পাতা:প্রবাস-চিত্র - জলধর সেন.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতিপ্ৰকৃত কথা وسط আমিও আমার এই সঙ্গী সন্ন্যাসীকে অধিক দিন বাধিয়া রাখিতে পারি নাই। যদি তাহার সঙ্গী হইবার উপযুক্ত দুই- ২ LLSLD S B D Y K S SYY S YYS YuL S Y00S S LLL নিরাশা ও আশায় সদা-উদ্বেলিত - দুর্বল হৃদয় লইয়া এই নির্বাণপ্ৰায় দীপালোকের মধ্যে নিক্ষিপ্ত যবনিক পুনরা ক্তোলন পুৰ্ব্বক অভিনয়কাৰ্য আরম্ভ করিতে হইত না । উপরে উঠিয়া বস্ত্ৰপরিবর্তনপূর্বক সন্ন্যাসীর সমীপস্থ হইয়া দেখিলাম, তাহার নিকটে কয়েকটি মূল রহিয়াছে ; দেখিতে প্ৰায় মানকচুর মত, কিন্তু তত মোটা নহে ; অনুমান করিলাম, আমি দান করিতে নামিলে অতিথিসৎকারের জন্য সন্ন্যাসী অরণ্য হইতে এই কচু সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়াছেন। श्iझा झोछेक, অতিথিসৎকারকার্যষ্ঠ কিরূপ সম্পন্ন হইবে, ক্ষুধার আধিক্যবশতঃ যখন আমি মনে মনে সেই কথার আন্দোলন করিতেছিলাম, সেই সময়ে সন্ন্যাসী সহান্তবিদনে বলিলেন, “বাচ্চা, তুমহারা খানে কি ওয়াস্তে ইয়ে মূল লায়া।” এই ভীষণদর্শন কচু কিরূপে খাইব, এই চিন্তাতেই আমি অস্থিয় হইয়া পড়িলাম। বহুদূর পর্য্যটন ও পরিপাকশক্তির বাহুল্যবশতঃ ক্ষুধার অপ্রতুল ছিল না ; কিন্তু সেই দারুণ ক্ষুধানলের যে ইন্ধন সংগ্ৰহ হইল, তাহা অত্যন্ত অসাধারণ। বুঝিলাম, “যেমন বাঘা ওল, তেমনই বুনো তেঁতুল”-এই বঙ্গীয় গ্ৰাম্য প্ৰবচন সর্বত্র নিঃসঙ্কোচে ব্যবহার করা যায়। না । আমি নিৰ্ব্বাক হইয়া সন্ন্যাসীর কাণ্ড দেখিতে লাগিলাম।