পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬২ প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ,১ম খণ্ড (f) appointment of Examiners ; and - Gಳಿ'ಘಿಸಿ 'ಸಿ'ಔನಿಷಿಸಿ ಔಘೀ of the Senate. অধ্যাপক যদুনাথ সরকার সিকি শতাব্দীর অধিককাল সাতিশয় যোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সহিত অধ্যাপকের ও পরীক্ষকের কাজ করিয়াছেন। তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বহুভাবাবিং । তিনি একজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রসিদ্ধতম ছাত্র । উচ্চতর বিদ্যানুশীলনের বোর্ডের যে-সকল কৰ্ত্তব্য উল্লিখিত হইয়াছে, তাহার প্রত্যেকটি যোগ্যতার সহিত সম্পাদন করিতে তিনি সমর্থ। তাহার অন্য কি কি দোষ গুণ, যোগ্যতা অযোগ্যতা আছে, না আছে, তাহ এক্ষেত্রে বিচাৰ্য্য নহে। এইসকল কারণে আমরা মনে করি, শিক্ষকদের তাহাকে নিৰ্ব্বাচন করা উচিত ছিল । তিনি নির্বাচিত না হইয়। চারিটি বোর্ডের মধ্যে কোনটিতে অন্য কে নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন জানি না । জানিলে এবং নিৰ্ব্বাচিত ব্যক্তিদের যোগ্যতার বিষয় আমরা অবগত থাকিলে সে-বিষয়ে কিছু লিখিতে পারিতাম । শুনিয়াছি, ইতিহাসের বোর্ডেও তাহার নাম প্রস্তাবিত হইয়াছিল, কিন্তু ইতিহাসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পণ্ডিত শিক্ষকগণ র্তাহাকে না-লায়েক মনে করিয়াছেন–র্তাহ অপেক্ষা কাহাকে অধিকতর লায়েক মনে করিয়া নিৰ্ব্বাচন করিয়াছেন জানিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নূতন ক্যালেণ্ডারে ইতিহাসের শিক্ষক এবং ইতিহাসের বোর্ডের সভ্যদের তালিকায় তাহ অপেক্ষ যোগ্য কাহাকেও দেখিলাম না। র্তাহার সমান যোগ্যও কেহ আছেন বঙ্গিয়া আমরা অবগত নহি । সুতরাং অস্তত: পক্ষে ইতিহাসের বোর্ডে র্তাহার স্থান হওয়া উচিত ছিল। ইংরেজী সাহিত্য, আরবী-ফারসী, নৃতত্ব, প্রভৃতি কোন কোন বোর্ডেও যে-সকল ব্যক্তির নাম দেখিতেছি, তাহারাও ঐ ঐ বিষয়ে প্রত্যেকেই যদুবাবু অপেক্ষা পণ্ডিত नtश्न ! আমরা আগেই বলিয়াছি, যে, বোর্ডের নির্দিষ্ট কাজের যোগ্যতা কাহার কিরূপ আছে, তাহাই বিচাৰ্য্য, অন্য কিছু বিচার্য নহে। কিন্তু কু-ভার্কিকের অপ্রাসঙ্গিক কথা তুলিয়। অনেক সময় ভ্রম বা জ্ঞানকৃত দোষ ঢাকিবার টেষ্ট৷ করে। এক্ষেত্রেও তাই। হইতেছে। যদুবাবুর বিরোধী দলের বলিয়া অকুমিত একজন গুপ্তনাম লেখক একখানি ইংরেজী দৈনিক খবরের কাগজে লিখিয়াছেন, যে, যদুবাবু ভাইস-চ্যান্সেলার হইবার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণকে তোবামোদকারী, দাস প্রকৃতির লোক, ইত্যাদি বলিয়াছিলেন। সকলকে বলেন নাই, কুতকগুলি লোককে বলিয়াছিলেন । র্তাহাদের প্রকৃতি ঐক্লপ বটে, তাহা আমরা এখনও বলিতেছি । সত্য কথা বলা দোষ নহে । সত্যকথন উচ্চতর বিদ্যাকুশীলন বোর্ডের সভ্য হইবার পক্ষে একটা অযোগ্যতা নহে । অবশু যাহারা ঐরূপ প্রকৃতির লোক, তাহারা যদুবাবুর প্রতি প্রসন্ন থাকিতে পারেন না । আর-একটা কাগজে সম্পাদকীর স্তম্ভে সম্ভবতঃ ঐ দলেরই কোন লোকের দ্বারা লিখিত হইয়াছে, যে, “it is in the constitution of the Boards that the ఫీఫిష్క్రిష్క్రిపి #ಪಷಿ藍'!ಣ್ಣ, Boards of studies, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বাধীন মত কবে হইতে চুড়াস্ত নিম্পত্তি করিতে আরম্ভ করিয়াছে, জানিতে ইচ্ছা হয়। পোষ্ট-গ্রাজুয়েট বিভাগে আগে হইত এক কৰ্ত্তার ইচ্ছায় কৰ্ম্ম, এখন না হয় দুই তিন কর্তার ইচ্ছায় কৰ্ম্ম হইয়! থাকে । শিক্ষকের প্রায় সকলেই বা প্রত্যেকেই কবে হইতে স্বাধীনচেতা স্বাধীনকৰ্ম্ম হইয়া উঠিয়াছেন, কেহ তষিয়ে গবেষণা করিয়া প্রবন্ধ লিখিলে প্রেমচাদ রায়চাঁদ বৃত্তির জন্য পাঠাইতে পারিবেন। যন্ধুবাবুকেই লাটসাহেব সৰ্ব্বপ্রথমে ভাইস-চ্যান্সেলার নিযুক্ত করেন নাই, তাহার পূর্ববর্তী প্রত্যেক ভাইস-চ্যান্সেলার কোন ন। কোন লাটের দ্বারা নিযুক্ত। সুতরাং যত্নবাবুকে বোর্ডে নিৰ্ব্বাচন করিলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম শিক্ষকদের স্বাধীনতা খৰ্ব্ব হুইত মনে করিবার কোন কারণ নাই । আমরা শিক্ষকদিগকে ছবিতে অনিচ্ছক। যাহাদের কিছুকাল অস্তর অস্তর পুননিয়োগ অন্তের কৃপাসাপেক্ষ,র্তাহাদের মধ্যে প্রত্যেকেই স্বাধীনচেতা হইবেন, এমন আশা করা যায় ন। অন্তান্ত কারণের মধ্যে এই কারণে অনেকে চান যে, শিক্ষকদের পদের স্থায়িত্ববিধান হয়, যাহাতে তাহার।