পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭২ ... ماهی و... میا-----۰ به ۳۰۰ ه. - ۳۰۰ه. - ۰ - ع Indica, Vol. III, p. 184); সাধারণ তুলা অপেক্ষ ঢাকার তুলার আঁশ দীর্ঘ সুহ্ম ও কোমল হইত। এই ‘দেশী’ তুলাকে সাধারণত 'ফোটি বলিত। বৈরায়তি' নামক তুলা হইতেও স্বক্ষ মসলিন উৎপন্ন হইত, কিন্তু ঢাকায় ইহার অধিক আদর ছিল না । ব্ৰহ্মপুত্র, মেঘনা ও উহারই শাখা নদী সকলের ধারে ধারে তুলার চাষ হইত। ১৮০০ সালের ঢাকার বাণিজ্য-রেসিডেণ্ট বলিয়াছেন যে ঢাকার ফিরিঙ্গী বাজার হইতে ইদিলপুর পর্য্যন্ত ৪০ মাইল ভূভাগে কাপ|সের চাষ হইত এবং ইহার তুল্য তুলা জগতে আর কুত্রাপি হষ্টত না। লক্ষীয়া নদী হইতে ধলেশ্বরী রূপগঞ্জ পর্য্যন্ত ও রাজসাহীর (?) ভূষণ প্রভৃতি স্থানেও বিস্তৃত কার্পাস চাষ ছিল। বৎসরে দুইবার—এপ্রেল-মে ও সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে—তৃণ জন্মিত। ধান কাটিয়া বিচালাতে আগুন লাগাইয়া সেই ছাই সার প্রাপ্ত জমি চযিয়া তাহাতেই তুলা বপন করা হইত। তুলার সহিত পর্য্যায়ক্রমে ধান বা তিলের চাষ করা প্রথা ছিল। বারুইরাষ্ট পাটের চাষ ভালো করিত। বীজের গায়ে যে তৃণ লাগিয়া থাকে তাহা হইতেই মসলিনের সুহ্ম স্বত্র প্রস্তুত হইত ; তাহার পরের তুলায় মাঝারী স্থতা ও তাহার পরের তুলায় মোটা স্থত হইত। একটি কার্পাসকোষের মধ্যের তুলার এই তারতম্য টুকু ঢাকার তাতির ধরিয়া সুক্ষ্ম সুত্র উৎপাদনে চরম কৃতিত্ব দেখাইয়াছিল। গ্রীষ্মের তুলা অপেক্ষ শারদী তুলা নকৃষ্ট হইত। তুলার দাম গড়ে মণ প্রতি ৩ টাকা মাত্র ছিল । গারো পাহাড়, ত্রিপুর, চট্টগ্রাম প্রভূত স্থানে ‘ভোগ” নামক এক প্রকার মোটা তুলা জন্মিত । মৃজাপুর ও আরাকান হষ্টতেও প্রচুর "তুলা ঢাকায় আমদানি করা হইত। ব্ৰহ্মযুদ্ধের পরে (১৮২৪) আরাকান হইতে তুলার আমদানি বন্ধ হইয়া যায়। কার্টুন কাটা । কাপাসের কোয়া হইতে স্ত্রীলোকেরা তুলা বাহিয় করিয়া পরিষ্কার করিত। বোয়াল মাছের কাকো ও দাত চিরুণী রূপে ব্যবহৃত হইত। চালতা গাছের কাঠে তৈয়ারি তক্তার উপর তুলা রাথিয়া একটা লৌহশলাকা তুলায় জড়াইয় জড়াইয়া আঁশ হইতে বীজ ছাড়ান হইত। তৎপরে একটা ধনুক দিয়া তুলা ধুনিত হইত। পেজ তুলা গোল কাঠের প্রবাসী । - - AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS [ १भ छांन ! গায়ে জড়াইয়া কাঠ খুলিয়া জড়ান তুলা দুইখান তক্তার মধ্যে চাপিয় রাখা হইত। তার পরে নলীতে জড়াইয়া কুঁচে মাছের নরম চামড়ার ঢাকিয়া রাখা হইত, যেন ধুলা मोनःि লাগিয়া ময়লা না হয়। সমস্ত সুহ্ম স্বত্র হিন্দুমেয়ের প্রস্তুত করিত। এই কাজে বিষম ধৈয্যের দরকার ; ধৈর্য্যগুণে হিন্দুমেয়ে জগতে অপরাজিতা ; ডাক্তার কুক্‌ টেলর বলিয়াছেন যে হিন্দুর মেয়েদের এমন একটি অনন্তসুলভ ক্ষীণভাবে স্পর্শ করিবার শক্তি আছে যাহাতে তাহদের পেশীবলের অভাব পুরণ হইয়া যায়। ত্রিশ বৎসরের নুন্নবয়স্কারাই স্বক্ষ স্বতা প্রস্তুত করিতে পারে। স্থত তৈয়ারির তোড়জোড় একটা চুবড়ীতে থাকে ; তোড়জোড়ের প্রধান—‘পুনি’ (তুলার নলী), হাল্কা লোহা বা বাশের টাকু, কাদায় বসান একটা ঝিমুক বা শামুক ; একটা ছোট পাথর বাটতে একটু চা খড়ির গুড়া। টাকু একটা মোটা স্থচের মত, তলার দিকে একটা বড় মটরের মত একটু মাটি লাগান। স্থএবয়নকারিণী বসিয়া বামহস্তে তুলার নলী ধরিয়া থাকে ও মাটিতে আটকান ঝিনুকের খোলের উপর টাকু একটু কাত করিয়া রাখিয়া ডাহিনহাতের তজ্জন ও বৃদ্ধাঙ্গুলর সাহায্যে পাক দিয়া তুলার এক একটি আশ টানিয়া স্থত প্রস্তুত করে। মধ্যে মধ্যে আঙলে খড়ির গুড়া লাগাইয়া লয়। খানিক স্বতা পাকান হইলে তাহা টাকু হইতে খুলিয়া নাটাইয়ে জড়াইয়া রাখা হয়। বাতাস জণীয়বাষ্পশুস্ত থাকিলে স্থত ভাল হয় না ; এইজন্ত স্বএবয়নের সুবিধাজনক সময় প্রাতঃকাল বা বৈকাল ও সন্ধা । স্বর্য্যোদয়ের পূৰ্ব্বেই স্বল্পতম স্বত্র বয়ন করা হয় । যদি প্রাতঃকালেও বাতাস শুষ্ক বোধ হয় তবে একটা চিটুকে পাত্রে জল রাখিয়৷ তাছার উপর স্বতা পাকান জয়, পাত্রের জল গরমে বাষ্পীভূত হইয়া তুলার আঁশ সরস রাখে। পুৰ্ব্বে দিল্লীর দরবারে যে স্বত্র প্রেরিত হইত তাহার ১৫• হাত স্থতার ওজন হইত গড়ে ১ রতি মাত্র। ১৪৩ হাতে ১ রাত যে স্থতা তাহার পড়েন ও ১৬• হাতে ১ রতি ওজনের স্বতার টানা করা হইত। সোণায়গায় ১৭৫ হাত স্থতার ওজন'১ রতি হইত। ১৮৪৬ সালে এই বক্ষ্যমান পুস্তক রচয়িতা রেসিডেন্ট সাহেব দেখিয়াছিলেন যে আধসের তুলা হইতে ২৫• মাইল লম্বা স্থত তৈয়ারী