ృ8by প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান মুসলমান। বহু কষ্টে প্রধানতঃ নুর হোসেন-এর নিকট হইতে ইহ ংগৃহীত হইয়াছে। ইহা অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে লিখিত হইয়াছিল বলিরা মনে হয় । এই কাব্যে যে-সকল আখ্যায়িক। বর্ণিত হইয়াছে, তাহার মাঝে চট্টগ্রামের উপকূল অঞ্চলের ঐতিহাসিক ও ভৌগলিক তত্ত্ব বহু পরিমানে পাওয়া যায়। সায়েস্তা খার হস্তে ১৬৬৬ খৃষ্টাব্দে সম্পূর্ণরূপে পরাভূত হইয়া মগের অতি দ্রুততার সহিত পলায়ন করিয়াছিল, তাহাদের বিপুল ধনরত্ন ও দেব বিগ্রহ তাহার। মাটর নীচে লুকাইয়। রাখিয়াছিল। মগদিগের এই পলায়ন মিগ ধাওমি’ নামে প্রসিদ্ধ। সেই পলায়নের বহুদিন পরেও মগের এক একট। সাঙ্কেতিক-স্থানে নির্দেশ-স্থচক চার্ট লইয়। চট্টগ্রামের নানাস্থান হইতে মাটীর নীচে প্রোধিত অর্থাদি তুলিয়। লইয়া যাইত । সেদিনও দেয়াং পাহাড়ের নিম্নে বহু সংখ্যক বৌদ্ধ দেব-মুষ্টি পাওয়া গিয়াছে, তাহার। অটুট ও একস্থানে সযত্নে রক্ষিত ছিল, তাহু। মগ ধাওনি'র সময়কার বলিয়। মনে হয়। পর্তুগীজ জলদস্থ্য ( হাৰ্ম্মাদ }গণের চিত্রও তাহাদের অত্যাচারের কথা ব্রহ্মদেশায় লোকদের আচার-ব্যবহার পচ; মাংস ও নাপ্পি খাওয়ার কথা এবং তাছাদের মেয়েদের ব্যভিচার ও পুরুষ ধরিবার ফন্দী, জাহাজসমূহের সমুদ্রে ভ্রমণ, চট্টগ্রামের নানা বন্দর ও পল্লীর ইতিহাস এই পুস্তকে প্রদত্ত হইয়াছে। হাৰ্ম্মাদদের হাতে দূরবীণ ও বন্দুক থাকিত এবং তাহার কালো-কোর্ত! গায়ে পরিয়া গুেন-পক্ষীর দ্যায় সমুদ্রগামী বাণিজ্য-তরিগুলি লক্ষ্য করিত। পরদিয়া নামক স্থানে শুটুকী মৎসের ব্যবসা এবং বঙ্গোপসাগরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপগুলির বর্ণনা চলচ্চিত্রের মত চোখের সামনে ভাসিয়া যায়— “উত্তর দিকেতে আইসে জাহাজ ডান দিকেতে কুল বহু রং বেরং-এর পার্থী দেখা যায় বহু রং বেরং-এর ফুল
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৫৭
অবয়ব