পাতা:প্রবোধচন্দ্রদয় নাটক.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবোধচন্দ্রোদয় নাটক । (to সাধকের শ্রবণ কর। এই মলময় শরীর সমল জলের দ্বারা কি ৰূপে শুদ্ধ হইতে পারে, আত্ম যে স্বভাবতঃ নিৰ্ম্মল হয়েন তাহ বৌদ্ধশাস্ত্রের দ্বারা অবগত হইবে, পুনবর্বর আকাশে অবলোকন করিয়া অরে সাধকের কি কহিতেছ বৌদ্ধশাস্ত্র কি প্রকার তাহা শ্রবণ কর, এই কথা কহিয়া দূর হইতে বুদ্ধদেবের চরণে প্রণাম করিয়া কহিলেন যে দশ দণ্ড মধ্যে অভিলষিত দ্রব্য ভোজন কর, ঈর্ষা করিব না, মুনিপত্নী সকলকে রমণ কর, অর্থাৎ দশ দণ্ড মধ্যে ভোজন, ও মুনিপত্নী গমন ইত্যাদি ঐহিক সুখজনক কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হও ঐহিক দুঃখজনক অশ্বমেধ যাগদির চিন্তাও করিব না, যেহেতু তাহাতে প্রমাণাভাব কিন্তু প্রাণি মাত্রের হিংসা করিব না এই শ্রীতি প্রমাণ জানিবা | পরে দিগম্বর সিদ্ধান্ত নেপথ্যের প্রতি অবলোকন করিয়া কহিলেন হে শ্রদ্ধে ! তুমি এস্থানে আগমন কর । এই কথ শুনিয়া শান্তি ও করুণা উভয়ে সভয়ে গুপ্তভাবে অবলোকন করিতে আরম্ভ করিলেন । তদনন্তর দিগম্বর সিদ্ধান্তের সদৃশ বেশধারিণী শ্রদ্ধা রঙ্গভূমিতে প্রবেশ করিয়া দিগম্বর সিদ্ধান্তকে নিবেদন করিলেন প্রভু কি আজ্ঞ করেন । তাহাকে দেখিয়া শান্তি মূৰ্চ্ছিত হইয়া ভূমিতে পতিত হইলেন । দিগম্বর সিদ্ধান্ত, কহিলেন শ্রদ্ধে ! নাস্তিকের তোমা ব্যতিরেকে এক মুহূৰ্ত্তও প্রাণ ধারণ করিতে পারেন না । পরে যে আজ্ঞা প্রভু এই কথা কহিয়৷ তামসী শ্রদ্ধা রঙ্গভূমি হইতে প্রস্থান করিলেন । করুণ, শান্তিকে কহিলেন প্রিয়সখি! তুমি মূৰ্ছ পরিত্যাগ কর, নাম মাত্ৰতই ভয় করা উচিত নহৈ যেহেতু আমি অহিংসার নিকটে শ্রবণ করিয়াছি যে পাষগুদিগের তামসী এক শ্রদ্ধা আছে অতএব এ সেই তামসী শুদ্ধ