পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४-श्न म१र्थे । ] মিথ্যা নিন্দ আরো পাপ, এবং স্বজাতির মিথ্যা নিন্দার মত *পাপ অল্পই আছে। , হারান ক্রোধে অধীর হইয়া উঠিলেন । গোরা কহিল “আপনি একলাই কি আপনার সমস্ত স্বজাতির চেয়ে বড় ? রাগ আপনি করবেন--আর আমাদের.পিতৃপিতামহের হয়ে আমরা সমস্ত সহ করব!" ঈহার পর হারানের পক্ষে হার মান আরো শক্ত হষ্টয়া উঠিল । তিনি আরো সুর চড়াইয়া বাঙালীর নিদায় প্রবৃন্তু হইলেন। বাঙালী সমাজের নানাপ্রকার প্রথার উল্লেগে কহিলেন--"এ সমস্ত থাকৃতে বাঙালীর কোনও আশা নাই।” গোরা কহিল—“আপনি যাকে কুপ্রথা বলচেন সে কেবল ইংরেজি বই মুখস্থ করে বলচেন-নিজে ও সম্বন্ধে কিছুই জানেন না। ইংরেজের সমস্ত কুপ্রথাকেও যখন আপনি ঠিক এমনি করেই অবজ্ঞা করতে পারবেন তখন এ সম্বন্ধে কথা কবেন ।” পরেশ এক্ট প্রসঙ্গ বন্ধ করিয়া দিবার চেষ্টা করিলেন কিন্তু ক্রুদ্ধ হারান নিবৃত্ত হইলেন না । সূৰ্য্য অস্ত গেল ; মেঘের ভিতর হইতে একটা অপরূপ আরক্ত আভায় সমস্ত আকাশ লাবণ্যময় হইয়া উঠিল ;–সমস্ত তর্কের কোলাহল ছাপমঠয়া বিনয়ের প্রাণের ভিতরে একটা সুর বাজিতে লাগিল। পরেশ তাহার সায়ংকালীন উপাসনায় মন দিবার জন্ত ছাত হইতে উঠিয়া গিয়া বাগানের প্রান্তে একটা বড় চাপা গাছের তলায় বাধানে বেদীতে গিয়া বসিলেন । গোরার প্রতি বরদাসুন্দরীর মন যেমন বিমুখ হইয়াছিল হারানও তেমনি তাহার প্রিয় ছিল না । এই উভয়ের তর্ক যখন তাহার একেবারে অসহ্য হষ্টয়া উঠিল তিনি বিনয়কে ডাকিয় কহিলেন,—“আসুন বিনয় বাবু আমরা ঘরে যাই ।” বরদাসুন্দরীর এই সমেছ পক্ষপাত স্বীকার করিয়া বিনয়কে ছাত ছাড়িয়া অগত্যা ঘরের মধ্যে যাইতে হইল । বরদা তাহার মেয়েদেরও ডাকিয় লইলেন। সতীশ তর্কের গতিক দেখিয়া পূৰ্ব্বেই চীনাবাদামের কিঞ্চিৎ অংশ সংগ্ৰহ পূর্বক ক্ষুদে কুকুরকে সঙ্গে লইয়া অন্তর্ধান করিয়াছিল। বরদাসুন্দর বিনয়ের কাছে তাহার মেয়েদের গুণপনার পরিচয় দিতে লাগিলেন। লাবণ্যকে বলিলেন,—“তোমার সেই খাতাটা এনে বিনয়বাবুকে দেখাও না ।” গোরা o همه ۰"... ه ۹.۰۰۰ م، م...». - 88? יליי... אי-י..."ליי.. বাড়ীর নূতন আলাগীদের এই খাতা দেখানো লাবণ্যর অভ্যাস হইয়াছিল। এমন কি য়ে ইহার জন্ত মনে মনে অপেক্ষা করিয়া থাকিত। আজ তর্ক উঠিয়া পড়াতে সে ক্ষুণ্ণ হইয়া পড়িয়াছিল । বিময় খাতা খুলিয়া দেখিল, তাহাতে কবি মুর এবং লংফেলোর ইংরেজি কবিতা লেখা । হাতের অক্ষরে যত্ন এবং পারিপাট্য প্রকাশ পাষ্টতেছে । কবিতাগুলির শিরোনামা এবং আরস্তের অক্ষর রোমান ছাদে লিখিত । এই লেখাগুলি দেখিয়া বিনয়ের মনে অকৃত্রিম বিস্ময় উৎপন্ন হইল। তখনকার দিনে মুরের কবিতা খাতায় কপি করিতে পারা মেয়েদের পক্ষে কম বাহাদুর ছিল না। বিনয়ের মন যথোচিত অভিভূত হইয়াছে দেখিয়া বরদাসুন্দরী তাহার মেঝোমেয়েকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন--“ললিত, লক্ষ্মী মেয়ে আমার, তোমার সেই কবিতাটা—” ললিতা শক্ত হইয়া উঠিয়া কহিল—“ন, মা, আমি পীরব না। সে আমার ভাল মনে নেই।" বলিয়া সে দূরে জানালার কাছে দাড়াইয়া রাস্ত দেখিতে লাগিল । বরদাসুন্দরী ধিনয়কে বুঝাইয়া দিলেন, মনে সমস্তই আছে কিন্তু ললিতা বড় চাপা, বিদ্যা বাহির করিতে চায় না । এই বলিয়া ললিতার আশ্চর্যা বিদ্যাবুদ্ধির পরিচয় স্বরূপ হই একটা ঘটনা বিরত করিয়া বলিলেন, ললিতা শিশুকাল হইতেই এইরূপ ; কান্না পাইলেও মেয়ে চোখের জল ফেলিতে চাহিত না । এ সম্বন্ধে বাপের সঙ্গে ইহার সাদৃশু আলোচনা করিলেন । এইবার লীলার পালা । তাহাকে অনুরোধ করিতেই সে প্রথমে খুব খানিকটে খিলখিল করিয়া হাসিয়া তাহার পরে কলটেপা আর্গিনের মত অর্থ না বুঝিয়া “Twinkle twinkle little stars” of EfB, siç 3 g zsfräi agg নিশ্বাসে বলিয়া গেল । এইবার সঙ্গীতবিষ্ঠার পরিচয় দিবার সময় আসিয়াছে জানিয়া ললিত ঘর হক্টতে বাহির হইয়া গেল । বাহিরের ছাতে তর্ক তখন উদাম হৃষ্টয়া উঠিয়াছে। হারান তখন রাগের মাথায় তর্ক ছাড়িয়া গালি দিবার উপক্রম করিতেছেন। হারানের অসহিষ্ণুতায় লজ্জিত ও বিরক্ত হইয়া কুচরিতা গোরার পক্ষ অবলম্বন করিয়াছে । o