পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২৬

          • マ **ン%ダー、ヘvメ***ーメx-/- ~・%ーマ t × *>

একজন খুব উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারীর নিকট শুনিয়াছি তিনি যখন দিল্লী গিয়াছিলেন, তখন তথাকার বড় বড় ইংরেজ আমলাদের সঙ্গে ক্যাথারিন মেয়োর খুব দহরম মঙ্গরম। লেখিকা কলিকাতায় কনীলিয়া সোরাবজী নামী ভারতবিদ্বেষী অল্প এক লেখিকার অতিথি ছিল । ক্যাথারিন মেয়োকে কালীঘাটের মন্দিরের ও শ্মশানের সব-কিছু দেখাইবার ভার পড়িয়াছিল বাবু হরিদাস হালদারের উপর। খবরের কাগজে প্রকাশিত সরদার শার্দুল সিংহের চিঠি হইতে জানা যায়; পাঞ্জাবে ক্যাথরিন মেয়ে টিকটিকি পুলিসের সাহায্য পাইয়াছিল। বুঝা যাইতেছে, সরকারী বন্দোবস্ত এরূপ হইয়াছিল, যাহাতে ভারতবর্ষের মন্দ সব কিছু বিকৃতভাবে ক্যাথারিন মেয়ে দেখিতে পায়। ভারতবর্ষে অগণিত সুন্দর দেবমন্দির আছে, যাহার স্থাপত্য উৎকৃষ্ট এবং যেখানে পশুবলি হয় না। তাহ ন দেখিয়া ক্যাথারিন মেয়ে দেখিল কেবল কালীঘাটের মন্দিরে পাঠ। বলি, ও তাহার ফোটোগ্রাফ তুলিয়া বহিতে ছাপিল । ক্যাথারিন মেয়োর প্রথম মিথ্যা কথা ইণ্ডিয়ান সোশাল রিফম র কাগজের সমালোচনায় দেখিলাম, “মাদার ইণ্ডিয়া’ বহির দ্বিতীয় ব তৃতীয় বাক্যেতেই বলা হইতেছে, যে, কলিকাতায় অনেক বহির দোকানে রাণীকৃত রুশীয় রাজনৈতিক পুস্তিক বিক্রীর জন্য রাখা হয়, তাহার উপর মাছির আড ড, এবং রক্তহীন অপ্রশস্তবক্ষ ধুতিপরা ছাত্রেরা নিবিষ্টচিত্তে তাহ পাঠ করে। আমরা জানি, ইহা নির্জলা মিথ্যা কথা । কলিকাতার ছাত্রদের মধ্যে একজন ও রুশীয় ভাষা জানে কিন সন্দেহ । সুতরাং রুশীয় ভাষায় লেখা চটি-বহি রাশি রাশি বিক্রীর জন্ত আনিবে, এমন আহাম্মক দোকানদার এখনও জন্মগ্রহণ করে নাই। রুশীয় ছাড়া আমাদের ছাত্রদের জানা অন্ত কোন ভাষায় লেখা রুশীয় রাজনৈতিক পুস্তিকাও কলিকাতার কোন দোকানে থাকে না ; কেননা, গবর্ণমেণ্টের আইন অনুসারেই এরকম বহি আমদানী করা নিষিদ্ধ। কিন্তু মনে করুন, যদি কোন দোকানদার কোনপ্রকারে গোপনে সেরূপ বহি আমদানী প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড AJAAS AAASASJJAAA AAAA SASAASAAAAASA SAASAASSJSAASAASAASAAAS •م ہیت. . . . جو ممبر یہ.. -- ۃ عے.. - করে (যাহা করিবার কোন কারণ নাই), তাহা হইলেও এমন বেকুব কে আছে, যে, সেগুল প্রকাষ্ঠভাবে বিক্রীর জন্য টেবিলে সাঙ্গাইয়। রাখিবে ? রুশীয় পুস্তিকাগুলার উপর এত মাছিই বা বসিবে কেন ? সেগুলা কি রক্তমাখা ? ক্যাথারিন মেয়োর মতে ভারতীয়ের আফ্রিকার বৰ্ব্বরদের চেয়েও নিকৃষ্ট, ঠিক মানুষ নয়, মনুষের চেয়ে নিম্নশ্রেণীর এক রকম জীব ; ইংরেজরাজত্ব আছে বলিয়া এই প্রাণীগুলা টিকিয়া আছে, নতুবা ভারতের উত্তরপশ্চিমসীমার ওপার হইতে মনুষ্যনামধারী জীবের আসিয়া ভারতীয়দেয় উচ্ছেদ সাধন করিত। ইংরেজরাজত্বের এমন মিথ্যা ও হাস্তকর সমর্থন পূৰ্ব্বে কখন শুনি নাই। ভারতীয়দের ইতিহাস ইংরেজরাজত্বের কয়েক হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে আরম্ভ হয়। ইংরেজরা এদেশে আসিবার পূৰ্ব্বে তাহ হইলে ভারতীয়ের টিকিয়াছিল কেমন করিয়া ? ক্যাথারিন মেয়োর বহির এবং পিল্‌চার নামক লোকটার ভারতীয় বিধবাদের কুৎসার একটা কুফল এই হইয়াছে, যে, ভারতীয়ের উত্তেজিত হইয়া আমেরিকার ও বিলাতের সামাজিক সৰ্ব্বপ্রকার দুর্নীতির প্রতিই বেণী করিয়া দৃষ্টিপাত করিতেছে। অধিকন্তু আমাদের সত্য সত্যু যে-সব দোষ আছে, তাহ নাই, বা তাহ দোষ নয়, বা তাহা যতটা অনিষ্টকর বা নিন্দনীয় বলা হয় ততটা অনিষ্টকর ও নিন্দনীয় নহে, এই-প্রকার কথা বলিবার আমাদের প্রবৃত্তি জন্মিতেছে। তাহ হিতকর নহে। পাশ্চাত্য সমাজ নির্দোষ নহে। কোন কোন দিকে আমাদের দেশের চেয়ে ইউরোপ-আমেরিকার সামাজিক ব্যাধি গুরুতর। কিন্তু তাহার আলোচনার চেয়ে ੋ তাহাদের সামাজিক ব্যবস্থা ও রাজনীতির কিগুণে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের উপর প্রভুত্ব করিতে পারিতেছে, তাহার আলোচনা কল্যাণকর । কেবল পাশব বলে, অস্ত্রশস্ত্রের বলে, পাশ্চাত্য প্রাচ্যের উপর কতৃত্ব করিতেছে না। কোন জাতির পাশব বলও তাহার বেশী দুর্নীতিগ্রস্ত হইলে অধিক দিন টিকিতে পারে না ; যেমন প্রাচীন রোমকদের বল টিকে নাই। পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানের বলে, বৈজ্ঞানিক অস্ত্রশস্ত্রের বলে, বুদ্ধির বলে, এবং একতার বলে বলীয়ান। বিজ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞানের উন্নতি করিতে হইলে, বৈজ্ঞানিক অস্ত্র