পাতা:প্রাকৃত ভূগোল.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস ও নদীর বিবরণ । やG “ তাহাতে মাPNস পাক করিয়া থায় । তাহারণ একটা " পাত্রে শীতল জল পূরিয়া তাহাতে মা^স রাখে, পরে “ ঐ কুণ্ডের উষ্ণ জলে সেই পাত্র স্থাপন করে। ইহাতেই “ মাংস পাক হয়, আর আমি আবশ্যক করে না * ”। যে সকল উৎসে প্রভূত জল নির্গত হয়, তাহা কুণ্ডরুপে পরিণত থাকা সম্ভবে না ; সোতোরূপে প্রবাহিত হইয়া থাকে। এই প্রকার দুষ্ট তিন বা ততোধিক পাৰ্ব্বত্য সোতঃ একত্র মিলিত হইয়া নদীর সৃষ্টি করে ; পরন্তু কেবল উৎস-জলে নদী পূর্ণ হয় না। তজ্জলের অধিকাংশ দ্রবীভূত পাৰ্ব্বত্য বরফ হইতেই উৎপন্ন হয়। অপর বৃফিজলও তৎপূরণের পোষক বটে ; ফলতঃ নদী-সকল পৃথিবীর নদমা স্বরূপ , সামান্য বাট বা নগরের পয়ঃপ্রণালী যে প্রকারে তত্ৰত্য সমস্ত অনাবশ্যক জল দূরে অপনয়ন করে, নদী-সকলও সেই রূপে পৃথিবীকে পরিষ্কার রাথিতে নিয়োজিত আছে। অপর সামান্য পয়ঃপ্রণালীতে কেবল অপরিস্কার অনাবশ্যক জল বহির্গত হয় ; তটিনী নিষপুয়োজনীয় পদার্থ লইয়া যায়, অথচ জীবমাত্রের জীবনোপায়-সকলের গৃহদ্বারে আনয়ন করে ; অধিকন্তু নদী-সকলকে পৃথিবীর স্বভাৱসিদ্ধ রাজপথ বলিলেও বলা যায়, তাহাদ্বারা মনুষ্যেরা অনায়াসে দূর-দেশে গমনাগমন ও বাণিজ্য করতে সক্ষম হয়। যে স্থানে ঐ উৎসের প্রারম্ভ তাহাই নদীর উৎপত্তি স্থান । তথাহইতে নদী-সকল পৰ্ব্বতের নিম্ন দিগে

  • তক্তত্ববোধিনী পত্রিকা, ১৭৭৪ শক ৬৪ পৃষ্ঠ।