বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রহাসিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রহাসিনী

বললে শুনে বিংশতিকা, “এই ছিল মোর ভালে-
বুক ফেটে আজ মরব কি শেষকালে,
কে কোথাকার তার উদ্দেশে করব রাগারাগি
মালা দেওয়ার ভাগ নিয়ে কি— এম্‌নি হতভাগি।”
আমি বললেম, “কেনই বা দাও লাজ,
করোই-না আন্দাজ।”
বলে উঠল, “জানি জানি, ঐ আমাদের ছবি,
আমারই বান্ধবী।
একসঙ্গে পাস করেছি ব্রাহ্ম-গার্ল্-স্কুলে,
তোমার নামে চোখ পড়ে তার ঢুলে।
তোমারও তো দেখেছি ওর পানে
মুগ্ধ আঁখি পক্ষপাতের কটাক্ষসন্ধানে।”
আমি বললেম, “নাম যদি তার শুনবে নিতান্তই—
আমাদের ঐ জগা মালী, মৃদুস্বরে কই।”
নাতনি বলে, “হায় কী দুরবস্থা,
বয়স হয়ে গেছে ব’লেই কণ্ঠ এতই সস্তা ৷
যে গলাটায় আমরা গলগ্রহ
জগামালীর মালা সেথায় কোন্ লজ্জায় বহ।”
আমি বললেম, “সত্য কথাই বলি,
তরুণীদের করুণা সব দিলেম জলাঞ্জলি।
নেশার দিনের পারে এসে আজকে লাগে ভালো,
ঐ যে কঠিন কালো ৷

৫৮