১১২ প্রবোধচন্দ্রোদয় নাটক। “ বাছ হৈতে বিশ্বের উৎপত্তি স্থিতি লয়। সাহার কিরণে বিশ্ব উজ্জ্বলিত হয় । নিৰ্ব্বিকার জ্ঞানময় যিনি ক্রিয়-হীন । পরম ঈশ্বর, জীব র্যাস্থার অধীন । পরম পুৰুষ সেই অন্ত নাহি যার । এখানে থাকিয় স্তুতি করিব উপস্থার ॥” আমার এই কথা শুনে যজ্ঞবিদ্যা ক্ষণকাল নিস্তব্ধ থাকিয়া বলিলেন । " সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়ের কৰ্ত্ত বল যারে। ক্রিয়া-হীন এ কথাও বলিতেছ তারে । ক্রিয়া-হীন যে পুৰুষ সে কৰ্ত্ত কেমনে। কৰ্ত্তার কর্তৃত্ব নাই তোমার বচনে । ক্রিয়া-হীন যে পুৰুষ সে নহে ঈশ্বর । ক্রিয়া হৈতে ভব বিমোচন হয় নর ॥ অশ্বমেধ কাশী-মৃত্যু গঙ্গায় মরণ । এ সব ক্রিয়ায় হয় ভব বিমোচন ॥ সৰ্ব্বদ করয়ে লোক ক্রিয়ার বিধান । অতএব এই যুক্তি ক্রিয়াই প্রধান ॥ এবং ভোক্ত যে জীবাত্মা পুরুষ, যদি তাছার Iারাধনা করিতে ইচ্ছা কর, তবে এই স্থানে থাক, দচেৎ ক্রিয়াহীন পুরুষের স্তব করিবার জন্য এখানে থাকিতে পাইবে না।” বিবে। (হাস্য পূৰ্ব্বক) কি আশ্চৰ্য্য ! যজ্ঞবিদ্যা যজ্ঞকুণ্ডের ধোয়াতে অন্ধ হইয়া একেবারে হত বুদ্ধি হইয়াছেন ? তিনি কি জানেন না ? :
পাতা:প্রবোধচন্দ্রোদয় নাটক (বিশ্বনাথ ন্যায়রত্ন).pdf/১৩৩
অবয়ব