পাতা:প্রবাহিণী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
প্রবাহিণী
১৩৪

বাঁধন-হারা জলধারার কলরোলে
আমারে কোন্‌ পথের বাণী যায় যে ব’লে।
সে পথ গেছে নিরুদ্দেশে
মানসলোকে গানের শেষে,
চিরদিনের বিরহিণীর কুঞ্জবনে॥

১৪

বহুযুগের ওপার হতে আষাঢ় এল আমার মনে,
কোন্ সে কবির ছন্দ বাজে ঝরঝর বরিষণে॥
যে-মিলনের মালাগুলি
ধূলায় মিশে হ’ল ধূলি
গন্ধ তারি ভেসে আসে আজি সজল সমীরণে॥
সেদিন এমনি মেঘের ঘটা রেবা নদীর তীরে,
এমনি বারি ঝরেছিল শ্যামল শৈলশিরে।
মালবিক অনিমিখে
চেয়ে ছিল পথের দিকে,
সেই চাহনি এল ভেসে কালো মেঘের ছায়ার সনে।

১৫

এ কী গভীর বাণী এল ঘন মেঘের আড়ালে ধ’রে
সকল আকাশ আকুল ক’রে॥