রাণের কথা অতি বিস্তৃতভাবে আলোচনা করিতে যাই, তবে তাহ একই কালে হাস্যজনক ও শোকাবহ হইয়া উঠে। বাঙালী তাহার বাবু ইংরেজী লইয়া ইংরেজ মহলে অনেক হালি হাসাইয়াছে, কিন্তু এত বড়ো প্রকাও স্পৰ্দ্ধা ও হাস্যকরতার স্বষ্টি সে আজও করে নাক্ট, তাহার প্রধান কারণ, ইংরেজি ভাষা, ইংরেজি সাহিত্য যে কি তাহ সে যথেষ্ট জানে, শ্রদ্ধার সহিত সে উপলব্ধি করিতে পারে, যে, ইহাকে লইয়া মুকবিৰআনা করিতে গেলে সেটাতে নিজেকেই অপদস্থ করার সাংঘাতিক বিপদ আছে। কিন্তু বাংলা কাব্য লম্বন্ধে ইংরেজের মনে সেরকম শ্রদ্ধাপূর্ণ দ্বিধা বোধ হয় স্বাভাবিক নয়। তাহারই প্রমাণ দেখা গেল রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে রেভারেও টমসনের বইখানাতে। এই দীর্ঘায়তন গ্রন্থের একপ্রাপ্ত হইতে আর এক প্রাপ্ত পৰ্যন্ত রবীন্দ্রনাথকে লইয়া সুলভে তিনি , টানছেড়া করিতে করিতে চলিয়াছেন, মনে একটুৎ ভয় ή (