৬১২ প্রবাসী—শ্ৰাবণ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খe অfগ্র-অযোধ্যায় ১৪৫৯ মাইল ও পঞ্জাবে ৩৪৩৮ । এগুলি প্রধান ও শাখা খালেয় দৈর্ঘ্য ; বিতরণের খালের দৈর্ঘ্য আরও অনেক বেশী। অতএব বলিতে হইবে, জলসেচন বিষয়ে বাংলা দেশের প্রতি সরকার বাহাদুরের বিশেষ কৃপা আছে । ষে প্রদেশে জলসেচনের খাল কাটা প্রায় হয়ই নাই, সেখানে জলসেচনের রাজস্ব খুব কম পাইলে তাহা গবর্ণমেণ্টের দোষ, প্রদেশের লোকদের দোষ নন্থে । সুতরাং জলসেচন-রাজস্ব কম বলিয়া তাহার প্রতিনিধির সংখ্যা এই কমৃতির অনুপাতে কম হইতে १८द्र न। । আবকারীর আয় সম্বন্ধেও কিছু বলিতে হুইবে । প্রদেশগুলির মধ্যে বাংলার লোক সংখ্যা সকলের চেয়ে বেশী । বোম্বাইয়ের লোকসংখ্যা বাংলার অৰ্দ্ধেকেরও কম, অথচ তাহার আবকারীর আয় বঙ্গের প্রায় দ্বিগুণ । মান্দ্রাঞ্জের লোকসংখ্যা বঙ্গে ঐ চেয়ে ৪৪ লক্ষ কম, অথচ অধিকারী অtয় বঙ্গের দ্বিগুণেরও বেশী। আবকারীর আয় কম বলিয়া আয়ের এই কমৃতির অম্বুপাতে বঙ্গের প্রতিনিধির সংখ্য কম হইতে পাবে না। যাহা হউক, জলসেচন ও আযকারীর আয় সম্বন্ধে যাহা বলিলাম, তাহার যুক্তিযুক্তত। যদি ধর্তব্য না হয়, তাহা হইলেও দেখা যাইবে, যে, বঙ্গে মোট রাজস্ব ষত আদায় হয়, তাহার প্রতিনিধির সংখ্যা তদনুরূপ নহে { জলসেচনের আয় বাদ দিলে দেখা যাইবে, পাচটি প্রদেশের মধ্যে পঞ্জাবের আয় সকলের চেয়ে কম। পঞ্জীবের প্রতিনিধির সংখ্য। তাহার রাজস্ব অনুসারে যদি ১২ হয়, যাহা বৰ্ত্তমানে আছে, তাহা হইলে বঙ্গের ৩৫ হওয়া উচিত ; কিন্তু এখন আছে ১৭, অথবা ইউরোপীয় বাদ দিলে ১৪ । যদি জলসেচনের রাজস্ব মোট রাজস্ব গণনায় ধরা হয়, তাহা হইলে আগ্ৰা-অযোধ্যা প্রদেশে অtলায়ী রাজস্ব সৰ্ব্বাপেক্ষা কম হয় । তাহার বর্তমান প্রতিনিধিসংখ্যা ১৬ । তাহা হইলে বঙ্গের রাজস্বের আধিক্য বিবেচনা করিঙ্গে তাহার প্রতিনিধির সংখ্যা হওয়া উচিত ২৪ জন । অবশু, রাজস্বের অসুপাতে প্রতিনিধির সংথ্যা নিদিষ্ট হইলে মান্দ্রাঞ্জ বোম্বাইয়েরও প্রতিনিধির সংখ্যা दाक्लिtव । আমি দেখাইলাম, কি লোকসংখ্য", কি দেশী ভাষায় ও ইংরেজীতে লিখলপঠনক্ষমের সংখ্যা, কি মোট রাজস্বের পরিমাণ, যে দিক দিয়াই দেখা যাকৃ, বাংলা দেশের ষত প্রতিনিধি পাওয়া উচিত, আমরা তত পাই নাই । বাংলা দেশকে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় এবং পরোক্ষভাবে উক্ত সভার বাহিরে ও রাজনীতি ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত প্রভাবহীন করিবার