পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা। ] প্রথমটিতে কৰি দেশের কথা বলেন ; আকাশ নদী সমুদ্র ক্ষেত্র বনের কথা আছে, এদেশের মানুষদের কথা নাই। সপ্তকোটীকণ্ঠকলকলনিনাদের একটু শব্দও নাই ।* "আর্য্যাবর্তজয়ী পুরুষ যাহার, সেই বংশোদ্ভব জাতির" নামগন্ধও নাই। পদ্যটি পড়িয়া মনে হয় ভুবনমনেমোহিনী বুঝি নিঃসন্তান। “সে যে আমার জননী রে!” এই পদ্যের বিশেষত্ব “আমার” এই কথাটিতে,-কবি এক একপাশে দাড়াইয়া দূর হইতে জননীর কুপুত্রদের ব্যবহার দেখিতেছেন, লজ্জায় অধোবদন, কিন্তু হৃদয় দৃঢ়, একা হইয়াও জননীর সেবায় ব্ৰতী। আর সমস্ত লোক যাহাই করুক না কেন তিনি এক নিজ কৰ্ত্তব্য করবেন, কাহারও মুখ চাহিবেন না। এই মনের তেজ, এই এককত ধৰ্ম্মসংস্কারকের হৃদয়ের পুত wfistol To be in a minority of one on সাহসের কথা নহে । হেমচন্দ্র, কিন্তু, কুলাঙ্গার ভ্রাতাদিগকেও আহবান করিতেছেন, র্তাহাদের কাছে যাইয়া হাত ধরিয়া টানিতেছেন। হেমচন্দ্র বলেন “আমরা,” রবীন্দ্র বলেন “আমি ; ” ইহাই উভয়ের পার্থক্য। এই জন্ত রবীন্দ্রকে aristocrat হেমচন্দ্রকে democrat বলি। [ একথা তাহার পৈত্রিক সম্পত্তির প্রতি লক্ষ্য করিয়া নহে; কারণ মিল্টন মধ্যবিত্ত অবস্থার লোক হইলেও aristocrat এবং শেলী রায়Rtet EHF (Baronet) curš tā gētos democrat.] হেমচন্ত্রের সামাজিকতার আর একটি অবশুম্ভাবী ফল র্তাহার রচনার ধরণ। র্তাহার ছবিগুলি বড় বড়, পটখানি পরিপূর্ণ, দৃশু হুদূরব্যাপী,–যেন প্রাসাদগবাক্ষ হইতে জনসমষ্টি দেখিতেছি, যেন পৰ্ব্বতশিখর হইতে দেশ জনপদ নদনদীর ছবি আঁকা হইয়াছে। র্তাহার, রঙ্গ অতি স্পষ্ট, পরিসীমার রেখাগুলি অতি পরিষ্কার । র্তাহার কাব্যে চিরন্তন সহজ ভাব। (Eternal Primary Feelings.) . হেমচন্দ্র যে সকল ভাব র্তাহার কাব্যে ব্যক্ত করিয়াছেন তাহা অতি সরল অতি সনাতন ; তাহ প্রাচীনকালেও দুই রকম কবি—হেমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ ।

  • देशंग्न छैखञ्च “अथव नांमब्रव छव चनङषरन” नाझ् । यथभ बैं, किक वर्षन कि ?

২৬৭ ছিল এবং ভবিষ্যতেও অনেক লোকের হৃদয়ে থাকিৰে । মুটে মজুরও তাঁহা বুঝিতে পারে। দয়া, প্রেম, ঘৃণা, প্রতিহিংসা, পুত্রস্নেহ, প্রভূতি মানবজাতির প্রাথমিক ভাৰ গুলিতে , কিছু কঠিনত নাই, বুঝিতে বিদ্ধ বা সভ্যত অবিশুৰ ছদ্ধ না । প্রাচীন জগতের প্রশ্নগুলি (problems) বড় সহজ ছিল, লোকের মনের বাসনাগুলি বড় স্পষ্ট, অবিকৃত ও অমিশ্র ছিল। এই জন্ত হোমার ও বাল্মীকির এত পশার। র্তাহারা যে সব মনোবৃত্তি লইয়া নাড়াচাড়া করিয়াছিলেন, তাহা অতি সাদাসিদে অতি সহজে বুঝা যায়। এই জন্ত রাধাকৃষ্ণের প্রেমসঙ্গীত কৃষকেরা পৰ্য্যস্ত গায়। এজন্য ভেনিস নগরের মাঝিরা নৌকা চালাইতে চালাইতে কবি ট্যাসোর "জেরুজিলম বিজয়” মহাকাব্যের ছত্রগুলি পালাক্রমে আবৃত্তি করিতে থাকে। কিন্তু এর সঙ্গে একট অসুবিধাও ছায়ার মত লাগিয়া আছে। বর্তমান জগতের প্রশ্নগুলি এত সহজ নহে ; সমাজ ও শিক্ষা যেমন বাড়িয়াছে, প্রশ্নগুলিও সেই সঙ্গে বড় জটিল ও কঠিন হইয়া পড়িয়াছে। এখন আমরা আর প্রাথমিক মনোবৃত্তিগুলি দ্বারা বড় একটা পরিচালিত হই না, এখন RTSH strefn (secondary feelings) of:{{to হৃদয়ে রাজত্ব কুরে। সুতরাং এখনকার কবির কাজ বড়ই কঠিন। একেত, তার মালমশলা জটিল, ভায় আবার ও গুলিকে সহজে কবিতার ছাঁচে ঢালা যায় না। কম লোকেই উহা বুঝে, অথচ পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করিতে না পারিলে, তথায় প্রতিধ্বনি স্বষ্টি করিতে ন পারিলে, কবিতা বিফল হয়। ইউরোপে কেবল গেটে এবং জর্জ ইলিয়টু এই কাজ হাতে লন ; এবং তাহারাও সম্পূর্ণ সফল হইতে পারেন নাই। কিন্তু বিচক্ষণ পাঠকেরা আর সেকেলে কবি বা ঔপন্যালিকের লেখায় সন্তুষ্ট নন ; তাহারা তাহা ছেলে বেলার যোগ্য বলিয়া মনে করেন। কাজেই ইউরোপে সরল, সাধারণ কবিতা প্রায় লোপ পাইয়াছে। - হেমচন্দ্র যখন আসরে নামেন তত আগে এসব নূতন প্রশ্ন এদেশের কাব্যে কেন ইংলণ্ডেও বড় স্থান পায় নাই,তাই তাহার লেখায় এদের আভাস নাই। আমাদের মধ্যে কেবল রবীন্দ্র এই নূতনতম যুগের ভাব অভিব্যক্ত করার চেষ্টা করিয়া ছেন এবং আশ্চৰ্য্য সফলও হইয়াছেন। যদি পশু বলিতে