পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

نفس4b ' সীতা কেন নিজের অদৃষ্টকে নিন্দ করিলেন ? ইন্দ্রজিৎবধে তাহার দোষ কি ? তাহার কোনই দোষ নাই। ইন্দ্রজিৎবধে তাহার কারামুক্তির সুযোগ হইল সে জন্ত তিনি বিধাতাকে ধন্যবাদ কেন না দিবেন ? কিন্তু এই হর্ষের সঙ্গে একটু বিষাদের যোগ হওয়ায় দোষ কি ? বিধাতা কেন তাহার কারামুক্তির এমন উপায় বিধান করিলেন যাহাতে “মরিল দানববাল অতুল এ ভবে।” নারাই নারীর দুঃখ বুঝে। পতি বিরহ কি তাহা তো জানকী জানিতেন, সুতরাং রক্ষোবধূগণের প্রতি সহানুভূতিতে অস্বাভাবিকতা কোথায় ? তাহারই কারামুক্তির জল্পই তো তাদের এ দুর্দশা ? তিনি কেন কারাবদ্ধ হইয়াছিলেন, সেই শোকপুরীতে রমণীসুলভ সমবেদনার আবেগে যদি ক্ষণকালের জন্ত বিস্তুত হইয়া থাকেন তবে তাহাতে সীতাদেবীর মহত্বই প্রকাশ পাইতেছে। আর মৃত্যু পয্যন্তই শুক্রতা, মৃত্যুর পর সাধু ব্যক্তি শক্রভাব রাখেন না। শ্রীরামচন্দ্র রাবণের সম্বন্ধেও তাহা করেন নাই। তিনি মৃত রাবণ সম্বন্ধে বিভীষণকে আদেশ করিয়াছিলেন— মরণাস্তানি বৈরাণি নিবৃত্তং নঃ প্রয়োজনম্। ক্রিয়তমস্ত সংস্কারো মমাপোধ যথা তব ॥ ল, ১১১২৫ ৷ নিজের উপর দোষারোপ করা সাধুতার একট লক্ষণ । আর্য রামায়ণেও সীতার এ সাধুতা আমরা দেখিতে পাই, সাতাদেবী নিজের দুঃখকষ্টের জন্ত স্বীয় কৰ্ম্মফলকেই দায়ী করিতেছেন— কাশন্তু মহাপাপং ময়৷ দেহান্তরে কৃতম্। যেনেদং প্রাপ্যতে ঘোরং মহা দুঃখং মদীর'ণমূ॥ ৫, ২৫।১৮ । রাম লক্ষ্মণ যুদ্ধে নিহত হইয়াছেন ভাবিয়া সীতাদেবী একদিন নিজেকেই ধিক্কার দিতেছেন— আহে। ধিক্সন্নিমিত্তোহয়ং বিনাশে রাজপুত্রয়োঃ । ল, ৯৩৫ • । ইন্দ্রজিৎ অপরাধী না নিরপরাধ। ভিন্ন ভিন্ন দিক্ হইতে বিচার করিলে ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হয়। ইন্দ্রজিৎ ‘দেশবৈরী’র সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া প্রাণ দিয়াছেন। কেন যুদ্ধঘটিয়াছে তাহার বিচার তিনি করেন নাই, পিতার আদেশ পালন করিয়াছেন। এমন পিতার আদেশ পালন করিলেন কেন ? পিতার আদেশ, তা লইয়া আর বিচার কেম। দশরখের ইন্দ্রিয়পরতন্ত্রতায় অযোধ্যার অনর্থ, রাবণের প্রবাসী । পরীপিপাসায় লঙ্কার বিনাশ । শ্রীরাম পিতৃ-আজ্ঞ পালন هم به ۳ - ۰۰۰۰ع { ৭ম ভাগ । s****- ... AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAه. د ***sهههه دهههه. په-همه.. --مهه--- করিয়াছেন, মেঘনাদও পিতার আদেশেই প্রাণ দিয়াছেন।” শেষে জিতেন্দ্র বাবু বলিয়াছেন যে মাইকেল সীতাচরিত্রের উৎকর্ষ সাধন করা দূরে থাকুক সে চরিত্রের আত্যস্তিকা অবনতি ঘটাইয়াছেন। কেন না, আর্ষ রামায়ণের সাত “তেজোময়ী ক্ষত্রিয়ললনা,” , “সিংহিনী,” “যুদ্ধের নামে ও যুদ্ধ দর্শনে তাহার অপার উৎসাহ ও আনন্দ,” “তিনি শ্রীরামচন্দ্রের বীরত্বের প্রতি সন্দেহশালিনা ছিলেন না রামের জন্ত তাহাকে ঠাকুর দেবতাকে মানত করিতে ইহঁত না” কিন্তু “মেঘনাদ বধের সাত কোদণ্ডটঙ্কারে মুৰ্চ্ছা যান যুদ্ধ হইতে শুনিয়া কাদিয়া আকুল হন, তিনি বাঙ্গালী রমণীর ন্তায় সিন্নি দিতে বিশেষ পটু, সুতরাং মাইকেলের এই ক্ৰন্দনপটু কথায় কথায় নষ্টচেতনা সীতা আদৌ ক্ষত্ৰিয়রমণী নহেন, বাঙ্গালীর গৃহবধু।” সত্য কথা ! কিন্তু সমালোচনার প্রথম অংশে সীতার কার্যবিশেষের সমর্থনের জন্য জিতেন্দ্র বাবুকে যে এই মাইকেলী সীতারই শরণাপন্ন হইতে হইয়াছিল, মত সমর্থনের আবেগে তিনি তাহা লক্ষ্য করিতে পারেন নাই। সেখানে জিতেন্দ্র বাবুর আর্ষ সীতাও “ভয়বিক্লবী শোকবশীভূত বিমোহিতচেতনা জানকা”। মাইকেলের সীতার মধ্যে জিতেন্দ্র বাবু এতদতিরিক্ত আর কি পাইয়াছেন ? উক্ত ঘটনায় তো ইহাও প্রমাণিত হইয়াছে যে সীতাদেবী অন্ততঃ একদিনের জন্তও শ্রীরামচন্দ্রের বীরত্বের প্রতি সন্দেহবর্তী হইয়াছিলেন। সুতরাং পতির অমঙ্গল আশঙ্কা করা কেবল মাইকেলী সীতারই বিশেষত্ব নহে। জিতেন্দ্র বাবুর সমালোচনা পাঠ করিয়া মনে হয় যে তিনি এক অংশ লিখিতে যাইয় অন্ত অংশের কথা ভুলিয়া গিয়ছিলেন। তাই এই দুৰ্দ্দৈব ! 町 সীতা যে বীৰ্য্যবর্তী আৰ্য্যরমণী তা মাইকেল ভুলেন নাই, সে ভাবেও তিনি সীতাকে চিত্রিত করিয়াছেন। বীৰ্য্যবর্তী ক্ষত্রিয়ললনা কাহাকে বলে “প্রমীলা”র চিত্রকরকে তাহা বলিতে যাওয়া বিড়ম্বন মাত্র। তবে সীতার কাদাকাটা কি আর্ষ রামায়ণে নাই ? সীতাপতির বীৰ্য্যে বিশ্বাসবর্তী ছিলেন, রাবণের প্রতি ভৎসনায় . আমরা তাহার পরিচয় পাই । তাই বলিয়া কি সে বিশ্বাস কখনও সন্দেহাচ্ছন্ন হইত না ? হইত, তাহার প্রমাণ রামায়ণেই আছে। রাবণ