পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' $ 88

প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ । করিয়া, স্থানটি ভীতিপ্রদ করিয়া তুলিয়াছে। মক্‌মে সাহেব তোরণের নাম “দ্বারবাসিনী",--দ্বার দেশে দেবীমূৰ্ত্তি খোদিত সাধুপুরুষ ছিলেন। মালদহ প্রদেশে এরূপ সাধুপুরুষের সমাধিমন্দিরের অভাব নাই । কিন্তু এই সমাধিমন্দির সৰ্ব্বাপেক্ষা সমাদর লাভ করিয়া থাকে । সমাধিমন্দির ইষ্টক প্রস্তরে গঠিত। প্রাঙ্গণস্বারের ফলকলিপিতে দেখিতে পাওয়া যায়,-সুবিখ্যাত বাদশাহ হোসেন শাহ ৯১৬ হিজরী শকে (১৫১০ খৃষ্টাব্দে) একটি তোরণদ্বার নিৰ্ম্মিত করিয়া, সাধুপুরুষের সমাধিমন্দিরের প্রতি সমাদর প্রদর্শন করিয়াছিলেন। ইহা “ঝুনঝুনিয়া মস্জেদ" নিৰ্ম্মিত হইবার পূৰ্ব্ব হইতেই বৰ্ত্তমান ছিল। মকৃঢ়ম আখি সিরাজুদ্দানের নামের সহিত নানা অলৌকিক কাহিনী সংযুক্ত হইয়া রহিয়াছে। এই দুইটি মুসলমান কীৰ্ত্তি চিহ্নের অদ্ধ ক্রোশ ব্যবধানে একটি গ্রাম্য পথ ; তাছা ধরিয়া ভাগীরথীতীরে উপনীত হইলে, পুরাতন সোপানাবী ; দেখিতে পাওয়া যায়। নিকটস্থ গ্রামের নাম সত্তুলাপুর । তজ্জষ্ঠ পুরাতন সোপানবলীর নাম সছ্‌ল্যাপুরের ঘাট । এই স্থান হইতে মৃৎপ্রাচীরের আরম্ভ। একদিকে ভাগীরথী, অন্ত দিকে মৃৎপ্রাচীর,—এখানেই তাহার সুত্রপাত। অবস্থান দেখিলে মনে হয়,—সেইকালে এই পৰ্য্যস্ত নগরসীমা নির্দিষ্ট ছিল । মুসলমান শাসনসময়ে পুরাতন দেবমন্দির বিনষ্ট হইয়াছিল, কিন্তু গঙ্গার ঘাট বিনষ্ট হয় নাই। এখনও গঙ্গাস্নানোপলক্ষে পুরাতন ঘাটে জনসমাগম দেখিতে পাওয়া যায়। এখনও মেলা বসিয়া থাকে, চিতা প্রজ্জ্বলিত হয়, তৰ্পণশ্লোকে গঙ্গাতীর মুখরিত হইয়া থাকে। মালদহ প্রদেশে এই স্থান মুক্তিক্ষেত্রের স্তায় সমাদর লাভ করিতেছে । তজ্জন্ত সন্ত্রান্ত পরিবারে এই স্থানে অস্তেষ্টক্রিয়া সম্পাদিত করিবার রীতি প্রচলিত আছে। ঘাটের অনতিদূরে যে মৃৎপ্রাচীর দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা সমধিক পুরাতন,—উত্তর হইতে দক্ষিণাভিমুখে গুয়ামালতী" নামক গ্রামের নিকট দিয়া চলিয়া গিয়াছে। এই প্রাচীরের স্থানে স্থানে নগরতোরণ বর্তমান ছিল। এক _ এখানে একটি ইংৰেজকুট সংস্থাপিত হইয়াছিল। এখন কুট আছে। নগরলক্ষ্মী নগররক্ষার্থ দণ্ডায়মান,—দেখিলে, সেকালের স্বপ্নমোহে অভিভূত হইতে হয়। আর একটি তোরণের নাম “পাতাল-চওঁী”। এই সকল পুরাতন নাম ধরিয়া, লক্ষ্মণাবতীর নগরসীমা নির্দিষ্ট হইতে পারে। গোড়াধিপতি আদিশূর নরপতির বিশেষ আমন্ত্রণে পঞ্চগোত্রীয় পঞ্চব্রাহ্মণ কাণ্যকুব্জ হইতে বঙ্গদেশে শুভাগমন করিয়াছিলেন । ইহা এদেশের প্রচলিত জনশ্রুতি । কিন্তু তাহারা প্রথমে কোন স্থানে উপনীত হইয়াছিলেন, তাহাতে মতভেদ আছে। ঐতিহাসিক স্থাননির্দেশে এরূপ মতভেদ অভাব নাই । মৎস্যদেশ-বিরাট ভবন— কীচকবধের স্থান বঙ্গদেশেও প্রদর্শিত হইয়া থাকে। মহাভারতের বর্ণনার সহিত তাহার কিছুমাত্র সামঞ্জস্য না থাকিলেও, লোকে স্বদেশের গৌরববৰ্দ্ধনের চেষ্ট পরিত্যাগ করিতে পারে না । ব্রাহ্মণাগমনের কথাও সেইরূপ হইয়া দাড়াইয়াছে। কেহ কেহ বিশেষ দৃঢ়তার সঙ্গে বলিয়া আসিতেছেন,–পূর্ববঙ্গের রামপালনগরই ব্রাহ্মণাগমনের পুণ্যস্থান। সেখানে এখনও তাহার স্মৃতিচিহ্ন—গজারি বৃক্ষ—প্রদর্শিত হইয়া থাকে । রামপাল একসময়ে পূৰ্ব্ববঙ্গের রাজধানী ছিল। কিন্তু রামপাল কখনও সমগ্র গৌড়ীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল না । আদিশূর কোথায় রাজ্য সংস্থাপিত করিয়াছিলেন,—ব্রাহ্মণগণই বা কোন্‌স্থানে প্রথম পদার্পণ করিয়াছিলেন,—তাহার কথা কুলশাস্ত্রগ্রন্থে যে ভাবে লিখিত আছে, তাহাতে পূৰ্ব্ববঙ্গের জনশ্রুতিতে আস্থা স্থাপন করা যায় না । আদিশূরের পূৰ্ব্বে বৌদ্ধাধিকার প্রচলিত ছিল। বৌদ্ধ নরপালগণকে পরাভূত করিয়া আদিশূর ধৰ্ম্মসংস্থাপন কামনায় ব্রাহ্মণ আনয়ন করেন। এ বিষয়ে কিছুমাত্র মতভেদ নাই । কুলশাস্ত্র গ্রন্থেই লিখিত আছে,— “তত্ৰাদিশূর শুরুবংশ সিংহে । বিজিত্য বৌদ্ধনুপপালবংশং । শসাস গোঁড়ং দিতিজান বিজিত্য যথা সুরেন্স স্ত্রিদিবং শশাস ॥” সেখানে-শূরবংশসিংহ আদিশূর বৌদ্ধ নরপালবংশের পরাজয় সাধন করিয়া, গৌড়রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করিয়া י יחיאליו*f ידי י" יאייר-ויי. مجی-یه ہے. ._... حجمہ

      • P? __