পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ8\ይ প্রবাসী – ভান্দ্র, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড নাই । খরচ করা আবশ্বকও মনে করি না। দেশটা বিলাত নয় যে, তাহাঙ্কে দাড়াইয়া কাজ করিতে হইবে। একথান মোটা পাটা ভুঞে ফেলিলেই তাহার বেঞ্চি হয় ; লম্বা রেদ করিবার সময় একটা বেঞ্চি পাইলে জাল, ন পাইলে কাজ অচল হয় না। সে স্বচ্ছলো প। মুড়িয়া হাতে পারে কাজ করে, জুতা মোঙ্গ পরিয়া থাকে না। করাতের স্বতায় কালী মখাইতে বাক্স, ৰীল প্রভৃতি অনাবশ্বক বাহুল্য দেখিলে মনে হয়, ঝ বড় চুলে টেরি কাটিং। শাদা পাঞ্জাৰী গায়ে দিয়া সৌখিন বালকে সৌখিন কম করিবে । হাতে কালী লাগার ভর থাকে, চা-খড়ি ত ছিল । কাষ্ঠকম সাধারণতঃ দ্বিবিধ, গড়ন ও জোড়ন । গড়নের কাজ বলিলে চলিতভাষায় বাটালী দিয়। মূৰ্ত্তি গড়া বুঝায়. পূর্বকালের इछे कम । ठाश :श्रणe -का? माई७ कब्र अछानब्र भर५] चाप्म । গ্রন্থকার আশা করেন আমাদের কৃষকের লাঙ্গল মই ঘরের খুটি দরজ নিজে গড়িয়া লইতে শিখিবে । কিন্তু তাহার আলমারিতে বাইস দেখিতে পাইতেছি না । সেই বেদের কালের বাসি, যাহ। একাধারে ধিলাভী দুইটা বস্ত্র, উপযোগে করতে বাটালী রে’দ, সে বাইস নইলে গায়ের छूठीtद्रब्र शङ यश । ॐशग्न थाल्भांब्रिाउ जमब्रई य! रुझे ? ॐशरक বলিতে হুইবে না, দেশী ভ্রমরের কাছে বিলাতী রাচেট, গ্রাম্য ভাষায়, কলিৰণও পাইতে পারে না। বাইল, করত, বাটালী, ভ্রমর ধরিতে যে ন। শিখিয়াছে, সে কিছুই শেখে নাই। ছুতার অ-নাড়ী কি স-নাড়ী তাহ বুঝিবার তিন সোজা উপায় আছে। এক, তাহার হুেতেরের ধর দেখা । অ-নাড়ীর হেন্তেরের ধার মোট । দ্বিতীয় উপায়, তাহাকে একটা যাজে কাঠে ইস্কুপ আঁটিতে ৰল। অনাড়ী সোজা বিধ করিতে পারে না ; যদি বা পারে গায়ের জোরে ইস্কুপ বসায়। তৃতীয় পরীক্ষা, প্রাধাগ্য পরীক্ষা, যেটা গড়িবে, সেটার রেখাচিত্র লেখা । দেখিতেছি, গ্রন্থকার হেতেরে ধার দিতে বলিয়াছেন, ইস্কুপে গায়ের জোর লাগাইয়াছেন, আর “অঙ্কন’ট ৰিবিধ মধ্যে ফেলিয়াছেন । তাহার ছাত্র প্রথম পরীক্ষায় পাস, অন্ত দুই পরীক্ষার ফেল হইবে। প্রাণপণে ইস্কুপ কঘিতে দেখিলে বুঝি, ইহায় মম স্থান জানে না। আর যে, ভূঞে বা কাগজে জিনিসটি লিখিয়া দেখাইতে না পারিখে, সে কাঠে আর কি দেখাইৰে ? যন্ত্রের চলিত নাম, ও মানাবিধ জোড়নের নাম দেওয়ায় একটু মুন্ধিল আছে। স্থানভেদে