পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রাকৃতিকী


বৈজ্ঞানিকের স্বপ্ন

আমাদের শাস্ত্রে “ক্ষিত্যপ্‌তেজোমরুদ্ব্যোম” বলিয়া যে পঞ্চভূতের উল্লেখ আছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর পূর্ব্বে পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ তাহাদের চারিটি— মৃত্তিকা, জল, অগ্নি ও বায়ুকে ভূত অর্থাৎ মূলপদার্থ বলিয়া স্বীকার করিতেন। ইহাদের বিশ্বাস ছিল, ভূ-পৃষ্ঠের এই প্রাণিউদ্ভিদ্ নদীসমুদ্র, শিলাকঙ্কর সকলই সেই চারিটি মূলপদার্থে গঠিত। অষ্টাদশ শতাব্দীর পণ্ডিতগণ যখন বহুযুগের অসম্বদ্ধ ভাব, চিন্তা ও অদ্ভুত কাহিনীর আবর্জ্জনা হইতে রাসায়নিক তত্ত্বের সারোদ্ধার করিয়া তাহাকে মুর্ত্তিমান্ করিতে চেষ্টা করিতেছিলেন, তখনো ইহারা সেই চাতুর্ভৌতিক সিদ্ধান্তে বিশ্বাস করিতেন।

 ঊনবিংশ শতাব্দীকে সর্ব্বপ্রকারে উন্নতির যুগ বলা যাইতে পারে। বসন্তের দক্ষিণ বায়ুর স্পর্শ যেমন সমস্ত প্রকৃতিকে সজীব করিয়া তোলে, ঊনবিংশ শতাব্দীর ঊষালোকের স্পর্শ তেমনি সমগ্র সভ্যদেশকে জাগ্রত করিয়া তুলিয়াছিল। বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক, সমাজতত্ত্ববিৎ প্রভৃতি সকলেই দীর্ঘকালের জড়তা ত্যাগ করিয়া সত্যকে বুঝিবার জন্য লালায়িত হইয়া পড়িয়াছিলেন। রসায়নবিদগণও প্রাচীন পুঁথির পাতা