পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পৃথিবীর শৈশব

যে বিশাল নীহারিকা-স্তুপ হইতে এই সসাগরা উদ্ভিদ্‌শ্যামলা ধরার উৎপত্তি হইয়াছে, তাহা কোথায় ছিল এবং কি প্রকারেই বা তাহা বৃহস্পতি, শনি, পৃথিবী প্রভৃতি গ্রহগণের উৎপত্তি করিল, আমরা তাহার আলোচনা করিব না। কোন বিশাল নীহারিকা-রাশি হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া যখন পৃথিবীর সমগ্র উপাদান উত্তপ্ত বাষ্পাকারে ভীমবেগে আবর্ত্তিত হইতেছিল, সেই সময়টিকেই আমরা পৃথিবীর জন্মকাল বলিতেছি। এই জন্মকাল হইতে আমাদের পৃথিবী কি প্রকারে ধীরে ধীরে নদী সমুদ্র পাহাড় পর্ব্বত ও তরুলতাতে আবৃত হইয়া এখন প্রাণীর আবাসক্ষেত্র হইয়া দাঁড়াইয়াছে, আমরা বর্ত্তমান প্রবন্ধে তাহারি কিঞ্চিৎ আভাস দিব

 পৃথিবী এখন যেমন প্রায় চব্বিশ ঘণ্টায় একবার ঘুরপাক্ খায়, তখন পূর্ণাবর্ত্তন দিবার জন্য শিশু পৃথিবী এত দীর্ঘকাল ক্ষেপণ করিত না। ঠিক কালটি নিরূপণ করা কঠিন; কিন্তু আমরা যে সময়ের কথা বলিতেছি তখন প্রতি ঘণ্টায় পৃথিবী যে, তিন চারি বার পূর্ণাবর্ত্তন সমাপন করিত, তাহা বোধ হয় নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে। পৃথিবী এখন চব্বিশ ঘণ্টায় পূর্ণাবর্ত্তন শেষ করে, ইহাতে আমরা চব্বিশ ঘণ্টা অন্তর সূর্য্যের উদয়াস্ত দেখি; আমাদের অনুমান সত্য হইলে বলিতে হয়, সেই অতি প্রাচীন যুগে জীবশূন্যা বসুন্ধরায় প্রতি ঘণ্টায় অন্ততঃ তিন চারিবার সূর্য্যের উদয়াস্ত হইত। তখন পৃথিবীর কেন্দ্রস্থানটি হয় ত জমাট বাঁধিয়া সদ্য কঠিনাকার প্রাপ্ত হইয়াছিল,