পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ب - بریت- ۹ ام ۷- ۰ - ۹" না দেখে দেখে বড় কাতর হয়ে উঠেছে...আমুক তার একবার, দেখা দিয়ে যাক মাকে।” নতুন মেয়েটি একবার আমার মুখের পানে, একবার মুক্তর মুখের পানে চাহিতে লাগিল; শেষে বললে,-“অবাক করলে, ম, নিস্তারের ত’ ছেলেপিলে নেই।” .......’সুরু ধীরু ? جca‘‘سہ কিন্তু ব্যাপারটা একেবারে হেঁয়ালি, মাথামুগু, তাব কিছুই বোঝা গেল না । নিস্তার অল্প বয়সেই বিধবা হয় ছেলে হ'বার বয়স তখন তার হয়নি । আমার মুখে সব শুনে “নিস্তার, নিস্তার” ক’রে মুক্ত বাড়ী তোলপাড় ক’রে তুল্ল, এ-ঘর, ও-ঘর, সব জায়গা পাতি পাতি ক’রে খোজ হ’ল, নিস্তার কোথাও ८न्झे – বাঁকুড়ার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বক্তৃত boసిసి মুক্ত বললে,-“পালিয়েছে মাগী ফাকি দিয়ে টাকা নিয়ে —” কিন্তু তা ত নয়, উণ্টে সেই টাকা পাবে। উনি ও শুনে অবাক হ'য়ে গেলেন । যে শোনে সেই অবাকৃ হ’য়ে যায়। তিনদিন পরে ভিন্নপাড়া থেকে নিস্তারকে মুক্তই গ্রেপ্তার ক’রে নিয়ে এল। এসেই নিস্তার কাতে লাগল, বললে,—মিছে কথা কয়েছি বেীমা, আমায় মাপ করো। আমার যে ছেলে নেই এ-কথা আমি ভাব তে পারিনে যে . না হওয়ার জালা ঐখানেই । বললাম,—“তুমি আমার কাছেই থাকো”— নিস্তার বললে,—“ন, তুমি ত’ আমার ছেলের গল্প আর শুনবে না !—” বাকুড়ার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বক্তৃত৷ ঐ রামানন চট্টোপাধ্যায় বাকুড়ার অভয়-আশ্ৰম লাইব্রেরীর বার্ষিক অধিবেশন উপলক্ষে আমি বাকুড়া গিয়াছিলাম। অভয়-তাশন ব্যতীত আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দর্শন করিয়৷ তদুপলক্ষে কিছু কিছু বলিয়াছিলাম। বক্তৃতাগুলির কিছু আভাস দিব ! এ বৎসর বাংলা দেশে কলিকাতার বাহিরে যে-ণে জায়গায় গিয়াছি, তথাকার লোকেরা আমার প্রতি সোজস্থ্য প্রদর্শনের জস্য আমাকে যাহা বলিয়াছেন, উপহীদের ধারণা তদনুযায়ী হতলেও আমার নিকট তাহা খুব বেশীরকম অতিশয়োক্তি মনে হইয়াছে। বাকুড়ায় অভয়-আশ্রম লাইব্রেরীতেও এইরূপ নানা কথা আমার সম্বন্ধে উক্ত হওয়ায় আমি যাহা বলিয়াছিলাম, তাহার তাৎপর্যা নীচে লিখিত হইতেছে। অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানেও ঐরূপ কথা বলা হইয়াছিল : তাহার উত্তরে যাহ বলিয়াছিলাম, তাহা লিখিবার প্রয়োজন হইবে না। “পরিবারে যে-সব শিশু জন্মগ্রহণ করে. তাহার রূপবান, গুণবান না হইলেও মেহের পাত্র হইয় থাকে। তাহারা ঘরের ছেলে বলিয়াই ভালবাসা পাইয়া থাকে। তাহদের ভালবাসার দাবী তাহদের কোন-প্রকায় যোগ্যতার উপর নির্ভর করে না । তাহার ঘরের ছেলে বলিয়াই সকলের স্নেহের অধিকারী হয়। আমি বাকুড়ায় জন্মগ্রহণ করিয়া এখানেই লালিত পালিত হই, বাল্য ও কৈশোরের শিক্ষাও এইখানেই লাভ করি। আমার উীবনের নানা মধুর-স্মৃতি এই সহরের নানা স্থানের সহিত জড়িত। আমার কোন কুস্তিত্ব, কোন যোগ্যতা আছে কিনা, তাহার বিচার না করিয়াই বাকুড়ার সকল লোকের গ্রীতির দাবী করিতে পারি। সেই প্রীতি পাইলে আনন্দিত হুইব । সম্মানের দীর্থী আমি করিতে BBB B S BBBBS BBB BBYBS g BBBB BB BBB করিয়াছেন, তাহ অতি সীমান্ত পরিমাণে সত্য হইলেও হঠতে পারে, ন হইতেও পারে । তাহার বিচার না করিয়া, আমি সেই বর্ণনায় আনন্দি ত হইয়াছি এই কারণে, যে, উহা হইতে ইহা বুঝা যায়, যে, আপনার মনে করেন, অনুন্নত বাকুড়া জেলাতেও আপনাদের ঐরাপ প্রশংসা ও সম্মান পাইবার উপযুক্ত লোক জন্মগ্রহণ করিতে পারে । বাকুড়ার প্রতি এই যে শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস, ইঙ্গা মূল্যবান। আপনাদের আদর্শ যে উচ্চ, তাহা ঐ বর্ণনা হইতে বুঝা যায়। আদর্শ য়েথানে রহিয়াছে, সেখানে তাহার সহিত একাগ্র চেষ্টর যোগ হইলেই, আমরা বৃদ্ধের সাহা করিতে পারি নাই, বাকুড়ার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বালক ও যুবকগণ তাহা করিতে সমর্থ হইবেন ।” অভয়-আশ্রম মেথর-পাড়ায় কতকগুলি ছেলেকে শিক্ষা দিয়া থাকেন। সেখানে আমি গিয়াছিলাম। “বাংলার মাটী বাংলার জল পুণ্য হউক!" এই মর্শ্বের রবীন্দ্রনাথের যে গান আছে, মেথর ছাত্রের। সেই গান করিল। তাহাজের পিতামাতা ও - অন্ত গুরুজন উপস্থিত