পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বর্ণচ্ছত্র
৪৫

ক্ষুদ্রতরঙ্গযুক্ত বর্ণের আলোকপথ বৃহৎ-তরঙ্গযুক্ত বর্ণ অপেক্ষা অধিক বাঁকিয়া যায়। মৌলিক বর্ণগুলির এই এই প্রকার পৃথক বাঁকিবার শক্তি থাকায় বর্ণচ্ছত্রের বিকাশ হয়, অন্যথা বর্ণচ্ছত্র রচনা অসম্ভব হইয়া পড়িত। আমরা শুভ্রালোক ত্রিকোণ কাচ-ফলকের মধ্য দিয়া আনিয়া, শুভ্রালোকস্থ ভিন্ন প্রকৃতির মৌলিক বর্ণগুলিকে পৃথক পৃথক ভাবে বাঁকিবার সুযোগ প্রদান করি। ভায়লেটের রশ্মিতরঙ্গ সর্ব্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র বলিয়া, ইহা দ্বারা এগুলি অত্যন্ত বাঁকিয়া কাচ হইতে বাহির হয় এবং দীর্ঘ তরঙ্গশীল লোহিত অল্পই বাঁকিয়া আইসে। এজন্য শুভ্রালোক হইতে লোহিত ও ভায়লেট স্বর্ণ বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়ে, এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্ত্তী বর্ণগুলিরও উক্ত অবস্থা ঘটে; ইহাদের তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরস্পর সমান নয় বলিয়া, ইহারাও পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইয়া, লোহিত ও ভায়লেটের মধ্যবর্ত্তী স্থানে তরঙ্গ-দৈর্ঘ্যানুসারে সজ্জিত হইয়া প্রকাশিত হয়। সাধারণ শুভ্রালোক এই প্রকারেই বিশ্লিষ্ট হইয়া লোহিতাদি সপ্ত মৌলিক বর্ণযুক্ত উজ্জ্বল সুপ্রশস্ত বর্ণচ্ছত্র রচনা করে।