পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q☾b~ প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ { ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড .ബ-ബ് প্রাচীন ও আধুনিক। প্রাচীন খৃঃ দ্বাদশ শতাব্দীর কেশবন্ধন ও শিরোভূষণ এবং কর্ণের ভুল। (উড়িষ্যা)। আধুনিক—মধ্যে আধুনিক চীনদেশীয় মহিলা । দক্ষিণে ফরাসী মহিল, শিরে টায়রা কর্ণে ঝুমকা দুল, গলদেশে মুক্তামাল । বামে ইংরাজ মহিলা, শিরে চ্যাপলেট (Chaplet), কর্ণে দুল। আছে ; যথা—পৃষিত (ফাপা), ত্বষ্ট মণিসংযোজন (jewel setting) #&sts, সে সময়ে জড়োয়ার কাৰ্য্যে যে প্রকার স্বর্ণ ব্যবহৃত হইত তাহা দশভাগ স্বর্ণে চারভাগ রৌপ্য বা তাম্র মিশ্রিত ( ১৭ ক্যাপ্লাট ), বা সমান ভাগে মিশ্রিত স্বর্ণ ও তাম্র ( ১২ ক্যারাট ) । অর্থশাস্ত্রের সমসাময়িক ভারতে গহনা-শিল্পের কারুকাৰ্য্য বেশ উৎকর্ষ লাভ করিয়াছিল ; যদিও ঐ গহনাগুলির আকার ও আয়তনে বেশ কিছু আদিম (archaic) ভাব পাওয়া যাইত। যথা, গলায় স্কুল বেলনাকার (cylindrical) কারু-কাৰ্য্য খচিত ধাতুখণ্ডের মালা, হস্তে অতিপ্রশস্ত (overwidc) ব্রেসলেট, পায়ে বৃহৎ “বাকমল” ও গুলফ হইতে জঙ্ঘা পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত পেচান মল,কর্ণে প্রকাও ঝুলান কুণ্ডল, এই সকল গহন তখনকার দিনে ব্যবহৃত হইত। কিন্তু তখনই অনেক স্থপরিকল্পিত ও হুগঠিত গ্রথিত গহন ব্যবহৃত হইত, ও এই সকল গহনার মধ্যে কয়েকটি অতি সুন্দর-আকৃতি ও কারুকার্য্যভূষিত ছিল । মণি কৰ্ত্তন ও মন্থণ করণ, ছিদ্র করা ইত্যাদি কার্য্যে এদেশের মণিকারগণ তখনই অতি আশ্চৰ্য্য কুশলী ও বিদগ্ধ ছিল। তাহার প্রমাণ এখনও পিপারোয় পাত্র (Piparawa Wase) মধ্যে প্রাপ্ত নিদর্শন সকলে বর্তমান এষং প্রাচীন বিদেশীয় লেখকগণও সেকথা প্রশংসার সহিত বলিয়া গিয়াছেন । খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দী হইতে সপ্তম শতাব্দীর মধ্যে খাটি এদেশীয়, ও বিদেশী প্রভাবযুক্ত-যথা গ্রীক (গান্ধার), পারসীক—এদেশজাত অনেক প্রকার গহনার ব্যবহার প্রচলিত হয় । ক্রমেই গহনার আকৃতি ও আয়তন ংস্কৃত ও মার্জিত-ভাবাপন্ন হয়। ওজন অপেক্ষ রচনা ও কারু-কৌশলের আদর সে সময় বাড়িতে থাকে । অজণ্টার চিত্রাবলী, এবং মথুরা,উড়িষ্যা, ইত্যাদির ভাস্কৰ্য্যশিল্পে একই অঙ্গে পরিহিত নানা প্রকার গহনার পরি কল্পনা ও রচনা দেখা যায়। এই সকল গহনার প্রকৃত রূপ গঠন ইত্যাদি আমরা অজণ্টা, বাঘ ইত্যাদি গুম্ফা মন্দিরের প্রাচীরচিত্রে এখনো দেখিতে পাই । সেই সকল চিত্রে ও সমসাময়িক মন্দিরগাত্রস্থ মূৰ্ত্তির অঙ্গে যে সকল গহনার নিদর্শন পাওয়া যায়, তাহাতে মনে হয়, যে, ঐ সময়ে প্রাচীন ভারতের স্বর্ণকার ও মণিকার ইত্যাদির কারুকৌশল সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রকট হইয়াছিল এবং ঐ সময়ে হিন্দু অলঙ্কারশিল্পের চরম উৎকর্ষ সাধিত হয়। আকারে, প্রকারে, রচনানৈপুণ্যে সে সময়ে অলঙ্কারের বৈচিত্র্য সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক দেখিতে পাওয়া যায় i+ খৃঃ সপ্তম শতাব্দী হইতে চতুর্দশ শতাব্দীর প্রারম্ভ পৰ্য্যন্ত গহনা-শিল্পের ঐরূপ উচ্চ আদর্শ বৰ্ত্তমান ছিল ; কিন্তু ঐ সময়ের গহনায় ক্রমবিকশিত শিল্প-কৌশল ও নিখুঁত ভাব ভিন্ন কোনও বিশেষত্ব ছিল না। কারণ, বোধ হয় তখনই পূৰ্ব্বকালের শিল্পীর কার্ধ্যের উৎকৃষ্ট অনুকরণ এবং সেই দ্রব্যের আরও সংস্কৃত নিদর্শন প্রস্তুত

  • তুলনার জন্তু ঐ সময়ের বাইজান্টীয়-প্রাচীন ইয়ােরোগের সভ্যতম শিল্পীজাতি—দুইটি নিদর্শনের চিত্র দেওয়া হইল। *