নিমিত্ত তাহার প্রতিনিধির সংখ্যা কম রাখা হইছে, আমার এই সঙ্গেহ গোপন করিতে চাই না । ভারতশাসনপ্রণালীর পরিবর্তন আবশ্যক কি না, এবং আবখ্যক হইলে কিরূপ পরিবর্তন আবশুক, তাহা বিবেচনা করিবার নিমিত্ত যে কমিশন বসিবে, তাহার সম্মুখে যে-সব বাঙালী সাক্ষ্য দিবেন, তাহার। এই বিষয়টির প্রতি মনোযোগ দিলে ভাল হয়। বঙ্গের প্রতি অবিচারে সমস্ত ভারতবর্ধও ক্ষতিগ্রস্ত হইতেছে । কারণ, বাংলা দেশ এখনও রাষ্ট্রনীতিজ্ঞান বিষয়ে নগণ্য হয় নাই । বঙ্গের অবকারীর আয়ের অল্পতা যদি সম্পূর্ণরূপে এপ্রদেশে নেশার জিনিষের অল্পব্যবহারজনিত হস্থত, তাহা হইলে সন্তোষের বিষয় হইত। কিন্তু বঙ্গের আবকারী রাজস্বের অল্পতার তাহাই একমাত্র কারণ নহে } এ প্রদেশে কোন কোন নেশার জিনিষের উপর অাবকারী ট্যাক্স অন্য কোন কোন প্রদেশের হার অপেক্ষ কম। কাটুতি বাড়ান ইহার উদ্বেগু কিন। বলিতে পারি না । এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এই প্রবন্ধে হইতে পারে না। কেবল ইহাই বক্তব্য, যে, বঙ্গে সব নেশার জিনিষের উপর ট্যাক্সের স্থার অন্তান্ত প্রদেশের উচ্চতম হারের সমান হইলে আয়ও বাড়ে এবং নেশার জিনিষের ব্যবহার কিছু কমে। অবশু, আমি চাই, ঔষধার্থে এবং বৈজ্ঞানিক উদ্দেহুে ভিন্ন, নেশার জিনিষের বিক্রী ও ব্যবহার একেবারে বন্ধ হওয়া । যত দিন তাহ না হইতেছে, তত দিন খুব বেশ ট্যাক্স বসাইয়া কাটতি কমান ও যথাসম্ভব আয় বাড়ান কর্তব্য । বঙ্গের প্রতি অস্থায় ব্যবহারের আর এক দৃষ্টান্ত অনেক বার ণিয়ছি। এখন আর একবার, মোট আদায়ী রাজস্বের তুলনায় বাংলা দেশ কত সামান্ত টাকা সরবার সব রকম কাজ চালাইবার জন্য ভারত গবৰ্ম্মেন্টের নিকট হইতে পায়, তাহ বগিতে চাই । অনেক বার বলিয়াছি, বঙ্গের লোকসংখ্যা অন্য সব প্রদেশের চেয়ে বেশী, বোম্বাইয়ের ও পঞ্জাবের দ্বিগুণের চেয়েও বেশী, আগ্ৰা-অযোধ্যার ও মান্দ্রাঞ্জের চেয়ে বেশী । অথচ বাংলা দেশকে তাহার ধরচের জন্য ভারত গবৰ্ম্মেণ্ট এই বড় পাচটা প্রদেশের মধ্যে সব চেয়ে কম টাকা দেন । নীচের তালিকায় ১৯২৪২৫ সালে প্রত্যেক প্রদেশের মোট আদায়ী রাজস্ব এবং ১৯২৭-২৮ সালের জন্য মোটবরাদ্ধ আয় দেখাইলাম । মোট রাজস্ব উপরের ছত্রে জলসেচন-রাজস্ব বাদ, নীচের ছত্রে ঐ রাজস্বসমেত দেখান হইয়াছে। & CR" মোট রাজস্ব । বঞ্জেটে বরাদ্ধ জায় ৮ 電西f疇 } \\$8)yషిణ 3&&8tre е е. ఫి ఆ & ఫిes *\డి cयांशाहे 38&S ఆ 8 Steve ை १० १é 8३७y *
পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৭
অবয়ব