অল্প স্বল্প নামভেদ আছে। তথাপি রেত নয়, রের্তী বা উগা বা উত্থা। (রেউী নাম হিন্দী)। "অগর’ নয়, জাগয় ; ‘অগরবিট' নয়, আগরের ফল ; "তৈল পাথর নয়, তেলশিল : ‘২ ফিট লম্ব মাপিধার যন্ত্র নয়, দু-ফুটে, গজ, ( বাঙ্গালায় ফুটুফিটু নাই, সব ফুট ) ; tennon saw টেনসা। টান করাত বলিলে কয় তাঁর লম্বা করতি বুঝায়। ঠেঙ্গ করাত আর টান করাত, দুই রকম হাত করাত আছে । সে টান করাত কোলের দিকে টানিতে হয় । এজঙ্ক পৃথক করিতে হইলে কোলটান করাত বলিতে হয়। গ্রন্থকার screw driver ৰেন মার্জল বলিয়াছেন, জানি না। বাঙ্গালীয় বলে তিরুজু। কিন্তু ওড়ির নাম পেচ-কষ বেশ লাগে। আমি শুনিয়াছি হাতুড়ীকে মাত ল বলে । হেতেরেয় ফদে ১৪ ইঞ্চি রৌদী আছে, ছোট রেদ। কই ; ‘পোক রোদা’ আছে, চেন্না কই ? পলুও দেখিতেছি না। যাহারা প্রথম লেখক হইবেন, ভাষার প্রতি তাহঁদের একটু কৰ্ত্তব্য আছে । গ্রন্থকার যাবতীয় জোড়নের ইংরেজী নাম চালাইয়াছেন। হেন্তেরের ইংরেজী মামে ক্ষঙি নাই, কিন্তু কমের ইংরেজী নাম দিলে বিবয়জ্ঞানে शि झू इग्न । दांछीठ नभ fक्ष्ठ नl, कि६तां मार्षक नांभ *छन! कठिंम, তাও নয়। তথাপি, করাতের দানা’ নয়, ট্রাত ; স্কু নয়, ইস্কুপ ; श्राषब थाब्र cन७ब्र मछ, थाब्र- कब्र व शिणांना : “शिश क३' मछ, পালিশ লাগান (পালিশ করা-মন্থণ করা) : পাশাপাশি অাণে' নয়, এড়ে দিকে ; কুদ করা" নয়, কেঁদ ; ইত্যাদি। ‘পুনপালিশ" কথাটা বুঝিতে আমার সময় লাগিয়াছিল। কাঠে পালিশ লাগান, কাঠ কোদা, একাই এক এক কলা । এখানে তাহার স্থান নাই। তুলি দিয়া, কি নেকড়ার পুটলী দিয়া পালিশ মাখানা আর রং বা বানিশ লেপ একই । সেট পালিশ নয় । পশুকের শেয় অধ্যায়, “কাঠ পরিচয় ।” কিন্তু পরিচয় করাইতে হইলে গণ বর্ণনা চাই। সেদিকে লেখক না গিয়া কাঠের নাম মাত্র দিরাছেন । কাঠের রংভ বলেন নাই । সেগুন কাঠ সম্বন্ধে লিখিরাছেন, “ইহার জীশ খুব ঘন, কাজ করিতে বেশ মোলায়েম। শিশুকাঠের “অ শি খুব শক্ত ঘন এবং স্থায়ত্বগুণসম্পন্ন ৷” এই পরিচয় ঠিক নয় কাজেরও নয়। গাছের নাম করিয়া ছাড়িয় দিলে চলিত । এখানেও একটু বাধা আছে । বাঙ্গাঙ্গাদেশে শিশুকাঠ দেখিতে পাই না, যেটা দেখি সেট সিতিসার ( সং সিতি এখানে কৃষ্ণবর্ণ) । গাছটার দেশে এই নাম চলিত আছে । দেখিতেছি, লেখকের কতকগুলি গাছ আসাম অঞ্চলের । যে গাছ যে দেশে জন্মে, তাহার সেদেশী নাম অবশ্য দিতে হইবে ; তারপর