পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যা । ] - স্বরাট প্রাচীন নগর কি না, उीश স্থির করা কঠিন। যতদূর জানা যায় ইহা প্রাচীন নহে। কিন্তু সার টি, হাবার্ট ১৬২৬) ইহাকে টােলেমীর উল্লিখিত মুজিরিস এবং cগিলবি (১৬৬০—৮৫) টোলেমির সাইরাষ্ট্র (সৌরাষ্ট্র ) মনে করেন। কেহ কেহ ইহাকে ছয়েন স্তাঙের (৬২৫ - ৬৪০) গুজরাটের পশ্চিম উপকুলবর্তী বাণিজ্যবন্দর সো-রা-টা মনে করেন । কিন্তু এই নগর তপতীর তীরবর্তী সুরাট নহে, ইহা সোরাথ বা কাঠিয়াবাড়। প্রাচীন সৌরাষ্ট্র আপ্টের সংস্কৃত অভিধানে বর্তমান কাঠিয়াবাড়ের সহিত অভিন্ন বলা হষ্টয়াছে । আবি রেনাল বলেন যে ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে সুরাট একটি ক্ষুদ্র পল্লী বই আর কিছু ছিল না । শিক্ষিত ব্রাহ্মণগণ ইহাকে স্বৰ্য্যপুর বলেন, এবং প্রাচীন স্বৰ্য্যপুরের স্থানেই স্বরাট প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। কিম্বদন্তিও ইহা সমর্থন করে। রাসমালা নামক গ্রন্থে (১৬১ ) ব্রোচের সহিত স্বৰ্য্যপুরের উল্লেখ দেখা যায়। হামিণ্টন প্রভৃতি অনেকে ইহাকে রামায়ণে উল্লিখিত স্বরাষ্ট্র মনে করিয়া বহু প্রাচীন বচোন । ১৪৯৬ – ১৫২১ সালে একজন ধনী হিন্দু বণিক সুরাটে বসি স্থাপন করে। তাহার জাতি সম্বন্ধে মতদ্বৈধ আছে, কেহ নুগের ব্রাহ্মণ কেহ বা অনাবলী ব্রাহ্মণ বলেন। তাহার নাম ছিল গোপী । সে সুরাটে একটি প্রকাও বাড়ী ও বাগান নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল এবং বহু বণিককে সেখানে বাস করিতে সম্মত করাইয়াছিল । সহরের একটি পল্লী এখনো তাহার নামে গোপীপুর নামে অভিহিত হইতেছে। সে একটি পুষ্করিণী বড় করিয়া (১৫১৬) তাহার সকল পাড় পাথর দিয়া বাধাইয়া দিয়াছিল । সুরাটের এই সকল উন্নতি সাধনের জন্ত গুজরাটের রাজা তাহাকে ‘মালিক’ উপাধি দান করিয়াছিলেন, এবং গোপীর স্ত্রী রাণী আখ্যা পাইয়াছিলেন। সুরাটের একটি পল্লী রাণীচাকলা ও একটি পুষ্করিণী রাণীতলাও নামে তাহার স্মৃতি আজো বহন করিতেছে। গোপীর সংস্থাপিত স্থানের প্রথমে কোন নাম ছিল না, ইহাকে নুতন স্থান’ বলা হইত। গোপী দৈবজ্ঞদিগের সহিত পরামর্শ করিয়৷ এই সহরের নাম 'স্বরাজ বা ‘স্বৰ্ষ্যপুর’ রাখিয়া সেই নবপ্রতিষ্ঠিত নগরকে তৎরক্ষিত নামেই পরিচিত করিবার জন্ত গুজরাটের রাজার স্বরাট । * অনুমতি চাহে। কিন্তু রাজা তাহার রাজ্যে হিন্দুনামের ()న কোন নগর নূতন প্রতিষ্ঠিত হওয়া পছন্দ না করিয়া তাহার নাম কোরাণের অধ্যায়ের নামের সাদৃশুে স্বরাজ ત્રિમ পরিবৰ্ত্তিত করিয়া সুরাট করেন। গোপীর ধনশালত্ব সম্বন্ধে বহু গল্প প্রচলিত আছে। গোপী কিরূপে দীন দশা হইতে ধনবান হইয়াছিল তৎসম্বন্ধে এইরূপ কিংবদন্তি আছে। গোপী এক ব্রাহ্মণ বিধবার পুত্র ছিল। সে পারস্তভাষা শিক্ষা করিয়া কোন চাকরি প্রাপ্তির আশায় মাতার সহিত দিল্লীতে যায়। কিছু দিন ধরিয়া সরকারি সেরেস্তায় কাজের উমেদারি করিয়াও সফলকাম হুইল না । তথাপিও প্রধান সেরেস্তার কাছে সে সৰ্ব্বদা ঘুরিয়া বেড়াইত, যদি কখনো কোন সুযোগে কিছু সুবিধা ঘটিয়া যায়। একদা সকল কৰ্ম্মচারী চলিয়া গেলে একখানি বিশেষ জরুরি পাসী চিঠি আসিল। এই চিঠি পড়াইবার জন্ত একজন লোক গোপীকে ডাকিয়া আনিল । সেরেস্তার কৰ্ত্ত চিঠি লইয়া শব্দগুলি বানান করিয়া পড়িবার চেষ্টা করিতেছিল, গোপী সমূপে দাড়াইয়। তাহা দেখিতেছিল। কতক্ষণ পরে সেরেস্তার কর্তা গোপীকে চিঠি থানি দিতে গেলে গোপী বলিল যে সে চিঠি পড়িয়াছে এবং চিঠির লিখিত বিষয় প্রকাশ করিয়া বলিল । সেরেস্তার কত্তা ধখন চিঠি আলোর দিকে ধরিয়া বানান করিতে ছিল, গোপী সেই অবসরে চিঠির উণ্ট পিঠ হইতে চিঠি পড়িয়া ফেলিয়াছল। গোপীর বুদ্ধিমত্ত দশনে প্রত হহয়। সেরেস্তার কর্তা তাহার একজন মুরুবি হইল এবং BBgg ggSBBBB BBBB BBBS SS SBSB BB BSBB তৎপ্রতিষ্ঠিত নগরের নাম মুরাঙ্গ রাখিতে চাংয়াছল তৎসম্বন্ধেও বহু কৌতুকাবহ কিংবধান্ত আছে। স্বরাট বহুবার শক্ৰকর্তৃক দগ্ধ ও লুণ্ঠত হইয়াছে। আকবরের রাজত্বকালে মুরাট একটা প্রধান বন্দর বলয়া খ্যাত ছিল। এই জষ্ঠ সম্রাট আকবর মুরাট শাসনের জন্ত দুই জন দক্ষ কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত করিয়াiছলেন। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে কতিপয় যুরোপীয় বণিকসম্প্রদায়ের সুরাটে আগমন ও অবস্থিতি মুরাটের ইতিহাসের একটি প্রধান স্মরণীয় ঘটনা । ১৭৫৯ সালে ইংরাজ স্বরাট অধিকার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ভারতের