পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧8 অনেক দিন পরে রাজকন্যা একদিন তার মন্দিরের জানাঙ্গ থেকে দেখতে পেলে, অনেকগুলি সুন্দর সুন্দর জাহাজ এসে বন্দরে ভিড়ল। শীঘ্রই রাজপ্রাসাদে সংবাদ এল রাজকঙ্কার নিকটে একজন রাজপুত্র আসছেন। তিনি রাজকন্যাকে এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন যার উত্তর রাজকন্যা দিতে পারবেন না। রাজকন্যা বিষন্ন মনে রাজপুত্রের জন্যে অপেক্ষা করতে লাগল। তার জন্য যে কত রাজপুত্রের প্রাণ নষ্ট হ’ল সে কথা চিন্তা করে তার মন বড়ই বিমর্ষ হ’য়ে গেল। নিরুদ্ধেশ পথিকের জন্যে চিস্ত করে করে তার মন অন্যের দুঃখ বুঝতে শিখেছিল। অবশেষে রাজপুত্র তার পিতা রাজপুতনার রাজার সঙ্গে রাজকন্যার মন্দিয়ে এসে পৌছলেন এবং তাকে বললেন—“রাজকুমারী ! আমার একটি প্রশ্ন আছে, তুমি যদি পার তবে তার মীমাংসা করে দাও। আমার প্রশ্নটি এই – আমি একবার বিদেশে শিকার করতে গিয়েছিলাম । সেখানে একটি চমৎকার হরিণী আমার দৃষ্টিগোচর হ’ল। আমি তার পদদ্বয় লক্ষ্য ক’রে তীর নিক্ষেপ করলাম। সে আহত হয়ে পলায়ন করলে। পরদিন সেইস্থানেই আবার প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৪ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড তাকে দেখতে পেলাম, এবার তার কপাল লক্ষ্য করে তাঁর নিক্ষেপ করলাম, সে আহত হয়ে পড়ে গেল, কিন্তু আমাকে অগ্রসর হতে দেখে উঠে পালিয়ে গেল। তৃতীয় দিন ঠিক সেই স্থানেই আবার সেই হরিণীকে দেখলাম । এবার আমি তার হৃদয় লক্ষ্য করে তাঁর নিক্ষেপ করলাম । আমার তীর তার হৃদয় ভেদ করে গিয়েছে বলে আমার ধারণ ছিল । কিন্তু যেখানে তাকে পড়তে দেখেছিলাম বলে’ মনে হ’ল, সেদিকে যখন অগ্রসর হলাম তখন আর তাকে কোথাও দেখা গেল না । তুমি কি এই রহস্যের মীমাংসা ক’রে দিতে পার ?” রাজপুত্রের কথাগুলি যখন রাজকন্যা মন দিয়ে শুনছিল তখনই সে বুঝতে পাৰ্বল এ রাজপুত্র তার সেই পথিক ভিন্ন আর কেউ হ’তেই পারে না । সে তার প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্তে কোনও চেষ্টাই না করে’ পরাজয় স্বীকার করে নিল । তখন মহাসমারোহেই রাজপুতনার রাজপুত্রের সঙ্গে সিংহলের রাজকন্যার বিয়ে হ’য়ে গেল। দুই রাজাই পরম আনন্দ ও সন্তোষ লাভ করলেন । কিন্তু রাজপুত্র ও রাজকন্য। পরম্পরের মিলনে যেমন সুখী হ’য়েছিল এমন আর কেউ হয়নি—সে-সব কথা বলাই বোধ হয় বাহুল্য । কারুশিপের পুনরুদ্ধার শ্ৰী শাস্তা দেবী শিল্প বলিতে সচরাচর আমরা কখনও বা চারুশিল্প কখনও বা কারুশিল্পমাত্রকে বুঝি। আমাদের নান শিল্পভবনগুলির সহিত চারুশিল্পের কোনো সংস্রব নাই, তবু জামরা সৰ্ব্বদাই তাহাদের শিল্পভবন বলি এবং ভুলিয়। যাই যে, শিল্পের নামটা চারুশিল্প হইতেই উৎপন্ন। চারুশিল্প স্বাক্ট ৰে করে সেই শিল্পী, কারুশিল্প রচনা করে কারিগর। সভ্যজগতে সকল দেশেই চারু ও কারু শিল্প পরস্পরের সহিত জড়িত হইয়ু পড়িয়াছে ; স্বতরাং সাধারণ ভাবে বলিতে গেলে শিল্প বলিতে এই দুইটিকেই বোঝা উচিত। এক শিল্প শব্দের দ্বারা এই দুই শ্রেণীর স্বাক্ট ও রচনাকে বোঝায় বলিয়াই যে, কেবল ইহাদের পরম্পরের ** *** उह नः, ३शत्र भाशयत्र गङा चौरान পরম্পরের সহিত সকল কি দিয়াই অবিচ্ছিন্নভাবে যুক্ত। মাহুষের জীবনে আনন্দ ও প্রয়োজন দুইয়েরই সমান স্থান