তাহার সংস্কৃত মাম থাকিলে সে নাম । সে নাম পাইলে অন্য দেশের লোক গাছটি চিনিতে পারিখে। সংস্কৃত নান না থাকিলে সংস্কৃত নামের কোন গাছের জ্ঞাতি, তাহ বলিলে কিছু জানা যাইবে। তা বলিয়। শিমুলের নাম "তুলা লেখা, কিংবা ব্ৰহ্মদেশীয় ইংরেজী Ironwood এর বাঙ্গালা তজমা 'লোঁহকাঠ একেধারে অচল । স্মরণ হইতেচে এই “লোঁহকাঠ”কে নোয়াখালি ও চাটিগারে পিঙ্গাডু বলে । শ্ৰী যোগেশচন্দ্র রায় হিজলীর মসনদ-ই-আলা—শ্ৰীমহেন্দ্রনাথ করণ প্রণীত । প্রকাশক ক্ষেমানন্দ কুটার, ভাঙ্গনমারি, জাম্বা পেষ্ট: মেদিনীপুর । ২৭১+৩৪ পৃষ্ঠা। ২২ থান চিত্র ও মানচিত্র। মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণ কুলের মাঝামাঝি হিজলী দ্বীপ এখন ম্যালেরিয়া-প্ৰপীড়িত চাবের ক্ষেতে পরিণত হইয়াছে। কিন্তু সপ্তদশ শতাব্দীতে বাঙ্গলার ইতিহাসে হিজলী বিখ্যাত ছিল । গঙ্গার এক শাখা যেখানে শেষ হইয়াছে, পূৰ্ব্বে সাগরদ্বীপ এবং পশ্চিমে মেদিনীপুর জেলায় বিস্তৃত জমি, ঠিক এইরূপ স্থানে থাকায় হিজলী বঙ্গোপসাগরের নাবিকদের পক্ষে অত্যন্ত সুবিধার স্থান ছিল, এবং ইহার মুসলমান রাজা অনেক দিন স্বাধীনত রক্ষা করিতে পারিয়াছিলেন। আওরংজীবের রাজত্বের প্রথমে হিঞ্জলীর শেষ বিদ্রোহ দমন ছয়, এবং তাহায় ২৫/২৬ বৎসর পরে ইংরেজ বশিকগণ বঙ্গের স্ববাদার শায়েন্ত ধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে এই হিজলীতে আশ্রয় গ্রহণ করে, এবং এখানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপে সাবড়ি হইয় शंभू ? বে-সব বিদেশী জাহাজ বঙ্গদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ফরিত তাছাদের পক্ষে হিজলীর সাহাৰ্য্য না লইলে চলিত না, এজগু পুরাতন পর্তুগীজ ও ইংরেজ ভ্রমণ-বৃত্তাস্তুে হিজলী (Injelly)র অনেক কথা জানা যায়। বঙ্গোপসাগরের আর কোন বলার সম্বন্ধে এত বেণী সংবাদ পাওয়া যায় না । তাহা তিল্প, হিঙ্গীর মসজিদে স্থানীয় রাজবংশের একখানি পুরাতন কাল্পী ইতিহাসের হস্তলিপি রক্ষা প।ইয়াছে, ইহার অনেক অংশই বিশ্বাসযোগ্য। এইসব উপাদান একত্র করিয়া বহুবর্ষব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মহেশ্রবাবু তাহার জন্মভূমির এই ইতিহাসখানি য়চনা করিয়াছেন। ইহা শুধু হিজলী গ্রামের ইতিহাস নহে, ইহাতে বঙ্গোপসাগরের পার্শ্ববৰ্ত্তী অপর দেশগুলির সম্বন্ধেও অনেক সংবাদ অাছে। গ্রন্থকার সমস্ত উপাদান বেশ