পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৭২
প্রাকৃতিকী

মানমন্দিরে বসিয়া যখন আকাশের নক্ষত্রদের মানচিত্র অঙ্কনে ব্যাপৃত ছিলেন, তখন এই নক্ষত্রগণনাকে নদীতীরে বসিয়া জলস্রোতের গণনার ন্যায় একটা অনাবশ্যক কার্য্য বলিয়াই অনেকে মনে করিতেন। কিন্তু আজ ক্যাপ্তেন্ সাহেব এবং তাঁহার সহকর্ম্মিগণ নক্ষত্র জগতের যে-সকল সংবাদ প্রচার করিয়া সকলকে বিস্মিত করিতেছেন, তাহা সেই ব্রাড্‌লি সাহেবেরই নক্ষত্র-পরিচয়ের সহিত বর্ত্তমানকালে নক্ষত্রদিগের অবস্থানাদি মিলাইয়া জানা যাইতেছে।

 সূক্ষ্মগণনায় জ্যোতিঃশাস্ত্র কত উন্নত হইয়াছে এবং মানবের জ্ঞানও ইহাতে কত বৃদ্ধি পাইয়াছে, বর্ত্তমান প্রবন্ধে তাহার অতি অল্পই পরিচয় প্রদান করা হইল। দূর জ্যোতিষ্কদিগের ক্ষীণ আলোকরশ্মি বিশ্লেষণ করিয়া আজকাল নক্ষত্রলোকের যে সকল সংবাদ পাওয়া যাইতেছে, সেগুলির কথাও আলোচনা করিলে দেখা যায়, বৈজ্ঞানিকদিগের সূক্ষ্মগণনাই এখানে জয়যুক্ত হইয়াছে। কেবল জ্যোতিঃশাস্ত্রের নয়, রসায়নীবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, ভূ-তত্ত্ব প্রভৃতি সকল শাস্ত্রেরই ইতিহাস অনুসন্ধান করিলে, প্রাচীন ও আধুনিক বৈজ্ঞানিকদিগের চুল-চেরা সূক্ষ্মগণনাকেই সেগুলির উন্নতির মূলকারণস্বরূপ দেখা গিয়া থাকে।