পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిసి রছিয়াছে। ক্ষেমানন্ধবিরচিত মনসার ভাসানে পরিদৃষ্ট হয়, লখীন্দরের লোহার বাসরে ছিন্দুয়ানী রক্ষা কবচ প্রভৃতি মন্ত্রপূত সামগ্রীর সহিত একখানি কোরাণও রাখা হইয়াছিল। তা ছাড়া, হিন্দুগণ তেত্রিশ কোটি দেবতা পাইয়াও সন্তুষ্ট হইতে পারেন নাই। তাহারা সত্যপীর (১), বদরপীর (২) প্রভৃতি মুসলমান সিদ্ধপুরুষকেও দেবতার আসন দিয়াছেন ; এবং আধুনিক অনেক মুসলমান ফকিরও হিন্দুসমাজে সাধু সন্ন্যাসীর প্রায় পূজনীয়। তাহদের স্পষ্টজল হিন্দুসাধারণ ( ঔষধস্বরূপ ) স্বচ্ছন্দমনে পান করিয়া থাকেন। এইরূপে ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে হিন্দুদের গোড়ামি প্রায় নাই। এবং আচার ব্যবহার ও অন্ধবিশ্বাস অনেক কমিয়া আসিয়াছে। পূৰ্ব্বে যে ব্রাহ্মণের মুসলমানের স্পর্শে গঙ্গাস্নান করিতেন, নামে দ্বাদশবার গায়ত্রী জপ করিতেন, সে সংস্কার এক্ষণে অস্তৰ্হিত প্রায়। অধুনা ভদ্র মুসলমানের উচ্চবংশজ ব্রাহ্মণ কায়স্থাদির সহিত একাসনে বসিতে কোনও সঙ্কোচ নাই। প্রতিবেশী হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে দাদা, খুড়া, জেঠী, মামা ইত্যাদি প্রীতি-আহবান বিস্তর চলিতেছে। কেবল বাহ ভাবে নহে, খাদ্যাদিতেও মুসলমান-সংসর্গে হিন্দুদিগের পরিবর্তন বিস্তর ঘটয়াছে। মুসলমানের সিদ্ধ চাউল, চূণ, দধি, দুগ্ধ, লেমনেড, সোডাওয়াটার প্রভৃতি সমাজে অসঙ্কুচিতভাবে প্রচলিত। রুটটি যদিও গোপনে চলে, কিন্তু প্রবালী ।

  • . مجھ

(১) সত্যপীর = হিন্দুসমাজে সভ্য নারায়ণ । তাহার সম্বন্ধে নান জনশ্রুতি আছে, তন্মধ্যে ইহাই সৰ্ব্ববাদী সম্মত। যথা, মনসর হালক সামধেয় জনৈক যোগদাদ নগরবাসী সৰ্ব্বদা "আমি সত্য" “আমি সত্য” স্বলিতেন । তিনি এই ঈশ্বরের প্রতি অবজ্ঞাসূচক বাক্যে কতিপয় গোড় ঈশ্বরবিশ্বাসী স্বারা নিহত হইয়াছিলেন। কিন্তু তাহার রক্ত হইতেও এই কথা উচ্চারিত হইতে লাগিল। জনস্তুর তাহার দেহ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করিয়৷ জ্বালাইয় ফেলা হয় । ইহাতে সেই চিতাভষ্ম হইতেও ধ্বনি উঠতে ছল-"আমি সত্য" "আমি সত্য"। কবি রামের উর্দুতে সত্যগীরের বক্তৃত দিয়াছেন,— “জওত সত্যপীর মেরা জওত সত্যপীর, তেরা দুঃখ দূর করত ও হাম ফকীর।” (২) বদর পীর-পূর্ববঙ্গে বিশেষত চট্টগ্রামে সবিশেষ প্রসিদ্ধ। চট্টগ্রাম সম্বর এই “বদর আউলিয়া"র খাস অধিকারভুক্ত। তথাগত কি হিন্দু কি মুসলমান সকলেই "বদর সাহেবের” সেবা দিয়া থাকেন। নৌকার মাঙ্কিরাও ডাকিয় থাকে,— "আমরা আছি পোল পান शांछि बांग्रह निषां★ांम, नांदब्र गत्र नब्रिग्नां, \ ___ W* , "; חייו" היה וויזיr snי:8 תאי { ৭ম ভাগ । জানে না এমন কেহই নাই। জবাই করা মাংসের প্রচলন । তদপেক্ষা অধিক, এতদ্ভিন্ন কুকুট অধুনা বিকারগ্রস্ত রোগীর প্রথম ও প্রধান পথ্য। রসনার পরিতৃপ্তি সাধনের নিমিত্ত চলিতেছে, এরূপও বিরল নহে। বর্তমানে এই সমস্ত সমাজে জানাজানি হইলে, ভ্ৰকুঞ্চনাদি আছে বটে, কিন্তু “পতিত” হয় না। অন্ত পরে কা” কথা, র্যাহারা সমাজের অধিনায়কত্বের দাবি করেন, তাহাদিগের মধ্যেই তাদৃশ পরিবর্তন অধিকতর দ্রুত লক্ষিত হয় । t এক্ষণে দেখা যাক এই হিন্দু মুসলমান সন্মিলনে কি কি শুভফল ঘটিয়াছে। বঙ্গ ভাষার শ্ৰীবৃদ্ধি এতন্মধ্যে সৰ্ব্ব প্রথমে উল্লেখ যোগ্য। হোসেনশাহ প্রমুখ মুসলমান নরপতি বঙ্গ সাহিত্যের যে কিরূপ উৎসাহবৰ্দ্ধক ছিলেন, পূৰ্ব্বে তাহ কথঞ্চিৎ বর্ণিত হইয়াছে। সেই উৎসাহ—সেই আগ্রহ ক্রমে শক্তিলাভ করায় অত্রত মুসলমানদিগের মাতৃভাষা ও বাঙ্গল হইয়া গিয়াছে। গৌড়েশ্বরগণের অনুগ্রহে অনেক গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ প্রকাশিত হইয়াছে। পর পর ক্রমশঃ আলোয়াল, হামিদুল্লা প্রভৃতি বহু মুসলমান কবি বঙ্গ ভাষার সেবায় আত্মসমর্পণ করিয়া গিয়াছেন। বর্তমানের সুপ্রসিদ্ধ মুসলমান লেখক মদীয় সাহিত্যমুঙ্গদ শ্ৰীযুক্ত আবদুল করিম মহোদয়ের কৃপায় এক চট্টগ্রামের পরগণাংশ হইতেই শতাধিক প্রাচীন মুসলমান কবির রচনা উদ্ধার হইয়াছে। বঙ্গের অপরাপর স্থানে জাহার মত অনুসন্ধিৎসুলেখকের আবির্ভাব হইলে আমরা অস্তুতঃ সহস্রাধিক তদানীন্তন মুসলমান কবির সংবাদ পাইতাম । - এই সকল কবিদিগের রচনায় হিন্দুপ্রভাবও যথেষ্ট' পরিমাণে স্থান লাভ করিয়াছে। সাহিত্যরথী ঐযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন লিখিয়াছেন, “১৫০ বৎসরের প্রাচীন কৰি আপ্তাবদিন তাহার ‘জামিল দিলারাম’ কাব্যে নায়িকা দিলারামকে পাতালে প্রেরণ করিয়া সপ্ত ঋষির নিকটবর প্রার্থনা করিতে নিযুক্ত করিয়াছেন ও র্তাহার রূপ বর্ণনা প্রসঙ্গে লক্ষণের চক্ৰকলা’ রামচঞ্জের সীতা, "বস্থাধরী । চিত্ররেখা' ও 'বিক্রমাদিত্যের ভানুমতীর সঙ্গে তুলনা দিয়াছেন; হিন্দু ও মুসলমানগণ এই ভাবে ক্রমে ক্রমে পরস্পরের ভাব আয়ত্ত করিয়া লইয়াছিল, সুতরাং বিস্কায়দর কাব্যে যে אילולוס אar'יי זיהוי6r" לrrה היידי ה"התחזו6""